ফিলিস্তিনের গাজা শহর দখল ও নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পরিকল্পিত স্থল অভিযানের প্রাথমিক হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। এরপর থেকেই শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে পালাচ্ছেন গাজার বাসিন্দারা।
গাজার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিকল্পিত স্থল আক্রমণের অংশ হিসেবে বুধবার (২০ আগস্ট) তীব্র বোমাবর্ষণ ও আর্টিলারি হামলা শুরু করে ইসরাইলি সেনারা। এরপর শহরের উপকণ্ঠে ঘাঁটি স্থাপন করেছে তারা। এ শহরে এক ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি বাস করেন।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডেফরিন বলেন, আমরা গাজা সিটিতে প্রাথমিক অভিযান এবং আক্রমণের প্রথম ধাপ শুরু করেছি।
তিনি আরও বলেন, সেনারা এরইমধ্যে জেইতুন ও জাবালিয়া এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে।
শহরের জেইতুন ও সাবরা পাড়ার শত শত বাসিন্দা শহরের উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গেছেন। এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, এ আক্রমণ অবশ্যম্ভাবীভাবে মৃত্যু ও ধ্বংস ডেকে আনবে।’
আন্তর্জাতিক সমালোচনা সত্ত্বেও ইসরাইল ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, তারা পুরো গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনায় অটল রয়েছে।
গতকাল বুধবার (২০ আগস্ট) এই পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছেন ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার জন্য সময়সূচি সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।
গাজা সিটি দখল নিশ্চিত করতে ইসরাইলি সেনাবাহিনী ৬০ হাজার রিজার্ভ সেনা তলব করেছে। এর বাইরে ২০ হাজার সেনার দায়িত্বের সময়সীমাও বাড়ানো হয়েছে। পাঁচটি ডিভিশন এই অভিযানে অংশ নেবে।
এদিকে ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইসরাইলের সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর টানাপোড়েন বাড়ছে। সেপ্টেম্বরে নতুন করে পাঁচটি ইউরোপীয় দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার কথা জানানোর পর বেড়েছে উত্তেজনা। বিশেষ করে গাজায় আগ্রাসনের বিরোধীতা করছে খোদ ইসরাইলের কণ্ঠস্বর খ্যাত মিত্র দেশগুলো।
সম্প্রতি ব্রিটেন, ফ্রান্স, পর্তুগাল, মাল্টা ও অস্ট্রেলিয়া ঘোষনা দিয়েছে, তারা সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের ওপর ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।
অস্ট্রেলিয়ার ইহুদি সম্প্রদায়কে পরিত্যাগের অভিযোগ তুলে তিনি আলবানিজকে দুর্বল রাজনীতিক আখ্যা দেন। এমনকি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স আর কানাডার নেতাদের সন্ত্রাসীদের পক্ষে দাঁড়ানোর অভিযোগও আনেন নেতানিয়াহু। সূত্র: বিবিসি
গাজার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিকল্পিত স্থল আক্রমণের অংশ হিসেবে বুধবার (২০ আগস্ট) তীব্র বোমাবর্ষণ ও আর্টিলারি হামলা শুরু করে ইসরাইলি সেনারা। এরপর শহরের উপকণ্ঠে ঘাঁটি স্থাপন করেছে তারা। এ শহরে এক ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি বাস করেন।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডেফরিন বলেন, আমরা গাজা সিটিতে প্রাথমিক অভিযান এবং আক্রমণের প্রথম ধাপ শুরু করেছি।
তিনি আরও বলেন, সেনারা এরইমধ্যে জেইতুন ও জাবালিয়া এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে।
শহরের জেইতুন ও সাবরা পাড়ার শত শত বাসিন্দা শহরের উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গেছেন। এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, এ আক্রমণ অবশ্যম্ভাবীভাবে মৃত্যু ও ধ্বংস ডেকে আনবে।’
আন্তর্জাতিক সমালোচনা সত্ত্বেও ইসরাইল ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, তারা পুরো গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনায় অটল রয়েছে।
গতকাল বুধবার (২০ আগস্ট) এই পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছেন ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার জন্য সময়সূচি সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।
গাজা সিটি দখল নিশ্চিত করতে ইসরাইলি সেনাবাহিনী ৬০ হাজার রিজার্ভ সেনা তলব করেছে। এর বাইরে ২০ হাজার সেনার দায়িত্বের সময়সীমাও বাড়ানো হয়েছে। পাঁচটি ডিভিশন এই অভিযানে অংশ নেবে।
এদিকে ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইসরাইলের সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর টানাপোড়েন বাড়ছে। সেপ্টেম্বরে নতুন করে পাঁচটি ইউরোপীয় দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার কথা জানানোর পর বেড়েছে উত্তেজনা। বিশেষ করে গাজায় আগ্রাসনের বিরোধীতা করছে খোদ ইসরাইলের কণ্ঠস্বর খ্যাত মিত্র দেশগুলো।
সম্প্রতি ব্রিটেন, ফ্রান্স, পর্তুগাল, মাল্টা ও অস্ট্রেলিয়া ঘোষনা দিয়েছে, তারা সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের ওপর ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।
অস্ট্রেলিয়ার ইহুদি সম্প্রদায়কে পরিত্যাগের অভিযোগ তুলে তিনি আলবানিজকে দুর্বল রাজনীতিক আখ্যা দেন। এমনকি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স আর কানাডার নেতাদের সন্ত্রাসীদের পক্ষে দাঁড়ানোর অভিযোগও আনেন নেতানিয়াহু। সূত্র: বিবিসি