পশ্চিমবঙ্গে পৃথক দুই স্থানে দুই ব্যক্তি তাদের স্ত্রীকে হত্যা করেছে। শুক্রবার (২২ আগস্ট) ময়নাগুড়ি এবং হুগলির কোন্নগরে এ ঘটনা ঘটে।
ময়নাগুড়ির ঘটনা:
ময়নাগুড়ির ব্যাংকান্দি এলাকায় রমেশ রায় নামে এক ব্যক্তি তার ৪৫ বছর বয়সী স্ত্রী দীপালি রায়কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে। হত্যাকাণ্ডের পর, সে তার স্ত্রীর হৃৎপিণ্ড বের করে নিয়ে এলাকায় ঘুরতে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দারা এই দৃশ্য দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং পুলিশে খবর দেন।
ময়নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নীলিমা রায় জানান, এক যুবক তাকে ফোন করে জানায় যে রমেশ তার স্ত্রীর খণ্ডিত দেহাংশ একটি ব্যাগে ভরে তাদের বাড়িতে নিয়ে এসে দেখিয়েছে।পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে যে রমেশ তার স্ত্রীর হৃৎপিণ্ড এবং অন্যান্য অঙ্গ কেটে একটি ব্যাগে ভরে ঘুরে বেড়াচ্ছিল।
পরে পুলিশ শিঙিমারি এলাকা থেকে রমেশকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের সময়ও তার কাছে স্ত্রীর হৃৎপিণ্ড এবং একটি ধারালো অস্ত্র ছিল। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, অভিযুক্ত ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন অথবা স্ত্রীর প্রতি তীব্র ঘৃণার কারণে এই নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ বর্তমানে ঘটনার তদন্ত করছে এবং রমেশ ও তার স্ত্রীর পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
কোন্নগরের ঘটনা:
হুগলির কোন্নগর মাস্টারপাড়ায় অশোক চট্টোপাধ্যায় (৫৮) নামে এক ব্যক্তি তার স্ত্রী সবিতা চট্টোপাধ্যায়কে (৫৮) খুন করে। জানা গিয়েছে, অশোক কোন্নগর পুরসভার প্রাক্তন কর্মী ছিলেন। স্ত্রীকে খুন করার পর, তিনি তার দিদির বাড়িতে গিয়ে তাকে প্রণাম করেন এবং খুনের কথা জানান। এরপর তিনি নিজেই উত্তরপাড়া থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অশোক ও সবিতার মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে পারিবারিক অশান্তি চলছিল। অশোক বর্তমানে কোনো কাজ করতেন না এবং বাজারে তার দেনা ছিল, যা নিয়ে দম্পতির মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। ঘটনার দিন সকালে তাদের মধ্যে তুমুল অশান্তি হয়।
খবর পেয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে পুলিশ এসে বাড়ির তালা ভেঙে সবিতা চট্টোপাধ্যায়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।
ময়নাগুড়ির ঘটনা:
ময়নাগুড়ির ব্যাংকান্দি এলাকায় রমেশ রায় নামে এক ব্যক্তি তার ৪৫ বছর বয়সী স্ত্রী দীপালি রায়কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে। হত্যাকাণ্ডের পর, সে তার স্ত্রীর হৃৎপিণ্ড বের করে নিয়ে এলাকায় ঘুরতে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দারা এই দৃশ্য দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং পুলিশে খবর দেন।
ময়নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নীলিমা রায় জানান, এক যুবক তাকে ফোন করে জানায় যে রমেশ তার স্ত্রীর খণ্ডিত দেহাংশ একটি ব্যাগে ভরে তাদের বাড়িতে নিয়ে এসে দেখিয়েছে।পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে যে রমেশ তার স্ত্রীর হৃৎপিণ্ড এবং অন্যান্য অঙ্গ কেটে একটি ব্যাগে ভরে ঘুরে বেড়াচ্ছিল।
পরে পুলিশ শিঙিমারি এলাকা থেকে রমেশকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের সময়ও তার কাছে স্ত্রীর হৃৎপিণ্ড এবং একটি ধারালো অস্ত্র ছিল। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, অভিযুক্ত ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন অথবা স্ত্রীর প্রতি তীব্র ঘৃণার কারণে এই নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ বর্তমানে ঘটনার তদন্ত করছে এবং রমেশ ও তার স্ত্রীর পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
কোন্নগরের ঘটনা:
হুগলির কোন্নগর মাস্টারপাড়ায় অশোক চট্টোপাধ্যায় (৫৮) নামে এক ব্যক্তি তার স্ত্রী সবিতা চট্টোপাধ্যায়কে (৫৮) খুন করে। জানা গিয়েছে, অশোক কোন্নগর পুরসভার প্রাক্তন কর্মী ছিলেন। স্ত্রীকে খুন করার পর, তিনি তার দিদির বাড়িতে গিয়ে তাকে প্রণাম করেন এবং খুনের কথা জানান। এরপর তিনি নিজেই উত্তরপাড়া থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অশোক ও সবিতার মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে পারিবারিক অশান্তি চলছিল। অশোক বর্তমানে কোনো কাজ করতেন না এবং বাজারে তার দেনা ছিল, যা নিয়ে দম্পতির মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। ঘটনার দিন সকালে তাদের মধ্যে তুমুল অশান্তি হয়।
খবর পেয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে পুলিশ এসে বাড়ির তালা ভেঙে সবিতা চট্টোপাধ্যায়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।