রাজশাহীতে নারী সাংবাদিকদের ডিজিটাল ও শারীরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিন দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে, যা তাদের পেশাগত দক্ষতা ও নিরাপত্তা সচেতনতা বাড়াতে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ইউনেস্কো-আইপিডিসির সহায়তায় নিউজ নেটওয়ার্ক আয়োজিত এই কর্মশালা
সোমবার (১৮ আগস্ট) সকালে কাজীহাটা এলাকার এনজিও ফোরামের সম্মেলন কক্ষে শুরু হয় এবং চলবে বুধবার (২০ আগস্ট) পর্যন্ত।
কর্মশালার উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) টুকটুক তালুকদার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নিউজ নেটওয়ার্কের সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. শহীদুজ্জামান, প্রোগ্রাম বিশেষজ্ঞ রেজাউল করিম এবং রাজশাহীর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ। দিনভর সেশন পরিচালনা করেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও নিউজ নেটওয়ার্কের প্রশিক্ষণ সমন্বয়কারী জিয়াউর রহমান।
প্রথম দিনের আলোচনায় সাংবাদিকতার নীতিশাস্ত্র, মানসম্মত প্রতিবেদন তৈরি, নারী সাংবাদিকদের শারীরিক নিরাপত্তা, ঝুঁকি মূল্যায়ন এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার বিষয়গুলো উঠে আসে। অংশগ্রহণকারীদের দুটি দলে ভাগ করে দলগত কাজের মাধ্যমে দিনের শেষে কর্মশালার মূল্যায়ন করা হয়।
নিউজ নেটওয়ার্কের সম্পাদক মো. শহীদুজ্জামান বলেন, “নারী সাংবাদিকরা প্রায়ই ডিজিটাল ও শারীরিক হয়রানির মুখোমুখি হন। এই প্রশিক্ষণ তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক হবে।” জিয়াউর রহমান জানান, “আমরা নারী সাংবাদিকদের ঝুঁকি মোকাবিলার কৌশল এবং ডিজিটাল সুরক্ষার প্রশিক্ষণ দিচ্ছি, যাতে তারা নির্ভয়ে কাজ করতে পারেন।”
বাংলাদেশে নারী সাংবাদিকরা প্রায়ই অনলাইন হয়রানি, সাইবার বুলিং এবং মাঠে কাজের সময় শারীরিক ঝুঁকির সম্মুখীন হন। বাংলাদেশে ৬০% নারী সাংবাদিক অনলাইন হয়রানির শিকার হন, এবং ২৫% মাঠে কাজের সময় হুমকির মুখে পড়েন। ২০২৪ সালে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা ১২% বেড়েছে। এই প্রশিক্ষণ এমন একটি সময়ে শুরু হয়েছে, যখন নারী সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। রাজশাহীর একজন নারী সাংবাদিক রুমা আক্তার বলেন, “এই প্রশিক্ষণ আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। এখন আমরা ডিজিটাল হুমকি মোকাবিলার কৌশল জানি।”
এই কর্মশালা নারী সাংবাদিকদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি করেছে এবং স্থানীয় সাংবাদিক সম্প্রদায়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তবে, অনেকে মনে করেন, এই ধরনের প্রশিক্ষণ আরও ঘন ঘন এবং সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। স্থানীয় সাংবাদিক নেতা আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ বলেন, “নারী সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে।”
নারী সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ প্রয়োজন। প্রথমত, সাংবাদিকদের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ স্থানীয় পর্যায়ে নিয়মিত করতে হবে। সরকার ও মিডিয়া সংগঠনগুলোর সহায়তায় সাইবার সুরক্ষা এবং মানসিক স্বাস্থ্য কাউন্সেলিং প্রোগ্রাম চালু করা উচিত। সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালকে আরও সক্রিয় করে অনলাইন হয়রানির বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া, মাঠে কাজের সময় নিরাপত্তার জন্য সাংবাদিকদের ঝুঁকি মূল্যায়ন প্রশিক্ষণ এবং সুরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ করা উচিত। রাজশাহী জেলা প্রশাসন এবং নিউজ নেটওয়ার্ককে এই ধরনের কর্মশালা গ্রামীণ এলাকায় সম্প্রসারণ করতে হবে। এই পদক্ষেপগুলো নারী সাংবাদিকদের নিরাপদ ও কার্যকরভাবে কাজ করার সুযোগ করে দেবে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) সকালে কাজীহাটা এলাকার এনজিও ফোরামের সম্মেলন কক্ষে শুরু হয় এবং চলবে বুধবার (২০ আগস্ট) পর্যন্ত।
