ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আমি নাকি বিয়ে নিয়ে খুব প্রেশার দিই ওকে নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন খুলনায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে টিডিপির প্রশংসনীয় উদ্যোগ: স্বেচ্ছাশ্রমে সুইজগেট খাল পরিষ্কার আনসার ভিডিপি'র মহাপরিচালকের শফিপুর আনসার ভিডিপি একাডেমি পরিদর্শনে রাজশাহীতে ঋণের দায়ে ও খাওয়ার অভাবে চার মৃত্যু, ধার করে চল্লিশা ক্যাটরিনাকে বিয়ের আগে রাধিকার সঙ্গে সম্পর্ক? অভিনেত্রীর বা়ড়ি থেকে পাওয়া গেল ভিকির বিশেষ জিনিস রাশিয়া থেকে তেল কিনে যাচ্ছে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের সদস্যেরাও! পাকিস্তান, চিনের আকাশ হামলা ঠেকাতে থ্রিডি রেডার পেল নৌসেনা, স্পেনের সহযোগিতায় বানাল টাটা শতায়ুর সংখ্যায় লাখ ছুঁইছুঁই জাপানে, নতুন তথ্য প্রকাশ করল সরকার! বেশি দিন বাঁচার রহস্য কী? শাহরুখ কন্যা সুহানার ২ মিনিট ৩১ সেকেন্ডের ভিডিও, রইল নায়িকা রাধিকার পর্ন ভিডিও এখন বাজারে নোয়াখালীতে ৪২৫ কচ্ছপ উদ্ধার মহানগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ১০ শাহজাদপুরে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সেলিম রেজা গ্রেফতার ফেনীতে দেশীয় অস্ত্রসহ ৬ ডাকাত গ্রেপ্তার, ৪টি চোরাই গরু উদ্ধার গাছ প্রিয় রাণীশংকৈলের করিমুল রাজশাহীতে প্রাথমিক শিক্ষায় অচলাবস্থা: এক-তৃতীয়াংশ বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ, ব্যালট বাক্সের নমুনা তৈরি রাজশাহীতে ২৪ লাখ টাকার স্বর্ণলংকার উদ্ধার; নারী-সহ দুই চোর গ্রেফতার গোদাগাড়ী খাদ্য গুদামে নিম্নমানের চাল মজুদের অভিযোগ

ফুলবাড়ীর ধানক্ষেতে পানির আগ্রাসন অপরিকল্পিত ক্যানেলের ফাঁদে কৃষকের চোখের জল!

  • আপলোড সময় : ২৩-০৫-২০২৫ ১১:৩২:৫২ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৩-০৫-২০২৫ ১১:৩২:৫২ পূর্বাহ্ন
ফুলবাড়ীর ধানক্ষেতে পানির আগ্রাসন অপরিকল্পিত ক্যানেলের ফাঁদে কৃষকের চোখের জল! ফুলবাড়ীর ধানক্ষেতে পানির আগ্রাসন অপরিকল্পিত ক্যানেলের ফাঁদে কৃষকের চোখের জল!
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে টানা কয়েক দিনের ঝড়-বৃষ্টিতে জমির পানি নয়, যেন কৃষকের চোখের জল জমির ওপর ভাসছে। উপজেলার দুই ইউনিয়নের দশটি গ্রামের দেড় হাজার বিঘা বোরো ধানখেত এখন পানির নিচে তলিয়ে গেছে। স্বপ্নের ধান ঘরে তোলার আগেই কোমর পানি ডুবেই মাঠে নামছেন কৃষকরা। কেউ কেউ ক্ষেতে নেমে বলছেন, ‘এটা ধান কাটছি না, বুক ভাঙার ব্যথা কাটছি।’

