রাজশাহীতে নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (NBIU) একটি অভূতপূর্ব সংকটের মুখোমুখি, যেখানে প্রক্টর এ জে এম নূর-ই-আলমের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে ছাত্রত্ব বাতিলের হুমকির একটি সনস্থ অডিও ফাঁসের পর সাময়িক বহিষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য মো. আনসার উদ্দীনের স্বাক্ষরিত একটি আদেশে এই বিস্ফোরক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, যা রাজশাহীর শিক্ষাজগতে তুফান তুলে দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ, রাস্তা অবরোধ এবং সামাজিক মাধ্যমে ঝড় তোলার মাধ্যমে এই ঘটনা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ও ছাত্র অধিকার নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে ধরেছে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে বিভিন্ন ফেসবুক আইডিতে একটি এক মিনিট ৩০ সেকেন্ডের অডিও প্রকাশিত হয়, যেখানে প্রক্টর এ জে এম নূর-ই-আলম একজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলছেন। অডিওয়ে তিনি বলেন, “আন্দোলন করুক, আমরা শক্ত প্রতিপক্ষ পজিশনে যাব। যারা জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা নেবে, তাদের ছাত্রত্ব বাতিল করা হবে।” তিনি আরও জানান, “৫০-৬০ জন ছাত্র যদি চলে যায়, তবে আমাদের ক্ষতি হবে না, বরং এটা আমাদের জন্য সুবিধাজনক।” অডিওতে শিক্ষার্থীর প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “প্রশাসনের ক্ষমতা ছাত্রদের ক্ষমতার চেয়ে বেশি, আমরা স্ট্রিক্ট পজিশনে থাকব।” এই অডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাগের ঝড় বয়ে যায়, এবং এটি রাতারাতি ভাইরাল হয়ে ওঠে।
অডিওয়ের প্রকাশের পর রাত সাড়ে আটটার দিকে NBIU শিক্ষার্থীরা নগরের চৌদ্দপাই এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে। তারা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে দিয়ে প্রতিবাদ করেন, যার ফলে দুই পাশে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা স্লোগানের মাধ্যমে প্রক্টরের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং তিনি দ্রুত অপসারণের দাবি জানান। এই দৃশ্য রাজশাহী শহরে উত্তেজনার সৃষ্টি করে, এবং স্থানীয় বাসিন্দারা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ৯টার পর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য মো. আনসার উদ্দীন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন। রাত সোয়া ১০টার দিকে তাঁর আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেন, তবে তাঁরা দুপুর ১২টার মধ্যে প্রক্টরের অপসারণের আলটিমেটাম দিয়ে প্রতিবাদ শান্ত করেন।
মঙ্গলবার বিকেলে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের স্বাক্ষরিত আদেশে আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও প্রক্টর এ জে এম নূর-ই-আলমকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। আদেশে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষার্থীদের আনিত অভিযোগ এবং উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি গভীরভাবে পর্যালোচনা করার জন্য একটি সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠিত হয়েছে, যার মধ্যে তিনজন ছাত্র প্রতিনিধি রয়েছেন। কমিটি আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে (২৯ আগস্ট, ২০২৫-এর মধ্যে) চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেবে, যার ভিত্তিতে প্রক্টরের ভবিষ্যৎ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য মো. আনসার উদ্দীন জানান, শিক্ষার্থীরা প্রক্টরের চূড়ান্ত বহিষ্কার চেয়েছিলেন, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেন, “ওই ফোনালাপ ছাড়াও আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ এসেছে, যা তদন্তের আওতায় রয়েছে। আমরা ন্যায়সঙ্গত সিদ্ধান্ত নেব।” তিনি শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।
প্রক্টরের প্রতিরক্ষা: এডিটেড অডিওর দাবি
প্রক্টর এ জে এম নূর-ই-আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অডিওটি এডিট করা হয়েছে এবং এটি একটি ষড়যন্ত্র। তিনি জানান, ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ প্রক্টর পদে নিযুক্ত হওয়ার পর তিনি শৃঙ্খলা আনতে চেষ্টা করেছেন। তিনি দাবি করেন, জুলাই আন্দোলনে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল এবং তিনি একজন যোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি বলেন, “আমি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের পক্ষে দাঁড়িয়েছি, এ কারণে আমাকে প্রক্টরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিছু শিক্ষার্থী আমার শৃঙ্খলা প্রয়োগে বিরক্ত হয়ে এই আন্দোলনের পেছনে রয়েছে।” তিনি অডিওর প্রকাশের পেছনে কিছু অপপ্রচারের হাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন।
এই ঘটনা রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে দিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা #JusticeForStudents এবং #RemoveProctor হ্যাশট্যাগের মাধ্যমে প্রক্টরের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা চাইছেন। অন্যদিকে, কিছু অংশীদার প্রক্টরের পক্ষে দাঁড়িয়ে তাঁর শৃঙ্খলা আনার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করছেন। এই বিতর্ক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা বজায় রাখার সঙ্গে ছাত্র অধিকারের সুযোগ-সুবিধার মধ্যে সামঞ্জস্য নিয়ে গভীর আলোচনা শুরু করেছে।
