অনেকেই মনে করেন আপেলের বীজ বিষাক্ত। প্রতিদিন একটি আপেল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হলেও, এর বীজ সম্পর্কে নানা প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। আসুন জেনে নেওয়া যাক আপেলের বীজ আসলে কতটা ক্ষতিকারক।
আপেলের বীজে বিষাক্ত উপাদান:
আপেলের বীজে অ্যামিগডালিন নামক একটি রাসায়নিক যৌগ থাকে। এই যৌগটি যখন হজম প্রক্রিয়ার সংস্পর্শে আসে, তখন এটি হাইড্রোজেন সায়ানাইডে (HCN) পরিণত হয়। হাইড্রোজেন সায়ানাইড একটি মারাত্মক বিষ, যা শরীরের কোষে অক্সিজেন প্রবেশে বাধা দেয় এবং এর ফলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
কাঠবাদাম, চেরি, অ্যাপ্রিকট এবং পিচের মতো ফলের বীজেও এই ধরনের যৌগ পাওয়া যায়।
সায়ানাইড শরীরে প্রবেশ করলে হার্ট ও মস্তিষ্ক অচল হয়ে যেতে পারে, যা থেকে কোমা বা মৃত্যুও ঘটতে পারে। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, দ্রুত হৃদস্পন্দন, শ্বাসকষ্ট এবং খিঁচুনি।
কতটা পরিমাণে আপেলের বীজ ক্ষতিকারক?
যদিও আপেলের বীজে বিষাক্ত উপাদান রয়েছে, তবে অল্প পরিমাণে খেলে তা সাধারণত ক্ষতিকারক নয়। চিকিৎসকদের মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দেহে বিষক্রিয়া তৈরির জন্য প্রায় এক কাপ বা ২০০টির মতো আপেলের বীজ চিবিয়ে খেতে হবে। সাধারণত একটি আপেলে ৫ থেকে ৮টির বেশি বীজ থাকে না। তাই ভুলবশত কয়েকটি বীজ পেটে চলে গেলে বড় ধরনের কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
তাছাড়া, আপেলের বীজের ওপর একটি শক্ত আবরণ থাকে যা হজম করা কঠিন। যদি বীজ চিবিয়ে না খাওয়া হয়, তাহলে এটি প্রায় অক্ষত অবস্থায় শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে পারে এবং অ্যামিগডালিনও নির্গত হয় না। বিষক্রিয়ার ঝুঁকি তখনই থাকে যখন বীজগুলো চিবিয়ে বা গুঁড়ো করে খাওয়া হয়।
শিশুদের ক্ষেত্রে সতর্কতা:
শিশুদের ওজন কম হওয়ায় তাদের ক্ষেত্রে অল্প পরিমাণ সায়ানাইডও মারাত্মক হতে পারে।[9] তাই শিশুদের আপেল খাওয়ানোর সময় অবশ্যই বীজ ফেলে দেওয়া উচিত।
শেষ কথা:
সামগ্রিকভাবে, ভুল করে কয়েকটি আপেলের বীজ খেয়ে ফেললে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে, সচেতনভাবে এবং নিয়মিত আপেলের বীজ খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য আপেলের মাংসল অংশ খাওয়াই শ্রেয় এবং এর বীজ ফেলে দেওয়াই উত্তম।
আপেলের বীজে বিষাক্ত উপাদান:
আপেলের বীজে অ্যামিগডালিন নামক একটি রাসায়নিক যৌগ থাকে। এই যৌগটি যখন হজম প্রক্রিয়ার সংস্পর্শে আসে, তখন এটি হাইড্রোজেন সায়ানাইডে (HCN) পরিণত হয়। হাইড্রোজেন সায়ানাইড একটি মারাত্মক বিষ, যা শরীরের কোষে অক্সিজেন প্রবেশে বাধা দেয় এবং এর ফলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
কাঠবাদাম, চেরি, অ্যাপ্রিকট এবং পিচের মতো ফলের বীজেও এই ধরনের যৌগ পাওয়া যায়।
সায়ানাইড শরীরে প্রবেশ করলে হার্ট ও মস্তিষ্ক অচল হয়ে যেতে পারে, যা থেকে কোমা বা মৃত্যুও ঘটতে পারে। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, দ্রুত হৃদস্পন্দন, শ্বাসকষ্ট এবং খিঁচুনি।
কতটা পরিমাণে আপেলের বীজ ক্ষতিকারক?
যদিও আপেলের বীজে বিষাক্ত উপাদান রয়েছে, তবে অল্প পরিমাণে খেলে তা সাধারণত ক্ষতিকারক নয়। চিকিৎসকদের মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দেহে বিষক্রিয়া তৈরির জন্য প্রায় এক কাপ বা ২০০টির মতো আপেলের বীজ চিবিয়ে খেতে হবে। সাধারণত একটি আপেলে ৫ থেকে ৮টির বেশি বীজ থাকে না। তাই ভুলবশত কয়েকটি বীজ পেটে চলে গেলে বড় ধরনের কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
তাছাড়া, আপেলের বীজের ওপর একটি শক্ত আবরণ থাকে যা হজম করা কঠিন। যদি বীজ চিবিয়ে না খাওয়া হয়, তাহলে এটি প্রায় অক্ষত অবস্থায় শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে পারে এবং অ্যামিগডালিনও নির্গত হয় না। বিষক্রিয়ার ঝুঁকি তখনই থাকে যখন বীজগুলো চিবিয়ে বা গুঁড়ো করে খাওয়া হয়।
শিশুদের ক্ষেত্রে সতর্কতা:
শিশুদের ওজন কম হওয়ায় তাদের ক্ষেত্রে অল্প পরিমাণ সায়ানাইডও মারাত্মক হতে পারে।[9] তাই শিশুদের আপেল খাওয়ানোর সময় অবশ্যই বীজ ফেলে দেওয়া উচিত।
শেষ কথা:
সামগ্রিকভাবে, ভুল করে কয়েকটি আপেলের বীজ খেয়ে ফেললে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে, সচেতনভাবে এবং নিয়মিত আপেলের বীজ খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য আপেলের মাংসল অংশ খাওয়াই শ্রেয় এবং এর বীজ ফেলে দেওয়াই উত্তম।