চলতি বছর প্রতিমাসে গড়ে ৪৩টি করে মরদেহ পাওয়া গেছে নদীগুলোতে, যেই সংখ্যা আগের বছরে ছিল ৩৭। এসব মরদেহের ৩০ শতাংশের কোনো পরিচয়ই মেলেনি এখন পর্যন্ত। নৌ পুলিশের পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে এসব তথ্য। হিসেব বলছে, মৃত্যুর অনেক সময় পর মরদেহ পাওয়া আর জনবল-লজিস্টিক সংকটে অনেকটাই বেগ পেতে হয় এসব মরদেহ শনাক্ত করতে।
২৩ আগস্ট শনিবার বুড়িগঙ্গা নদীর তীরবর্তী কেরাণীগঞ্জের মীরেরবাগ এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় গলায় কালো রঙের কাপড় প্যাঁচানো এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহটি উদ্ধারের এক ঘণ্টা পরে একইস্থান থেকে ওড়না দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায় এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।
একইদিন যুবকের হাতের সঙ্গে যুবতীর এক হাত বাঁধা অবস্থায় বুড়িগঙ্গা নদী থেকেই উদ্ধার করা হয় দুজনের মরদেহ।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালে ৪৪০টি মরদেহ পাওয়া যায় নদীতে। যার মধ্যে শনাক্ত হয়েছে ২৯৯টি, আর পরিচয় মেলেনি ১৪১টির। অন্যদিকে চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে মরদেহ পাওয়া গেছে ৩০১টি। এর মধ্যে ৯২টি শনাক্ত করা যায়নি।
ঢাকা অঞ্চলের নৌ পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, চলতি বছর প্রতিমাসে গড়ে ৪৩টি করে মরদেহ পাওয়া গেছে নদীগুলোতে। তবে এ সংখ্যা আগের বছর ছিল ৩৭। এসব মরদেহের ৩০ শতাংশের কোনো পরিচয়ই মেলেনি এখন পর্যন্ত। নদীতে যেসব মরদেহ পাওয়া যায় সেগুলো অনেকদিন আগের হওয়াতে গলে-পচে যায়। আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া যায় না। চেহারাও বিকৃত হয়ে যায়। তাই অনেক সময় শনাক্ত করা সম্ভব হয় না।
নৌ পুলিশ সুপার আরও বলেন, নৌ পুলিশের জনবল আর লজিস্টিক সংকটের কারণে অনেক ক্ষেত্রেই বেগ পেতে হয় তদারকি ও মরদেহ শনাক্তে।
এ নিয়ে অপরাধ বিশ্লেষক ড. তৌহিদুল হক বলছেন, নদীতে মরদেহ ফেললে তা শনাক্ত করা কঠিন, তাই অপরাধীরা নদীকে মরদেহ গুম করার ডাম্পিং স্টেশন হিসেবে ব্যবহার করছে। বেশি লাশ উদ্ধার হয় এমন এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের পাশাপাশি এসব মরদেহ শনাক্তের কাজে সকল বাহিনীকে সমন্বিত করতে হবে।
                           ২৩ আগস্ট শনিবার বুড়িগঙ্গা নদীর তীরবর্তী কেরাণীগঞ্জের মীরেরবাগ এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় গলায় কালো রঙের কাপড় প্যাঁচানো এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহটি উদ্ধারের এক ঘণ্টা পরে একইস্থান থেকে ওড়না দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায় এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।
একইদিন যুবকের হাতের সঙ্গে যুবতীর এক হাত বাঁধা অবস্থায় বুড়িগঙ্গা নদী থেকেই উদ্ধার করা হয় দুজনের মরদেহ।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালে ৪৪০টি মরদেহ পাওয়া যায় নদীতে। যার মধ্যে শনাক্ত হয়েছে ২৯৯টি, আর পরিচয় মেলেনি ১৪১টির। অন্যদিকে চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে মরদেহ পাওয়া গেছে ৩০১টি। এর মধ্যে ৯২টি শনাক্ত করা যায়নি।
ঢাকা অঞ্চলের নৌ পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, চলতি বছর প্রতিমাসে গড়ে ৪৩টি করে মরদেহ পাওয়া গেছে নদীগুলোতে। তবে এ সংখ্যা আগের বছর ছিল ৩৭। এসব মরদেহের ৩০ শতাংশের কোনো পরিচয়ই মেলেনি এখন পর্যন্ত। নদীতে যেসব মরদেহ পাওয়া যায় সেগুলো অনেকদিন আগের হওয়াতে গলে-পচে যায়। আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া যায় না। চেহারাও বিকৃত হয়ে যায়। তাই অনেক সময় শনাক্ত করা সম্ভব হয় না।
নৌ পুলিশ সুপার আরও বলেন, নৌ পুলিশের জনবল আর লজিস্টিক সংকটের কারণে অনেক ক্ষেত্রেই বেগ পেতে হয় তদারকি ও মরদেহ শনাক্তে।
এ নিয়ে অপরাধ বিশ্লেষক ড. তৌহিদুল হক বলছেন, নদীতে মরদেহ ফেললে তা শনাক্ত করা কঠিন, তাই অপরাধীরা নদীকে মরদেহ গুম করার ডাম্পিং স্টেশন হিসেবে ব্যবহার করছে। বেশি লাশ উদ্ধার হয় এমন এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের পাশাপাশি এসব মরদেহ শনাক্তের কাজে সকল বাহিনীকে সমন্বিত করতে হবে।
 
  অনলাইন ডেস্ক
 অনলাইন ডেস্ক  
                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                     
                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                