ধর্ষণের শিকার নারী কনস্টেবল আদালতে জানালেন, তিনি অভিযুক্ত কনস্টেবল সাফিউর রহমানকে বিয়ে করতে রাজি। তবে আদালতের অনুমতি না মেলায় তাদের বিয়ে হয়নি। এতে জামিন পাননি সাফিউর রহমান। আজ রবিবার ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাজুল ইসলাম সোহাগ এ আসামির রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেন।
আদালতের নথি থেকে দেখা যায়, ধর্ষণের অভিযোগ ওই নারী কনস্টেবল গত শুক্রবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর শুক্রবারই ঢাকার মিল ব্যারাক পুলিশ লাইন্স থেকে কনস্টেবল সাফিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। গতকাল শনিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জুলফিকার আলী পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে সাফিউর রহমানকে আদালতে হাজির করেন। সেদিন রিমান্ড শুনানি পিছিয়ে আজ ধার্য করা হয়।
সাফিউরের আইনজীবী আব্দুস ছালাম সিকদার শুনানিতে জানান, ১৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বাদী বিয়েতে রাজী হয়েছেন। এখানেই তাদের বিয়ের কাজ সম্পন্ন হবে। তার জামিনে আপত্তি নেই। আদালত অনুমতি দিলে এখনই বিয়ে হবে।
এ সময় বিচারক বলেন,‘এটা সেনসিটিভ বিষয়।’
তখন আইনজীবী বলেন,‘তারা প্রাপ্ত বয়স্ক। বাদীর ২১ আর আসামির ২৮ বছর বয়স।’
তখন বিচারক বলেন,‘এটা আপনাদের বিষয়, আমার বা আদালতের বিষয় না। আদালতের বাইরে করতে পারেন। কোর্টের কনসার্ন নাই। আপনাদের ওপর ডিপেন্ড করছে।’
তখন আইনজীবী বলেন,‘বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে আদালতকে অবহিত করব।’
আগে থেকেই আসামিপক্ষের আইনজীবীরা কাজী সিরাজুল ইসলামকে আদালতে নিয়ে আসেন। পরে এজলাসের পেছনের বেঞ্চে বসে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করছিলেন কাজী। তবে আসামির কবুল বলার সুযোগ না হওয়ায় এবং স্বাক্ষর না করায় বিয়ের কাজ আর সম্পন্ন হয়নি।
আদালতে দাঁড়িয়ে থাকা ওই নারী কনস্টেবল আদালতকে বলেন,‘আমি আর কোনো ঝামেলা চাই না। বিয়ে করতে না চাওয়ায় মামলাটা করেছি। রিমান্ড চাচ্ছি না। বিয়ে করে সংসার করতে চাই। জামিনে আপত্তি নেই।’ তবে আদালত আসামির জামিন ও রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে নির্দেশ দেন।
এর আগে গত শনিবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সালেহের প্রশ্নের মুখোমুখি হন সাফিউর। আদালত তার কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চান। আদালতকে তিনি বলেন, তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তিনি তাকে বিয়ে করবেন।
বিয়ে করেছেন কি না—এ বিষয়ে বিচারক জানতে চাইলে পুলিশ কনস্টেবল বলেন, গ্রামের বাড়িতে তার স্ত্রী আছে। এক বছর আগে বিয়ে করেছেন।
স্ত্রী রেখে আরেকজনের সঙ্গে প্রেম করেন কেন? বিচারকের এই প্রশ্নের জবাবে সাফিউর বলেন, ইসলামী শরিয়া মোতাবেক তাকে বিয়ে করবেন।
এ সময় আদালতের বিচারক তাকে বলেন, ভুক্তভোগী তো মামলা দিয়েছেন। ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগের করে মামলার সমাধান করতে পরামর্শ দেন আদালত। আসামিকে প্রশ্ন করেন, ‘বউ রেখে আরেক নারীর দিকে চোখ যায় কেমনে?’ এ প্রশ্নের জবাব দেননি পুলিশের ওই সদস্য।
উল্লেখ্য, ধর্ষণের অভিযোগে গতকাল দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন ওই নারী কনস্টেবল। মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, সাফিউর রহমান গত ১৫ অগাস্ট রাত আড়াইটা থেকে ৪টা পর্যন্ত বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা ভবনের দ্বিতীয় তলার দক্ষিণ পাশের নারী ব্যারাকে ভুক্তভোগীর শয়নকক্ষে প্রবেশ করে ধর্ষণ করেন। তার আগে বিগত ৫ মাসে সপ্তাহে দুবার করে ধর্ষণ করেন এবং তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও তার ব্যবহৃত আইফোনে ধারণ করে ব্লাকমেইল করেন।
