রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) নির্মাণাধীন ক্যাম্পাসে অবৈধভাবে গাছ কাটার সময় তিন শ্রমিককে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা।
শনিবার (২২ আগস্ট) মহানগরীর সিলিন্দায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার নেপথ্যে হোসেন কনস্ট্রাকশনের ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের নাম উঠে এসেছে, যদিও তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আটককৃত শ্রমিকরা হলেন, মহানগরীর মতিহার থানার নতুন বুধপাড়া এলাকার ওমর ফারুক (৩৫), উজির (৪৫) এবং কোরবান আলী (৪২)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, গত ১২-১৩ দিন ধরে সাতজন শ্রমিক মিলে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০টি গাছ কাটছিলেন।
শ্রমিকদের ভাষ্যমতে, তারা হোসেন কনস্ট্রাকশনের ম্যানেজার হোসেনের তত্ত্বাবধানে কাজ করছিলেন এবং কাটা গাছগুলো দেলোয়ারের লোকজন নিয়ে যেত। মোটা গাছের খন্ডগুলো দেলোয়ারের ফার্নিচারের গোডাউনে নেওয়া হচ্ছিল বলেও তারা জানান।
হোসেন কনস্ট্রাকশনের ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেন। এর একদিন আগেই, শুক্রবার, তিনি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, গাছ কাটার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
তিনি দাবি করেন, তারা ক্যাম্পাসের সামনের অংশে কাজ করছেন, আর গাছ কাটা হয়েছে পেছনের দিক থেকে। এমনকি বিষয়টি সম্পর্কে রামেবি কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এ ব্যপারে রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, স্থানীয়দের সহযোগিতায় তিন শ্রমিককে আটক করা হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনো মামলা করতে আসেনি। সরকারি সম্পত্তি চুরির অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করতে পারে বলেও তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন।
অন্যদিকে, রামেবির রেজিস্ট্রার মোঃ হাবিবুর রহমান এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করে জানান, তিনি অফ ডিউটিতে আছেন।
উল্লেখ্য, রামেবির প্রায় ২০৫ বিঘা জমির ক্যাম্পাসে থাকা সাড়ে পাঁচ হাজার গাছের মধ্যে প্রায় ২০০টিরও বেশি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার
শ্রমিক আটকের পর এর সংখ্যা প্রায় এক হাজারের মত বলে জানা গেছে। কোনো প্রকার দরপত্র বা কার্যাদেশ ছাড়াই গত ১০ মাস ধরে এই গাছ কাটা চলছে বলে জানা গেছে, যার ফলে ক্যাম্পাসের অনেক সবুজ এলাকা ফাঁকা হয়ে গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে বালু ভরাটের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হোসাইন কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড এই গাছ কেটে বিক্রি করছে। বিষয়টি জানাজানি হলে ঠিকাদারকে শোকজ করা হয়েছে।
ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অংশে অসংখ্য গাছের গোড়া চোখে পড়ে, কিছু মাটি দিয়ে ঢাকা এবং কিছু জায়গায় গর্ত হয়ে পানি জমে আছে। সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্যেও কয়েকশ গাছ কাটা হয়েছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, এই গাছ কাটার চক্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তার পাশাপাশি একজন সাবেক ছাত্রনেতা এবং হাফিজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি জড়িত, যিনি আগে ক্যাম্পাসের জমি দেখাশোনা করতেন।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলী সিরাজুম মুনীর জানান, গাছগুলো বেআইনিভাবে কাটা হয়েছে এবং ঠিকাদারকে শোকজ করা হয়েছে। তিনি নিজের সম্পৃক্ততার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশন আইন, ২০২১ অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া ব্যক্তিগত বা সরকারি কোনো স্থায়ী গাছ কাটা দন্ডনীয় অপরাধ। এই আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে সকল বনাঞ্চলকে সুরক্ষা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
শনিবার (২২ আগস্ট) মহানগরীর সিলিন্দায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার নেপথ্যে হোসেন কনস্ট্রাকশনের ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের নাম উঠে এসেছে, যদিও তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আটককৃত শ্রমিকরা হলেন, মহানগরীর মতিহার থানার নতুন বুধপাড়া এলাকার ওমর ফারুক (৩৫), উজির (৪৫) এবং কোরবান আলী (৪২)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, গত ১২-১৩ দিন ধরে সাতজন শ্রমিক মিলে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০টি গাছ কাটছিলেন।
শ্রমিকদের ভাষ্যমতে, তারা হোসেন কনস্ট্রাকশনের ম্যানেজার হোসেনের তত্ত্বাবধানে কাজ করছিলেন এবং কাটা গাছগুলো দেলোয়ারের লোকজন নিয়ে যেত। মোটা গাছের খন্ডগুলো দেলোয়ারের ফার্নিচারের গোডাউনে নেওয়া হচ্ছিল বলেও তারা জানান।
হোসেন কনস্ট্রাকশনের ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেন। এর একদিন আগেই, শুক্রবার, তিনি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, গাছ কাটার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
তিনি দাবি করেন, তারা ক্যাম্পাসের সামনের অংশে কাজ করছেন, আর গাছ কাটা হয়েছে পেছনের দিক থেকে। এমনকি বিষয়টি সম্পর্কে রামেবি কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এ ব্যপারে রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, স্থানীয়দের সহযোগিতায় তিন শ্রমিককে আটক করা হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনো মামলা করতে আসেনি। সরকারি সম্পত্তি চুরির অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করতে পারে বলেও তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন।
অন্যদিকে, রামেবির রেজিস্ট্রার মোঃ হাবিবুর রহমান এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করে জানান, তিনি অফ ডিউটিতে আছেন।
উল্লেখ্য, রামেবির প্রায় ২০৫ বিঘা জমির ক্যাম্পাসে থাকা সাড়ে পাঁচ হাজার গাছের মধ্যে প্রায় ২০০টিরও বেশি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার
শ্রমিক আটকের পর এর সংখ্যা প্রায় এক হাজারের মত বলে জানা গেছে। কোনো প্রকার দরপত্র বা কার্যাদেশ ছাড়াই গত ১০ মাস ধরে এই গাছ কাটা চলছে বলে জানা গেছে, যার ফলে ক্যাম্পাসের অনেক সবুজ এলাকা ফাঁকা হয়ে গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে বালু ভরাটের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হোসাইন কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড এই গাছ কেটে বিক্রি করছে। বিষয়টি জানাজানি হলে ঠিকাদারকে শোকজ করা হয়েছে।
ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অংশে অসংখ্য গাছের গোড়া চোখে পড়ে, কিছু মাটি দিয়ে ঢাকা এবং কিছু জায়গায় গর্ত হয়ে পানি জমে আছে। সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্যেও কয়েকশ গাছ কাটা হয়েছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, এই গাছ কাটার চক্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তার পাশাপাশি একজন সাবেক ছাত্রনেতা এবং হাফিজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি জড়িত, যিনি আগে ক্যাম্পাসের জমি দেখাশোনা করতেন।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলী সিরাজুম মুনীর জানান, গাছগুলো বেআইনিভাবে কাটা হয়েছে এবং ঠিকাদারকে শোকজ করা হয়েছে। তিনি নিজের সম্পৃক্ততার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশন আইন, ২০২১ অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া ব্যক্তিগত বা সরকারি কোনো স্থায়ী গাছ কাটা দন্ডনীয় অপরাধ। এই আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে সকল বনাঞ্চলকে সুরক্ষা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।