প্রযুক্তি এবং এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা)-এর ক্রমাগত উন্নতি মানব জীবনে বিপুল পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। ‘রোবটিক্স’-এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও বিতর্ক জারি রয়েছে। তারই মাঝে জানা গিয়েছে, মাতৃজঠরের মতো ভ্রুণ ধারণ করবে রোবট। চিনের বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক দাবি ঘিরে বিশ্বের চিকিৎসা জগতে আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে।
চিনের একদল বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, তাঁরা এমন একটি হিউমনয়েড রোবট (মানুষের মতো দেখতে রোবট) তৈরি করছেন, যা একজন মায়ের মতোই গর্ভে সন্তান ধারণ করতে সক্ষম। এই প্রকল্পের নেপথ্যে রয়েছে চিনের গুয়াংঝৌয়ের ‘কাইওয়া টেকনোলজি’ নামক একটি সংস্থা। তাদের তরফে ঝ্যাং কিফেং ‘দ্য টেলিগ্রাফ’-কে বলেন, ‘‘রোবটের গর্ভে ভ্রুণটিকে প্রবেশ করানোর অপেক্ষা। তার পর মানুষ এবং রোবটের পারস্পরিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ভ্রুণটি তার ভিতরে বড় হতে থাকবে।’’
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অতীতে প্রিম্যাচিওর মেষশাবকদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য কৃত্রিম ‘বায়ো ব্যাগ’-এর মধ্যে রাখা হত। এই ভাবনা থেকেই এই রোবটটি তৈরি করা হয়েছে। গর্ভাবস্থায় ৯ মাস রোবটের পেটের মধ্যেই বেড়ে উঠবে ভ্রুণ। তার জন্য রোবটের জঠরের মধ্যে থাকবে কৃত্রিম অ্যামনিয়োটিক ফ্লুইড। এ ছাড়াও, বাইরে থেকে ভ্রুণটির প্রয়োজনীয় উপাদান রোবটটির মধ্যে সরবরাহ করা হবে।
সংস্থা জানিয়েছে, প্রকল্পটি প্রায় শেষের মুখে। আগামী বছর থেকে সংস্থা এই বিশেষ রোবটটিকে বাজারে আনতে চলেছে। রোবটটির দাম হতে পারে ১০ হাজার পাউন্ড। তবে এখনও পর্যন্ত ভ্রুণ তৈরি, তা রোবটের মধ্যে প্রবেশ করানো বা শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পদ্ধতি নিয়ে সংস্থাটি কোনও তথ্য প্রকাশ করেনি।
খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন মহলে বিষয়টি নিয়ে মতানৈক্য তৈরি হয়েছে। সংস্থাটি ইতিমধ্যেই সরকারি স্তরে এই প্রযুক্তির ব্যবহারিক প্রয়োগের প্রয়োজনীয় অনুমোদন নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। তাদের দাবি, ২০০৭ সালে চিনে বন্ধ্যত্বের হার ছিল ১১.৯ শতাংশ। ২০২০ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১৮ শতাংশ। তাই এ রকম পরিস্থিতিতে এই রোবট আগামী দিনে মানুষের উপকারে আসতে পারে। আবার গর্ভধারণের জন্য অনেক সময়েই মায়েদের নানা জটিল রোগ হয়ে থাকে। অনেক সময়ে সন্তান প্রসবের সময় মায়ের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে। সে ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি সমস্যার সমাধান করতে পারে। তবে গর্ভধারণ সংক্রান্ত বিষয়ে নানা দেশে বিভিন্ন আইন রয়েছে। সেখানে আগামী দিনে শিশুর জন্মের ক্ষেত্রে রোবটের ব্যবহার কতটা গ্রহণযোগ্য হবে, সেটাই দেখার।
চিনের একদল বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, তাঁরা এমন একটি হিউমনয়েড রোবট (মানুষের মতো দেখতে রোবট) তৈরি করছেন, যা একজন মায়ের মতোই গর্ভে সন্তান ধারণ করতে সক্ষম। এই প্রকল্পের নেপথ্যে রয়েছে চিনের গুয়াংঝৌয়ের ‘কাইওয়া টেকনোলজি’ নামক একটি সংস্থা। তাদের তরফে ঝ্যাং কিফেং ‘দ্য টেলিগ্রাফ’-কে বলেন, ‘‘রোবটের গর্ভে ভ্রুণটিকে প্রবেশ করানোর অপেক্ষা। তার পর মানুষ এবং রোবটের পারস্পরিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ভ্রুণটি তার ভিতরে বড় হতে থাকবে।’’
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অতীতে প্রিম্যাচিওর মেষশাবকদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য কৃত্রিম ‘বায়ো ব্যাগ’-এর মধ্যে রাখা হত। এই ভাবনা থেকেই এই রোবটটি তৈরি করা হয়েছে। গর্ভাবস্থায় ৯ মাস রোবটের পেটের মধ্যেই বেড়ে উঠবে ভ্রুণ। তার জন্য রোবটের জঠরের মধ্যে থাকবে কৃত্রিম অ্যামনিয়োটিক ফ্লুইড। এ ছাড়াও, বাইরে থেকে ভ্রুণটির প্রয়োজনীয় উপাদান রোবটটির মধ্যে সরবরাহ করা হবে।
সংস্থা জানিয়েছে, প্রকল্পটি প্রায় শেষের মুখে। আগামী বছর থেকে সংস্থা এই বিশেষ রোবটটিকে বাজারে আনতে চলেছে। রোবটটির দাম হতে পারে ১০ হাজার পাউন্ড। তবে এখনও পর্যন্ত ভ্রুণ তৈরি, তা রোবটের মধ্যে প্রবেশ করানো বা শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পদ্ধতি নিয়ে সংস্থাটি কোনও তথ্য প্রকাশ করেনি।
খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন মহলে বিষয়টি নিয়ে মতানৈক্য তৈরি হয়েছে। সংস্থাটি ইতিমধ্যেই সরকারি স্তরে এই প্রযুক্তির ব্যবহারিক প্রয়োগের প্রয়োজনীয় অনুমোদন নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। তাদের দাবি, ২০০৭ সালে চিনে বন্ধ্যত্বের হার ছিল ১১.৯ শতাংশ। ২০২০ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১৮ শতাংশ। তাই এ রকম পরিস্থিতিতে এই রোবট আগামী দিনে মানুষের উপকারে আসতে পারে। আবার গর্ভধারণের জন্য অনেক সময়েই মায়েদের নানা জটিল রোগ হয়ে থাকে। অনেক সময়ে সন্তান প্রসবের সময় মায়ের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে। সে ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি সমস্যার সমাধান করতে পারে। তবে গর্ভধারণ সংক্রান্ত বিষয়ে নানা দেশে বিভিন্ন আইন রয়েছে। সেখানে আগামী দিনে শিশুর জন্মের ক্ষেত্রে রোবটের ব্যবহার কতটা গ্রহণযোগ্য হবে, সেটাই দেখার।