নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত নার্সদের অবহেলার কারণে নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটে গত ২৫ আগস্ট সোমবার গভীর রাত আনুমানিক ১টা ৩০ মিনিটে।
ভুক্তভোগীর শ্বশুর ওপিয়া রহমান আকালু অভিযোগ করে বলেন, প্রসব ব্যথা নিয়ে তার বৌমা সুখী আক্তার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। সে সময় দায়িত্বরত মিডওয়াইফ (নার্স) শারমিনের নেতৃত্বে মোছা: রহিমা আক্তার ও কুলসুম রুমি প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণে অবহেলা করেন। এতে রোগীর অবস্থা জটিল হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে প্রসব প্রক্রিয়া শুরু হলে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সহায়তা না থাকায় নবজাতকটি মারা যায়।
পরবর্তীতে কর্তব্যরত ডাক্তার খোরশেদ আলম বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মৃত নবজাতকসহ বাচ্চার মাকে দ্রুত রংপুরে রেফার করেন।
সুখী আক্তারের মা রাশেদা আক্তার জানান, বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও নার্সরা সঠিক সময়ে চিকিৎসা দেননি। বরং তারা ঘটনাটিকে “সাধারণ ব্যাপার” বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
এদিকে নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকাজুড়ে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায়ই এ ধরনের অবহেলার ঘটনা ঘটে। অথচ কর্তৃপক্ষের সঠিক তদারকি নেই।
স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, “এখানে চিকিৎসক ও নার্সদের অনেকের আচরণ রোগীবান্ধব নয়। সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা নিতে এসে ভোগান্তির শিকার হয়।” আরেকজন ক্ষুব্ধ বাসিন্দা জানান, “এভাবে অবহেলার কারণে যদি নবজাতক মারা যায়, তাহলে মানুষের আস্থা কোথায় থাকবে?”
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত নার্স উম্মে কুলসুম বলেন, “আমি এই বিষয়ে জানি না। নোমান স্যার জানেন, আপনি ওনার সাথে কথা বলেন।”
ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: মোহাম্মদ আলী নোমান বলেন, “ঘটনার বিষয়ে আমরা শুনেছি। তদন্তের মাধ্যমে সত্যতা যাচাই করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রসবকালীন সেবা প্রদানে অবহেলা বা দেরি করা মা ও নবজাতকের জীবনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে। বিশেষ করে উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে নার্স ও চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ, পর্যাপ্ত সরঞ্জাম এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত না থাকলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে।
ডিমলা ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের জনস্বাস্থ্য বিভাগের সাবেক শিক্ষক হুমায়ুন কবীর বলেন, “প্রসবকালীন সময়ে প্রতিটি মিনিটই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পর্যবেক্ষণ ও দ্রুত চিকিৎসা না হলে নবজাতক ও মা দুজনের জীবনই হুমকির মুখে পড়তে পারে। এই ধরনের অবহেলা পেশাগত অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।”
আরেক স্বাস্থ্য বিশ্লেষক বলেন, “বাংলাদেশে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার কমাতে সরকার অনেক উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু মাঠপর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের জবাবদিহিতা ও সঠিক সেবা নিশ্চিত না হলে এসব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে।”
এ ঘটনায় এলাকাবাসী দ্রুত তদন্ত করে দায়িত্বরত নার্সদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগীর শ্বশুর ওপিয়া রহমান আকালু অভিযোগ করে বলেন, প্রসব ব্যথা নিয়ে তার বৌমা সুখী আক্তার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। সে সময় দায়িত্বরত মিডওয়াইফ (নার্স) শারমিনের নেতৃত্বে মোছা: রহিমা আক্তার ও কুলসুম রুমি প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণে অবহেলা করেন। এতে রোগীর অবস্থা জটিল হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে প্রসব প্রক্রিয়া শুরু হলে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সহায়তা না থাকায় নবজাতকটি মারা যায়।
পরবর্তীতে কর্তব্যরত ডাক্তার খোরশেদ আলম বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মৃত নবজাতকসহ বাচ্চার মাকে দ্রুত রংপুরে রেফার করেন।
সুখী আক্তারের মা রাশেদা আক্তার জানান, বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও নার্সরা সঠিক সময়ে চিকিৎসা দেননি। বরং তারা ঘটনাটিকে “সাধারণ ব্যাপার” বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
এদিকে নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকাজুড়ে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায়ই এ ধরনের অবহেলার ঘটনা ঘটে। অথচ কর্তৃপক্ষের সঠিক তদারকি নেই।
স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, “এখানে চিকিৎসক ও নার্সদের অনেকের আচরণ রোগীবান্ধব নয়। সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা নিতে এসে ভোগান্তির শিকার হয়।” আরেকজন ক্ষুব্ধ বাসিন্দা জানান, “এভাবে অবহেলার কারণে যদি নবজাতক মারা যায়, তাহলে মানুষের আস্থা কোথায় থাকবে?”
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত নার্স উম্মে কুলসুম বলেন, “আমি এই বিষয়ে জানি না। নোমান স্যার জানেন, আপনি ওনার সাথে কথা বলেন।”
ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: মোহাম্মদ আলী নোমান বলেন, “ঘটনার বিষয়ে আমরা শুনেছি। তদন্তের মাধ্যমে সত্যতা যাচাই করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রসবকালীন সেবা প্রদানে অবহেলা বা দেরি করা মা ও নবজাতকের জীবনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে। বিশেষ করে উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে নার্স ও চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ, পর্যাপ্ত সরঞ্জাম এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত না থাকলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে।
ডিমলা ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের জনস্বাস্থ্য বিভাগের সাবেক শিক্ষক হুমায়ুন কবীর বলেন, “প্রসবকালীন সময়ে প্রতিটি মিনিটই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পর্যবেক্ষণ ও দ্রুত চিকিৎসা না হলে নবজাতক ও মা দুজনের জীবনই হুমকির মুখে পড়তে পারে। এই ধরনের অবহেলা পেশাগত অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।”
আরেক স্বাস্থ্য বিশ্লেষক বলেন, “বাংলাদেশে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার কমাতে সরকার অনেক উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু মাঠপর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের জবাবদিহিতা ও সঠিক সেবা নিশ্চিত না হলে এসব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে।”
এ ঘটনায় এলাকাবাসী দ্রুত তদন্ত করে দায়িত্বরত নার্সদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।