রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমাজকর্ম বিভাগে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীরা তাঁদের সিনিয়রদের বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের গুরুতর অভিযোগ এনেছেন।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দফতরে লিখিতভাবে এই অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগপত্রে 'সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের সালাম দেওয়ানো নিয়ে কট‚ মন্তব্য, সমকামী বলা, অশ্লীল কবিতা পড়ানো' এবং মারধরের হুমকি-সহ বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ক্যাম্পাসে তাঁদের প্রথম দিনেই ১০ থেকে ১৫ বার পরিচয় দিতে বাধ্য করা হয় এবং সঠিক পরিচয় দেওয়ার পরও তাঁদের ব্যঙ্গ-বিরূপ করা হয়। নবীন শিক্ষার্থীদের নানা ভঙ্গিতে হাসতে বলা, মারধরের হুমকি দেওয়া এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করার মতো ঘটনাও ঘটেছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে অভিযোগ আরও গুরুতর। তাঁদের সালাম দিতে বাধ্য করা হয় এবং সালাম দিলে তাঁদের পারিবারিক শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে গালিগালাজ করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়াও, নবীনবরণের দিন (১৭ আগস্ট) দুপুর ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত বৃষ্টিতে তাঁদের বসিয়ে রাখা হয়। পরে প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে।
সর্বশেষ গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে সকল নবীন শিক্ষার্থীদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়। অনুপস্থিত থাকলে ক্লাস রিপ্রেজেন্টেটিভকে (সিআর) জবাবদিহি করতে হবে বলে জানানো হয়। ওই দিন উপস্থিত প্রত্যেক শিক্ষার্থীর ফোন চেক করা হয় এবং ৮০ জন ব্যাচমেট ও ৮০ জন ইমিডিয়েট সিনিয়র (২০২৩-২৪ সেশন) এর নম্বর ফোনে সেভ না থাকলে তাঁদের গালাগালি ও হুমকি দেওয়া হয়। এরপরই শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে প্রক্টরের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, প্রথম দিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তাঁদের নানা ধরনের হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। আই কন্টাক্ট, হাতের ইশারা, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি, ও পরিচয় দেওয়াকে কেন্দ্র করে তাঁদের বিরক্ত করা হয় এবং অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করা হয়।
একই বিভাগের আরেক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, ৩ সেপ্টেম্বর রাতে মÐলের মোড়ের একটি মেসে ১৮ থেকে ২০ জন ইমিডিয়েট সিনিয়র তাঁদের দাঁড় করিয়ে পরিচয় পর্বের নামে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করেন। এ সময় তাঁদের কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখা, অশ্লীল গান ও গল্প বলতে বাধ্য করা এবং সমকামী ট্যাগ দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মাহবুবর রহমান বলেন, আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ এসেছে। আমরা বিভাগের সভাপতির সঙ্গে কথা বলবো এবং অভিযুক্ত ২০২৩-২৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও কথা বলবো। আজকে আমরা প্রক্টরিয়াল বডি এদের হাতেনাতেই ধরেছি। অবশ্যই তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
এ ঘটনা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং-বিরোধী নীতিমালা এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপদ শিক্ষাজীবন নিশ্চিত করার গুরুত্বকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রæত এবং কঠোর পদক্ষেপ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দফতরে লিখিতভাবে এই অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগপত্রে 'সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের সালাম দেওয়ানো নিয়ে কট‚ মন্তব্য, সমকামী বলা, অশ্লীল কবিতা পড়ানো' এবং মারধরের হুমকি-সহ বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ক্যাম্পাসে তাঁদের প্রথম দিনেই ১০ থেকে ১৫ বার পরিচয় দিতে বাধ্য করা হয় এবং সঠিক পরিচয় দেওয়ার পরও তাঁদের ব্যঙ্গ-বিরূপ করা হয়। নবীন শিক্ষার্থীদের নানা ভঙ্গিতে হাসতে বলা, মারধরের হুমকি দেওয়া এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করার মতো ঘটনাও ঘটেছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে অভিযোগ আরও গুরুতর। তাঁদের সালাম দিতে বাধ্য করা হয় এবং সালাম দিলে তাঁদের পারিবারিক শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে গালিগালাজ করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়াও, নবীনবরণের দিন (১৭ আগস্ট) দুপুর ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত বৃষ্টিতে তাঁদের বসিয়ে রাখা হয়। পরে প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে।
সর্বশেষ গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে সকল নবীন শিক্ষার্থীদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়। অনুপস্থিত থাকলে ক্লাস রিপ্রেজেন্টেটিভকে (সিআর) জবাবদিহি করতে হবে বলে জানানো হয়। ওই দিন উপস্থিত প্রত্যেক শিক্ষার্থীর ফোন চেক করা হয় এবং ৮০ জন ব্যাচমেট ও ৮০ জন ইমিডিয়েট সিনিয়র (২০২৩-২৪ সেশন) এর নম্বর ফোনে সেভ না থাকলে তাঁদের গালাগালি ও হুমকি দেওয়া হয়। এরপরই শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে প্রক্টরের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, প্রথম দিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তাঁদের নানা ধরনের হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। আই কন্টাক্ট, হাতের ইশারা, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি, ও পরিচয় দেওয়াকে কেন্দ্র করে তাঁদের বিরক্ত করা হয় এবং অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করা হয়।
একই বিভাগের আরেক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, ৩ সেপ্টেম্বর রাতে মÐলের মোড়ের একটি মেসে ১৮ থেকে ২০ জন ইমিডিয়েট সিনিয়র তাঁদের দাঁড় করিয়ে পরিচয় পর্বের নামে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করেন। এ সময় তাঁদের কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখা, অশ্লীল গান ও গল্প বলতে বাধ্য করা এবং সমকামী ট্যাগ দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মাহবুবর রহমান বলেন, আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ এসেছে। আমরা বিভাগের সভাপতির সঙ্গে কথা বলবো এবং অভিযুক্ত ২০২৩-২৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও কথা বলবো। আজকে আমরা প্রক্টরিয়াল বডি এদের হাতেনাতেই ধরেছি। অবশ্যই তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
এ ঘটনা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং-বিরোধী নীতিমালা এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপদ শিক্ষাজীবন নিশ্চিত করার গুরুত্বকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রæত এবং কঠোর পদক্ষেপ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।