দু'টি কন্যা সন্তানের পর পুত্রের মুখ দেখতে চেয়েছিলেন যুবক। এ জন্য স্ত্রীর গর্ভস্থ ভ্রূণের লিঙ্গ পরীক্ষা করান তিনি। গর্ভের সন্তানও কন্যা জানতে পেরেই ক্ষুব্ধ হয়ে স্ত্রীকে খুন করেন যুবক। এমনকি নিজের মেয়েদেরও ছুরি দিয়ে আঘাত করেন বাবা। এমনই অভিযোগ মৃতারক বাবার। দ্য নিউ ইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, ৩৩ বছরের ড্রু গার্নিয়ার, তাঁর ২৯ বছর বয়সী স্ত্রী সামান্থাকে নিউ ইয়র্কের বাড়িতে ছুরি দিয়ে মেরে খুন করেছিলেন। ঘটনাটি ঘটে ২০২৪ সালের।
ডেলাওয়্যার কাউন্টি ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিস জানিয়েছে, গার্নিয়ার পরিবারের ম্যাসনভিলের বাড়িতে স্ত্রী ও গর্ভস্থ সন্তানকে হত্যার সময় নিজের ৬ বছরের মেয়ে ইজি এবং ৯ বছর বয়সী অ্যাডেলিনাকে একাধিকবার ছুরি দিয়ে কোপান। জেরায় সে নিজেই তা স্বীকার করেছেন।
নিহত সামান্থার বাবা গ্রেগরি ভার্নাগালোর দাবি, তৃতীয় সন্তানও কন্যা দেখে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ ছিলেন জামাই গার্নিয়ার। রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরেই তিনি নিজের স্ত্রীকে খুন করেন। তবে সামান্থা আরও একবার কন্যা সন্তানের মুখ দেখার জন্য মরিয়া ছিলেন।
অভিযুক্ত গার্নিয়ারের শ্বশুর আদালতে দাবি করেছেন যে, মাতৃহারা জখম দুই শিশুর অভিভাবক এখন তিনিই। মেয়েকে হারিয়ে শোকগ্রস্ত বৃদ্ধ নাতনিদেরও কন্যাস্নেহে বড় করে তুলতে মরিয়া। নিহত সামান্থার বাবা গ্রেগরি ভার্নাগালো বলেন, "আমি এখন তাদের বাবা। আমি তাদের রক্ষা করব।"
নিউ ইয়র্ক স্টেট পুলিশ দাবি করেছে যে, গার্নিয়ারকে ২০২৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। গ্রেপ্তারের সময় অভিযুক্ত তাঁর সেন্টারভিলের বাড়িতে ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে যে, বাড়ির ভিতরে থাকা তিনজন মহিলাকে একাধিকবার ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। জখমের মাত্রা বেশি হওয়ায় তিন জনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চলতি বছরের ২৫ মার্চ, গার্নিয়ার ক্লাস বি ফার্স্ট-ডিগ্রি হত্যাকাণ্ড এবং প্রথম-ডিগ্রি হামলার দুটি ক্লাস বি হিংসা অপরাধের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন। তাঁকে ৩০ বছরের কারাদণ্ড হয়।
এছাড়াও আদালতের নির্দেশ মোতাবেক, দোষী গার্নিয়ার চাইলেও ২০৫৬ সাল পর্যন্ত নিজেরে মেয়েদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না।তবে যদি মেয়েরা ভবিষ্যতে মেয়েরা তাদের বাবার সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তারা এই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করতে পারে।