আদালতের নথি থেকে দেখা যায়, ধর্ষণের অভিযোগ ওই নারী কনস্টেবল গত শুক্রবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর শুক্রবারই ঢাকার মিল ব্যারাক পুলিশ লাইন্স থেকে কনস্টেবল সাফিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। গতকাল শনিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জুলফিকার আলী পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে সাফিউর রহমানকে আদালতে হাজির করেন। সেদিন রিমান্ড শুনানি পিছিয়ে আজ ধার্য করা হয়।
সাফিউরের আইনজীবী আব্দুস ছালাম সিকদার শুনানিতে জানান, ১৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বাদী বিয়েতে রাজী হয়েছেন। এখানেই তাদের বিয়ের কাজ সম্পন্ন হবে। তার জামিনে আপত্তি নেই। আদালত অনুমতি দিলে এখনই বিয়ে হবে।
এ সময় বিচারক বলেন,‘এটা সেনসিটিভ বিষয়।’
তখন আইনজীবী বলেন,‘তারা প্রাপ্ত বয়স্ক। বাদীর ২১ আর আসামির ২৮ বছর বয়স।’
তখন বিচারক বলেন,‘এটা আপনাদের বিষয়, আমার বা আদালতের বিষয় না। আদালতের বাইরে করতে পারেন। কোর্টের কনসার্ন নাই। আপনাদের ওপর ডিপেন্ড করছে।’
তখন আইনজীবী বলেন,‘বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে আদালতকে অবহিত করব।’
আগে থেকেই আসামিপক্ষের আইনজীবীরা কাজী সিরাজুল ইসলামকে আদালতে নিয়ে আসেন। পরে এজলাসের পেছনের বেঞ্চে বসে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করছিলেন কাজী। তবে আসামির কবুল বলার সুযোগ না হওয়ায় এবং স্বাক্ষর না করায় বিয়ের কাজ আর সম্পন্ন হয়নি।
আদালতে দাঁড়িয়ে থাকা ওই নারী কনস্টেবল আদালতকে বলেন,‘আমি আর কোনো ঝামেলা চাই না। বিয়ে করতে না চাওয়ায় মামলাটা করেছি। রিমান্ড চাচ্ছি না। বিয়ে করে সংসার করতে চাই। জামিনে আপত্তি নেই।’ তবে আদালত আসামির জামিন ও রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে নির্দেশ দেন।
এর আগে গত শনিবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সালেহের প্রশ্নের মুখোমুখি হন সাফিউর। আদালত তার কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চান। আদালতকে তিনি বলেন, তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তিনি তাকে বিয়ে করবেন।
বিয়ে করেছেন কি না—এ বিষয়ে বিচারক জানতে চাইলে পুলিশ কনস্টেবল বলেন, গ্রামের বাড়িতে তার স্ত্রী আছে। এক বছর আগে বিয়ে করেছেন।
স্ত্রী রেখে আরেকজনের সঙ্গে প্রেম করেন কেন? বিচারকের এই প্রশ্নের জবাবে সাফিউর বলেন, ইসলামী শরিয়া মোতাবেক তাকে বিয়ে করবেন।
এ সময় আদালতের বিচারক তাকে বলেন, ভুক্তভোগী তো মামলা দিয়েছেন। ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগের করে মামলার সমাধান করতে পরামর্শ দেন আদালত। আসামিকে প্রশ্ন করেন, ‘বউ রেখে আরেক নারীর দিকে চোখ যায় কেমনে?’ এ প্রশ্নের জবাব দেননি পুলিশের ওই সদস্য।
উল্লেখ্য, ধর্ষণের অভিযোগে গতকাল দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন ওই নারী কনস্টেবল। মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, সাফিউর রহমান গত ১৫ অগাস্ট রাত আড়াইটা থেকে ৪টা পর্যন্ত বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা ভবনের দ্বিতীয় তলার দক্ষিণ পাশের নারী ব্যারাকে ভুক্তভোগীর শয়নকক্ষে প্রবেশ করে ধর্ষণ করেন। তার আগে বিগত ৫ মাসে সপ্তাহে দুবার করে ধর্ষণ করেন এবং তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও তার ব্যবহৃত আইফোনে ধারণ করে ব্লাকমেইল করেন।