কল্পনা করুন, একটি শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের গবেষণা এবং প্রচেষ্টা কয়েকশো রোগীর জীবন বাঁচানোর পথ প্রশস্ত করছে—যেখানে নেদারল্যান্ডস থেকে ১৭ কোটি টাকার জীবন রক্ষাকারী ওষুধ বিনামূল্যে পৌঁছেছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক)। এই অসাধারণ কৃতিত্বের নায়ক শীর্ষ শ্রেয়ান, রামেকের ৬১ ব্যাচের একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক, যিনি স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক রোগীদের জন্য ২,৫০০ ভায়াল অ্যাল্টেপ্লেস ইনজেকশন আনিয়ে প্রশংসার শীর্ষে উঠে এসেছেন। এই ওষুধের আগমন রামেককে শুধু গর্বিত করেনি, বরং বাংলাদেশের চিকিৎসা জগতে একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।
শীর্ষ শ্রেয়ানের এই যাত্রা শুরু হয়েছে পঞ্চম বর্ষে পড়ার সময়। তিনি বলেন, “আমি যখন মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের স্টুডেন্ট, তখন অল স্টক ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চের একটা সুযোগ পাই। ওদের একটা রিসার্চ প্রজেক্ট ছিল—গ্লোবাল কভারেজ অব লেটেস্ট সার্ভিস। আমি রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে যোগ দিয়ে জার্মানির এক মেডিকেল স্টুডেন্টের সঙ্গে কাজ করি। ওই প্রজেক্ট ইন্টারন্যাশনাল স্ট্রোক জার্নালে পাবলিশ হয় এবং সেই মাসের বেস্ট পেপার হয়।” এই সাফল্যের ফলে নেদারল্যান্ডসের বোহরিঙ্গার কোম্পানির আঞ্চলিক ডিরেক্টর তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং রামেকে প্রয়োজনীয় ওষুধের চাহিদা জানতে চান। শীর্ষ ২,৫০০ ভায়ালের চাহিদা জানান, যা ২০ আগস্ট পাঠানো হয় এবং ২৫ আগস্ট রামেকে পৌঁছায়। গত বুধবার (২৭ আগস্ট) হৃদরোগ বিভাগে ৭০টি ভায়াল বিতরণ করা হয়েছে, যা অন্তত ৫০০ রোগীর জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসার দ্বার খুলে দিয়েছে।
অ্যাল্টেপ্লেস ইনজেকশন রক্ত জমাট ভাঙার একটি উন্নত ওষুধ, যা স্ট্রোকের ক্ষেত্রে সাড়ে চার ঘণ্টা এবং হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে ১২ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োগ করলে রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব। বাজারে প্রতি রোগীর জন্য এর দাম ১ লাখ টাকা, কিন্তু শীর্ষের উদ্যোগে এটি বিনামূল্যে পাওয়া যাবে। ইন্টারনেট রিসার্চ অনুসারে, বাংলাদেশে প্রতি বছর ৩ লাখ মানুষ স্ট্রোকের শিকার হয়, এবং ১ লাখ মারা যায় (উৎস: বাংলাদেশ হার্ট ফাউন্ডেশন, ২০২৪)। হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে বছরে ২ লাখ কেস রয়েছে, যা দরিদ্র রোগীদের জন্য মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই ওষুধ বাংলাদেশের চিকিৎসা প্রেক্ষাপটে একটি যুগান্তকারী, কারণ দামি হওয়ায় এটি সাধারণ রোগীদের নাগালের বাইরে ছিল।
শীর্ষের এই উদ্যোগে মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. আজিজুল হক আজাদ এবং হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ডা. আজিজুল বলেন, “শ্রেয়ানের যোগাযোগে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়। আমরা নেদারল্যান্ডসের জুম মিটিংয়ে দাতা সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করে দ্রুত ওষুধ আনিয়েছি। ভারত থেকে আসা ওষুধের তুলনায় এটি গুণগতভাবে উৎকৃষ্ট এবং দামি। এটি স্ট্রোকের সাড়ে চার ঘণ্টা এবং হার্ট অ্যাটাকের ১২ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োগ করলে রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব। বাংলাদেশে রোগীরা সময়মতো আসতে না পারায় এই ওষুধের প্রয়োগ কম, কিন্তু এখন আমরা বিনামূল্যে দিতে পারব।” তিনি প্রস্তাব করেন, হার্ট অ্যাটাকে এর ব্যবহারের অনুমতি নেওয়া হয়েছে, এবং কিডনি, ফুসফুস (সিওপিডি) সহ অন্যান্য জরুরি ওষুধ আনার চেষ্টা চলছে।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহাম্মদ বলেন, “শীর্ষের প্রচেষ্টায় এই ওষুধ এসেছে। এগুলো স্ট্রোকের সাড়ে চার ঘণ্টা এবং হৃদরোগে ১২ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োগ করলে কার্যকর। বুধবার ৭০টি ভায়াল ওয়ার্ডে দেওয়া হয়েছে। খুবই দামি এবং কার্যকর এই ওষুধ।”
রামেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. ফয়সাল আলম বলেন, “আমাদের ছাত্রের মাধ্যমে এই ওষুধ এসেছে, এটা আমাদের জন্য খুশির খবর। শিক্ষার্থীরা গবেষণায় যুক্ত হয়ে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা এবং এ ধরনের জীবন রক্ষাকারী ওষুধ আনলে এ অঞ্চলের মানুষের উপকার হবে।”
বাংলাদেশে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের রোগীর সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে, যা দরিদ্রতা এবং চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইন্টারনেট রিসার্চ অনুসারে, বাংলাদেশে প্রতি বছর ৩ লাখ মানুষ স্ট্রোকের শিকার হয়, এবং ১ লাখ মারা যায় (সূত্র: বাংলাদেশ হার্ট ফাউন্ডেশন)। হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে বছরে ২ লাখ কেস রয়েছে, যা দরিদ্র রোগীদের জন্য মারাত্মক। অ্যাল্টেপ্লেসের মতো ওষুধের দাম (প্রতি রোগী ১ লাখ টাকা) সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে, কিন্তু শীর্ষের উদ্যোগ এই ব্যবধান পূরণ করে দিয়েছে। বাংলাদেশের চিকিৎসা প্রেক্ষাপটে এটি একটি যুগান্তকারী, কারণ এখানে রোগীরা সময়মতো হাসপাতালে আসতে পারেন না, এবং এই ওষুধের প্রয়োগ কম। এখন বিনামূল্যে ৫০০ রোগী উপকৃত হবে, যা স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবায় একটি বিপ্লব ঘটাতে পারে।
শীর্ষের এই কৃতিত্ব বাংলাদেশের গবেষণা ও চিকিৎসা জগতে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এটি শিক্ষার্থীদের গবেষণায় যুক্ত হওয়ার প্রেরণা দেয় এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে দেশীয় সমস্যার সমাধানের পথ দেখায়। শীর্ষ বলেন, “আমি নিপা ভাইরাস গবেষণায়ও জড়িত ছিলাম। এখন স্ট্রোকের গবেষণা করছি, এবং আরও ওষুধ আনার চেষ্টা চলছে।” এই উদ্যোগ রামেককে আন্তর্জাতিক স্তরে উন্নীত করেছে এবং বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবায় নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।
শীর্ষ শ্রেয়ানের এই যাত্রা শুরু হয়েছে পঞ্চম বর্ষে পড়ার সময়। তিনি বলেন, “আমি যখন মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের স্টুডেন্ট, তখন অল স্টক ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চের একটা সুযোগ পাই। ওদের একটা রিসার্চ প্রজেক্ট ছিল—গ্লোবাল কভারেজ অব লেটেস্ট সার্ভিস। আমি রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে যোগ দিয়ে জার্মানির এক মেডিকেল স্টুডেন্টের সঙ্গে কাজ করি। ওই প্রজেক্ট ইন্টারন্যাশনাল স্ট্রোক জার্নালে পাবলিশ হয় এবং সেই মাসের বেস্ট পেপার হয়।” এই সাফল্যের ফলে নেদারল্যান্ডসের বোহরিঙ্গার কোম্পানির আঞ্চলিক ডিরেক্টর তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং রামেকে প্রয়োজনীয় ওষুধের চাহিদা জানতে চান। শীর্ষ ২,৫০০ ভায়ালের চাহিদা জানান, যা ২০ আগস্ট পাঠানো হয় এবং ২৫ আগস্ট রামেকে পৌঁছায়। গত বুধবার (২৭ আগস্ট) হৃদরোগ বিভাগে ৭০টি ভায়াল বিতরণ করা হয়েছে, যা অন্তত ৫০০ রোগীর জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসার দ্বার খুলে দিয়েছে।