রাজশাহীতে এই ঘটনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা, ছাত্র অধিকার এবং প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের অপেক্ষায় শিক্ষার্থীরা সতর্ক থাকার সঙ্গে সঙ্গে আরও প্রতিবাদের ইঙ্গিত দিয়েছেন। এই পরিস্থিতি কীভাবে শেষ হবে, তা নির্ভর করবে কমিটির তদন্তের ওপর, যা শিক্ষা জগতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হতে পারে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য মো. আনসার উদ্দীনের স্বাক্ষরিত একটি আদেশে এই বিস্ফোরক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, যা রাজশাহীর শিক্ষাজগতে তুফান তুলে দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ, রাস্তা অবরোধ এবং সামাজিক মাধ্যমে ঝড় তোলার মাধ্যমে এই ঘটনা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ও ছাত্র অধিকার নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে ধরেছে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে বিভিন্ন ফেসবুক আইডিতে একটি এক মিনিট ৩০ সেকেন্ডের অডিও প্রকাশিত হয়, যেখানে প্রক্টর এ জে এম নূর-ই-আলম একজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলছেন। অডিওয়ে তিনি বলেন, “আন্দোলন করুক, আমরা শক্ত প্রতিপক্ষ পজিশনে যাব। যারা জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা নেবে, তাদের ছাত্রত্ব বাতিল করা হবে।” তিনি আরও জানান, “৫০-৬০ জন ছাত্র যদি চলে যায়, তবে আমাদের ক্ষতি হবে না, বরং এটা আমাদের জন্য সুবিধাজনক।” অডিওতে শিক্ষার্থীর প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “প্রশাসনের ক্ষমতা ছাত্রদের ক্ষমতার চেয়ে বেশি, আমরা স্ট্রিক্ট পজিশনে থাকব।” এই অডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাগের ঝড় বয়ে যায়, এবং এটি রাতারাতি ভাইরাল হয়ে ওঠে।
অডিওয়ের প্রকাশের পর রাত সাড়ে আটটার দিকে NBIU শিক্ষার্থীরা নগরের চৌদ্দপাই এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে। তারা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে দিয়ে প্রতিবাদ করেন, যার ফলে দুই পাশে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা স্লোগানের মাধ্যমে প্রক্টরের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং তিনি দ্রুত অপসারণের দাবি জানান। এই দৃশ্য রাজশাহী শহরে উত্তেজনার সৃষ্টি করে, এবং স্থানীয় বাসিন্দারা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ৯টার পর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য মো. আনসার উদ্দীন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন। রাত সোয়া ১০টার দিকে তাঁর আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেন, তবে তাঁরা দুপুর ১২টার মধ্যে প্রক্টরের অপসারণের আলটিমেটাম দিয়ে প্রতিবাদ শান্ত করেন।
মঙ্গলবার বিকেলে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের স্বাক্ষরিত আদেশে আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও প্রক্টর এ জে এম নূর-ই-আলমকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। আদেশে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষার্থীদের আনিত অভিযোগ এবং উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি গভীরভাবে পর্যালোচনা করার জন্য একটি সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠিত হয়েছে, যার মধ্যে তিনজন ছাত্র প্রতিনিধি রয়েছেন। কমিটি আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে (২৯ আগস্ট, ২০২৫-এর মধ্যে) চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেবে, যার ভিত্তিতে প্রক্টরের ভবিষ্যৎ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য মো. আনসার উদ্দীন জানান, শিক্ষার্থীরা প্রক্টরের চূড়ান্ত বহিষ্কার চেয়েছিলেন, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেন, “ওই ফোনালাপ ছাড়াও আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ এসেছে, যা তদন্তের আওতায় রয়েছে। আমরা ন্যায়সঙ্গত সিদ্ধান্ত নেব।” তিনি শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।
প্রক্টরের প্রতিরক্ষা: এডিটেড অডিওর দাবি
প্রক্টর এ জে এম নূর-ই-আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অডিওটি এডিট করা হয়েছে এবং এটি একটি ষড়যন্ত্র। তিনি জানান, ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ প্রক্টর পদে নিযুক্ত হওয়ার পর তিনি শৃঙ্খলা আনতে চেষ্টা করেছেন। তিনি দাবি করেন, জুলাই আন্দোলনে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল এবং তিনি একজন যোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি বলেন, “আমি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের পক্ষে দাঁড়িয়েছি, এ কারণে আমাকে প্রক্টরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিছু শিক্ষার্থী আমার শৃঙ্খলা প্রয়োগে বিরক্ত হয়ে এই আন্দোলনের পেছনে রয়েছে।” তিনি অডিওর প্রকাশের পেছনে কিছু অপপ্রচারের হাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন।
এই ঘটনা রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে দিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা #JusticeForStudents এবং #RemoveProctor হ্যাশট্যাগের মাধ্যমে প্রক্টরের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা চাইছেন। অন্যদিকে, কিছু অংশীদার প্রক্টরের পক্ষে দাঁড়িয়ে তাঁর শৃঙ্খলা আনার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করছেন। এই বিতর্ক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা বজায় রাখার সঙ্গে ছাত্র অধিকারের সুযোগ-সুবিধার মধ্যে সামঞ্জস্য নিয়ে গভীর আলোচনা শুরু করেছে।
রাজশাহীতে এই ঘটনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা, ছাত্র অধিকার এবং প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের অপেক্ষায় শিক্ষার্থীরা সতর্ক থাকার সঙ্গে সঙ্গে আরও প্রতিবাদের ইঙ্গিত দিয়েছেন। এই পরিস্থিতি কীভাবে শেষ হবে, তা নির্ভর করবে কমিটির তদন্তের ওপর, যা শিক্ষা জগতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হতে পারে।