জলাবদ্ধতার কারণে বর্তমানে ৩০০ বিঘার বেশি জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। ধান পচে যাওয়ার শঙ্কায় কৃষকরা রোদ-বৃষ্টির কিছু ভাবনা না করে, চড়া দামে শ্রমিক ভাড়া করে মাঠে কাজ করছেন। বিঘা প্রতি প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে, অথচ ধানের বাজার এখনও অনিশ্চিত।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ৫ নম্বর খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর, মহেশপুর, লালপুর, মহদিপুর, পূর্ব নারায়ণপুর এবং ৬ নম্বর দৌলতপুর ইউনিয়নের গড়পিংলাই, বারাইপাড়া, আড়াপাড়া, ঘোনাপাড়া, গণিপুর ও পলিপাড়া গ্রামের বিস্তীর্ণ জমি পানির নিচে তলিয়ে আছে।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, জমির ধান রক্ষায় কোমর পানি ঠেলে দিনরাত পরিশ্রম করলেও অনেক ক্ষেত্রেই ধান পচে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। মোস্তাফিজার রহমানের ৩২ বিঘা, মো. বাবুর ১৮ বিঘা, আইয়ুব আলীর ৪ বিঘা ও জয়নাল আবেদিনের ৬ বিঘা জমি এখনও পানির নিচে ডুবে রয়েছে।

কৃষকদের অভিযোগ, এ দুর্দশার মূল কারণ হলো অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত ক্যানেল। ২০২০ সালে জাইকা প্রকল্পের অর্থায়নে এলজিইডি দৌলতপুর বারাইপাড়া এলাকায় ১৬৩ মিটার ক্যানেল নির্মাণ করে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪৩ মিটার ক্যানেল সম্প্রসারণ করা হয়। মোট ২০৬ মিটার দীর্ঘ এই ক্যানেল নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। তবে ক্যানেলটি জমির তুলনায় দেড় থেকে দুই ফুট উঁচুতে তৈরি হওয়ায় পানি নিষ্কাশনের পরিবর্তে জমিতে আরও বেশি জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষার সময় এসব জমি যেন ক্ষতবিক্ষত হৃদয়।

কৃষক মতিবুল রহমান, মহিদুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান, বাচ্চু মিয়া ও বেলাল হোসেন জানান, ‘আমাদের জমিগুলো একসময় ছিল সোনার খনি। ভালো ফলন হতো, জীবন নির্বিঘ্নে চলত। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীদের অপরিকল্পিত পুকুর খননের কারণে জমির প্রাকৃতিক পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দীর্ঘদিন ধরে প্রায় দেড় হাজার বিঘা আবাদি জমি জলাবদ্ধ রয়েছে। সরকারি ক্যানেল নির্মাণ হলেও তা কার্যকর হয়নি, বরং জমিতে জলাবদ্ধতা বেড়েছে। গত ২০ বছর ধরে এসব জমি পানির নিচে তলিয়ে থাকায় সঠিক চাষাবাদ করা যায় না। এমন জমি বিক্রি করতেও পারছি না, কারণ কেউ কিনতে আগ্রহী নয়। ঝুঁকি নিয়ে বোরো আবাদ করলেও ধান ঘরে তোলার আগ মুহূর্তে কয়েক দিনের ঝড়োবৃষ্টিতে তা পানিতে তলিয়ে গেছে।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ শাহানুর রহমান জানান, ‘কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা হয়েছে। ক্যানেলের মাধ্যমে পানি যথাযথ নিষ্কাশন হচ্ছে না। আমরা বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসাহাক আলী বলেন, ‘সমস্যার দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অবগত করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাস্তবায়ন শুরু হবে।’

তবে প্রশ্ন থেকে যায়, কোনো ক্যানেল প্রকল্প কেবল অর্থায়নে সফল হলেই চলে না। মাঠ পর্যায়ে এর কার্যকারিতা যাচাই ও যথাযথ নজরদারি ছাড়া এর ফল হয় কৃষকের চোখের জল, সরকারের অপচয় এবং জমির দীর্ঘস্থায়ী অনুর্বরতা। কৃষকদের সমস্যা সমাধানে অপেক্ষার পালা কখন শেষ হবে? কৃষকের চোখের জল কি কোনো প্রকল্পের রিপোর্টের পাতায় লেখা হয়? 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Rajshahir Somoy

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ, ব্যালট বাক্সের নমুনা তৈরি

মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ, ব্যালট বাক্সের নমুনা তৈরি