কর্মশালার উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) টুকটুক তালুকদার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নিউজ নেটওয়ার্কের সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. শহীদুজ্জামান, প্রোগ্রাম বিশেষজ্ঞ রেজাউল করিম এবং রাজশাহীর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ। দিনভর সেশন পরিচালনা করেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও নিউজ নেটওয়ার্কের প্রশিক্ষণ সমন্বয়কারী জিয়াউর রহমান।
প্রথম দিনের আলোচনায় সাংবাদিকতার নীতিশাস্ত্র, মানসম্মত প্রতিবেদন তৈরি, নারী সাংবাদিকদের শারীরিক নিরাপত্তা, ঝুঁকি মূল্যায়ন এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার বিষয়গুলো উঠে আসে। অংশগ্রহণকারীদের দুটি দলে ভাগ করে দলগত কাজের মাধ্যমে দিনের শেষে কর্মশালার মূল্যায়ন করা হয়।
নিউজ নেটওয়ার্কের সম্পাদক মো. শহীদুজ্জামান বলেন, “নারী সাংবাদিকরা প্রায়ই ডিজিটাল ও শারীরিক হয়রানির মুখোমুখি হন। এই প্রশিক্ষণ তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক হবে।” জিয়াউর রহমান জানান, “আমরা নারী সাংবাদিকদের ঝুঁকি মোকাবিলার কৌশল এবং ডিজিটাল সুরক্ষার প্রশিক্ষণ দিচ্ছি, যাতে তারা নির্ভয়ে কাজ করতে পারেন।”
বাংলাদেশে নারী সাংবাদিকরা প্রায়ই অনলাইন হয়রানি, সাইবার বুলিং এবং মাঠে কাজের সময় শারীরিক ঝুঁকির সম্মুখীন হন। বাংলাদেশে ৬০% নারী সাংবাদিক অনলাইন হয়রানির শিকার হন, এবং ২৫% মাঠে কাজের সময় হুমকির মুখে পড়েন। ২০২৪ সালে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা ১২% বেড়েছে। এই প্রশিক্ষণ এমন একটি সময়ে শুরু হয়েছে, যখন নারী সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। রাজশাহীর একজন নারী সাংবাদিক রুমা আক্তার বলেন, “এই প্রশিক্ষণ আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। এখন আমরা ডিজিটাল হুমকি মোকাবিলার কৌশল জানি।”
এই কর্মশালা নারী সাংবাদিকদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি করেছে এবং স্থানীয় সাংবাদিক সম্প্রদায়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তবে, অনেকে মনে করেন, এই ধরনের প্রশিক্ষণ আরও ঘন ঘন এবং সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। স্থানীয় সাংবাদিক নেতা আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ বলেন, “নারী সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে।”
নারী সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ প্রয়োজন। প্রথমত, সাংবাদিকদের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ স্থানীয় পর্যায়ে নিয়মিত করতে হবে। সরকার ও মিডিয়া সংগঠনগুলোর সহায়তায় সাইবার সুরক্ষা এবং মানসিক স্বাস্থ্য কাউন্সেলিং প্রোগ্রাম চালু করা উচিত। সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালকে আরও সক্রিয় করে অনলাইন হয়রানির বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া, মাঠে কাজের সময় নিরাপত্তার জন্য সাংবাদিকদের ঝুঁকি মূল্যায়ন প্রশিক্ষণ এবং সুরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ করা উচিত। রাজশাহী জেলা প্রশাসন এবং নিউজ নেটওয়ার্ককে এই ধরনের কর্মশালা গ্রামীণ এলাকায় সম্প্রসারণ করতে হবে। এই পদক্ষেপগুলো নারী সাংবাদিকদের নিরাপদ ও কার্যকরভাবে কাজ করার সুযোগ করে দেবে।