মতলব উত্তর উপজেলার ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোতে ঘুস ছাড়া সেবা মেলে না। মিউটেশনে আট থেকে দশ হাজার, অন্য কাজেও এক থেকে দুই হাজার টাকা ঘুস দিতে হয় সেবা নিতে। উপজেলার বেশিরভাগ ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত তহশিলদারদের বিরুদ্ধে এসব অনিয়মের অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ঘুস দিলে কাজ হয়। না দিলে কাজ হয় না। জমির নামজারি, খতিয়ান দেখানো, তদন্ত প্রতিবেদন, খাজনা আদায় প্রতিটি ধাপে ধাপে দিতে হয় ঘুস।
রোববার বেলা ১১টার দিকে আমিনুল ইসলাম আল আমিন নামে এক সেবা গ্রহীতা জমির মিউটেশনের জন্য কলাকান্দা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে আসলে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সৈয়দ আহাম্মদ টাকা দাবি করেন। ভুক্তভোগী অতিরিক্ত টাকা দিতে অসম্মতি প্রকাশ করলে মিউটেশনের ফাইল জানালা দিয়ে ফেলে দিতে চান। এমনকি তাকেও দোতালা থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
বিষয়টি জানাজানি হলে কলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. মেহেদী হাসানের মাধ্যমে মীমাংসা করার চেষ্টা করা হয়। ফরাজিকান্দি ইউনিয়নের বড় হলদিয়া গ্রামের হাফেজ মিরাজুল করিম নামে ভুক্তভোগী জানান, আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি ৩৪ শতাংশ ভাই বোন নয়জন মালিক। হিস্যা অনুযায়ী এক ভাই ৪.৫০ শতাংশ জমি পাবে। ফরাজীকান্দি ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা তানজির খান ঘুসের বিনিময়ে তাকে ১০ শতাংশ জমি মিউটেশন করে দেয়।
কলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাইদুর রহমান সিপলু বলেন, ভূমি অফিসে অতিরিক্ত অর্থ এক কথায় ঘুস ছাড়া কোনো ফাইল নড়াচড়া করে না। কমপক্ষে ৬-৭ হাজার টাকা দিলে জমির মিউটেশন করা হয়। হানিরপাড় গ্রামের আমানউল্লাহ, দশানী গ্রামের আল-আমীন বেপারী জানান, আমাদের জমির মিউটেশন করতে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গেলে আমাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৭ হাজার টাকা নিয়েছে ভূমি কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে মতলব সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিল্লোল চাকমা বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনায় অনলাইন সার্ভিস চালু হওয়ার ফলে অনেক ক্ষেত্রে দুর্নীতি কমেছে, তবে অনেকেই এই বিষয়টি ভালোভাবে না বুঝতে পারার কারণে দালালের খপ্পরে পড়েন। তখন তাদের অতিরিক্ত অর্থ নষ্ট হয়। এ বিষয়ে উপজেলা ইউএনও মাহমুদা কুলসুম মনি বলেন, ঘটনার সত্যতা পেলে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ঘুস দিলে কাজ হয়। না দিলে কাজ হয় না। জমির নামজারি, খতিয়ান দেখানো, তদন্ত প্রতিবেদন, খাজনা আদায় প্রতিটি ধাপে ধাপে দিতে হয় ঘুস।
রোববার বেলা ১১টার দিকে আমিনুল ইসলাম আল আমিন নামে এক সেবা গ্রহীতা জমির মিউটেশনের জন্য কলাকান্দা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে আসলে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সৈয়দ আহাম্মদ টাকা দাবি করেন। ভুক্তভোগী অতিরিক্ত টাকা দিতে অসম্মতি প্রকাশ করলে মিউটেশনের ফাইল জানালা দিয়ে ফেলে দিতে চান। এমনকি তাকেও দোতালা থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
বিষয়টি জানাজানি হলে কলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. মেহেদী হাসানের মাধ্যমে মীমাংসা করার চেষ্টা করা হয়। ফরাজিকান্দি ইউনিয়নের বড় হলদিয়া গ্রামের হাফেজ মিরাজুল করিম নামে ভুক্তভোগী জানান, আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি ৩৪ শতাংশ ভাই বোন নয়জন মালিক। হিস্যা অনুযায়ী এক ভাই ৪.৫০ শতাংশ জমি পাবে। ফরাজীকান্দি ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা তানজির খান ঘুসের বিনিময়ে তাকে ১০ শতাংশ জমি মিউটেশন করে দেয়।
কলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাইদুর রহমান সিপলু বলেন, ভূমি অফিসে অতিরিক্ত অর্থ এক কথায় ঘুস ছাড়া কোনো ফাইল নড়াচড়া করে না। কমপক্ষে ৬-৭ হাজার টাকা দিলে জমির মিউটেশন করা হয়। হানিরপাড় গ্রামের আমানউল্লাহ, দশানী গ্রামের আল-আমীন বেপারী জানান, আমাদের জমির মিউটেশন করতে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গেলে আমাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৭ হাজার টাকা নিয়েছে ভূমি কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে মতলব সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিল্লোল চাকমা বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনায় অনলাইন সার্ভিস চালু হওয়ার ফলে অনেক ক্ষেত্রে দুর্নীতি কমেছে, তবে অনেকেই এই বিষয়টি ভালোভাবে না বুঝতে পারার কারণে দালালের খপ্পরে পড়েন। তখন তাদের অতিরিক্ত অর্থ নষ্ট হয়। এ বিষয়ে উপজেলা ইউএনও মাহমুদা কুলসুম মনি বলেন, ঘটনার সত্যতা পেলে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।