অ্যাল্টেপ্লেস ইনজেকশন রক্ত জমাট ভাঙার একটি উন্নত ওষুধ, যা স্ট্রোকের ক্ষেত্রে সাড়ে চার ঘণ্টা এবং হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে ১২ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োগ করলে রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব। বাজারে প্রতি রোগীর জন্য এর দাম ১ লাখ টাকা, কিন্তু শীর্ষের উদ্যোগে এটি বিনামূল্যে পাওয়া যাবে। ইন্টারনেট রিসার্চ অনুসারে, বাংলাদেশে প্রতি বছর ৩ লাখ মানুষ স্ট্রোকের শিকার হয়, এবং ১ লাখ মারা যায় (উৎস: বাংলাদেশ হার্ট ফাউন্ডেশন, ২০২৪)। হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে বছরে ২ লাখ কেস রয়েছে, যা দরিদ্র রোগীদের জন্য মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই ওষুধ বাংলাদেশের চিকিৎসা প্রেক্ষাপটে একটি যুগান্তকারী, কারণ দামি হওয়ায় এটি সাধারণ রোগীদের নাগালের বাইরে ছিল।
শীর্ষের এই উদ্যোগে মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. আজিজুল হক আজাদ এবং হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ডা. আজিজুল বলেন, “শ্রেয়ানের যোগাযোগে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়। আমরা নেদারল্যান্ডসের জুম মিটিংয়ে দাতা সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করে দ্রুত ওষুধ আনিয়েছি। ভারত থেকে আসা ওষুধের তুলনায় এটি গুণগতভাবে উৎকৃষ্ট এবং দামি। এটি স্ট্রোকের সাড়ে চার ঘণ্টা এবং হার্ট অ্যাটাকের ১২ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োগ করলে রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব। বাংলাদেশে রোগীরা সময়মতো আসতে না পারায় এই ওষুধের প্রয়োগ কম, কিন্তু এখন আমরা বিনামূল্যে দিতে পারব।” তিনি প্রস্তাব করেন, হার্ট অ্যাটাকে এর ব্যবহারের অনুমতি নেওয়া হয়েছে, এবং কিডনি, ফুসফুস (সিওপিডি) সহ অন্যান্য জরুরি ওষুধ আনার চেষ্টা চলছে।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহাম্মদ বলেন, “শীর্ষের প্রচেষ্টায় এই ওষুধ এসেছে। এগুলো স্ট্রোকের সাড়ে চার ঘণ্টা এবং হৃদরোগে ১২ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োগ করলে কার্যকর। বুধবার ৭০টি ভায়াল ওয়ার্ডে দেওয়া হয়েছে। খুবই দামি এবং কার্যকর এই ওষুধ।”
রামেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. ফয়সাল আলম বলেন, “আমাদের ছাত্রের মাধ্যমে এই ওষুধ এসেছে, এটা আমাদের জন্য খুশির খবর। শিক্ষার্থীরা গবেষণায় যুক্ত হয়ে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা এবং এ ধরনের জীবন রক্ষাকারী ওষুধ আনলে এ অঞ্চলের মানুষের উপকার হবে।”
বাংলাদেশে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের রোগীর সংখ্যা প্রতি বছর বাড়ছে, যা দরিদ্রতা এবং চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইন্টারনেট রিসার্চ অনুসারে, বাংলাদেশে প্রতি বছর ৩ লাখ মানুষ স্ট্রোকের শিকার হয়, এবং ১ লাখ মারা যায় (সূত্র: বাংলাদেশ হার্ট ফাউন্ডেশন)। হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে বছরে ২ লাখ কেস রয়েছে, যা দরিদ্র রোগীদের জন্য মারাত্মক। অ্যাল্টেপ্লেসের মতো ওষুধের দাম (প্রতি রোগী ১ লাখ টাকা) সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে, কিন্তু শীর্ষের উদ্যোগ এই ব্যবধান পূরণ করে দিয়েছে। বাংলাদেশের চিকিৎসা প্রেক্ষাপটে এটি একটি যুগান্তকারী, কারণ এখানে রোগীরা সময়মতো হাসপাতালে আসতে পারেন না, এবং এই ওষুধের প্রয়োগ কম। এখন বিনামূল্যে ৫০০ রোগী উপকৃত হবে, যা স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবায় একটি বিপ্লব ঘটাতে পারে।
শীর্ষের এই কৃতিত্ব বাংলাদেশের গবেষণা ও চিকিৎসা জগতে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এটি শিক্ষার্থীদের গবেষণায় যুক্ত হওয়ার প্রেরণা দেয় এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে দেশীয় সমস্যার সমাধানের পথ দেখায়। শীর্ষ বলেন, “আমি নিপা ভাইরাস গবেষণায়ও জড়িত ছিলাম। এখন স্ট্রোকের গবেষণা করছি, এবং আরও ওষুধ আনার চেষ্টা চলছে।” এই উদ্যোগ রামেককে আন্তর্জাতিক স্তরে উন্নীত করেছে এবং বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবায় নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।