সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে একটি দাবি সুইডেন নাকি যৌনক্রিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে “খেলাধুলা” হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং দেশটির প্রথম যৌন প্রতিযোগিতা বা European Sex Championship আয়োজনের প্রস্তুতিও চলছে। টুইটার, ফেসবুক ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল হওয়া এই খবরে বলা হয়েছিল, প্রতিযোগিতা চলবে টানা ছয় সপ্তাহ, প্রতিদিন অংশগ্রহণকারীরা ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত যৌন কর্মকাণ্ডে অংশ নেবেন এবং চূড়ান্ত বিজয়ী নির্ধারিত হবে দর্শকদের ভোট, সহনশীলতা, পারফরম্যান্স ও এমনকি কামসূত্র সম্পর্কিত জ্ঞান অনুযায়ী।
কারা প্রচার করেছিল এই খবর?
বিভিন্ন ব্যবহারকারী ছাড়াও ভারতের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম ও ওয়েবসাইট এই খবর প্রকাশ করে। এর মধ্যে রয়েছে কিছু আঞ্চলিক চ্যানেল। এমনকি কিছু মতো মূলধারার সংবাদমাধ্যমও প্রাথমিকভাবে বিষয়টি ছাপায়। তবে পরে তারা তা মুছে দেয় বা উল্লেখ করে যে খবরটির সত্যতা নিশ্চিত নয়।
সত্যিই কি যৌন প্রতিযোগিতা হচ্ছে?
ফ্যাক্টচেক অনুযায়ী উত্তর স্পষ্ট: না। যৌনক্রিয়া এখনও পর্যন্ত সুইডেনে কোনোভাবেই বৈধভাবে “খেলাধুলা” হিসেবে স্বীকৃত হয়নি। তথাকথিত Swedish Sex Federation বা সুইডিশ যৌন ফেডারেশন National Sports Confederation-এর সদস্য নয়।
আসল ঘটনা কী?
ফ্যাক্টচেকের অংশ হিসেবে সুইডিশ ন্যাশনাল স্পোর্টস কনফেডারেশনের সরকারি ওয়েবসাইট খতিয়ে দেখা হয়। সেখানে যৌন প্রতিযোগিতা নিয়ে কোনো তথ্য নেই। পরবর্তী অনুসন্ধানে পাওয়া যায়, সুইডেনের একটি স্থানীয় সংবাদপত্র Göteborgs-Posten গত ২৬ এপ্রিল, ২০২৫-এ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই প্রতিবেদনে জানানো হয়— সুইডিশ সেক্স ফেডারেশন যৌন প্রতিযোগিতাকে “খেলা” হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব জমা দিয়েছিল। কিন্তু আবেদনটি অসম্পূর্ণ হওয়ায় ন্যাশনাল স্পোর্টস কনফেডারেশন তা প্রত্যাখ্যান করে। ফলে সুইডেনে কোনো আনুষ্ঠানিক যৌন প্রতিযোগিতা বা European Sex Championship আয়োজনের প্রশ্নই ওঠে না।
ভাইরাল হওয়া এই মিথ্যা খবর নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কেউ কেউ মনে করেন বিষয়টি যৌনতা নিয়ে সামাজিক ট্যাবু ভাঙার প্রয়াস হতে পারত, আবার অনেকে একে সম্পূর্ণ হাস্যকর ও অশোভন বলে সমালোচনা করেন। সুতরাং সুইডেনে যৌন প্রতিযোগিতা শুরু হচ্ছে—এই খবরটি সম্পূর্ণ ভুয়ো ও বিভ্রান্তিকর। মূল ঘটনা হলো, যৌনক্রিয়াকে খেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল, কিন্তু সেটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।
কারা প্রচার করেছিল এই খবর?
বিভিন্ন ব্যবহারকারী ছাড়াও ভারতের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম ও ওয়েবসাইট এই খবর প্রকাশ করে। এর মধ্যে রয়েছে কিছু আঞ্চলিক চ্যানেল। এমনকি কিছু মতো মূলধারার সংবাদমাধ্যমও প্রাথমিকভাবে বিষয়টি ছাপায়। তবে পরে তারা তা মুছে দেয় বা উল্লেখ করে যে খবরটির সত্যতা নিশ্চিত নয়।
সত্যিই কি যৌন প্রতিযোগিতা হচ্ছে?
ফ্যাক্টচেক অনুযায়ী উত্তর স্পষ্ট: না। যৌনক্রিয়া এখনও পর্যন্ত সুইডেনে কোনোভাবেই বৈধভাবে “খেলাধুলা” হিসেবে স্বীকৃত হয়নি। তথাকথিত Swedish Sex Federation বা সুইডিশ যৌন ফেডারেশন National Sports Confederation-এর সদস্য নয়।
আসল ঘটনা কী?
ফ্যাক্টচেকের অংশ হিসেবে সুইডিশ ন্যাশনাল স্পোর্টস কনফেডারেশনের সরকারি ওয়েবসাইট খতিয়ে দেখা হয়। সেখানে যৌন প্রতিযোগিতা নিয়ে কোনো তথ্য নেই। পরবর্তী অনুসন্ধানে পাওয়া যায়, সুইডেনের একটি স্থানীয় সংবাদপত্র Göteborgs-Posten গত ২৬ এপ্রিল, ২০২৫-এ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই প্রতিবেদনে জানানো হয়— সুইডিশ সেক্স ফেডারেশন যৌন প্রতিযোগিতাকে “খেলা” হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব জমা দিয়েছিল। কিন্তু আবেদনটি অসম্পূর্ণ হওয়ায় ন্যাশনাল স্পোর্টস কনফেডারেশন তা প্রত্যাখ্যান করে। ফলে সুইডেনে কোনো আনুষ্ঠানিক যৌন প্রতিযোগিতা বা European Sex Championship আয়োজনের প্রশ্নই ওঠে না।
ভাইরাল হওয়া এই মিথ্যা খবর নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কেউ কেউ মনে করেন বিষয়টি যৌনতা নিয়ে সামাজিক ট্যাবু ভাঙার প্রয়াস হতে পারত, আবার অনেকে একে সম্পূর্ণ হাস্যকর ও অশোভন বলে সমালোচনা করেন। সুতরাং সুইডেনে যৌন প্রতিযোগিতা শুরু হচ্ছে—এই খবরটি সম্পূর্ণ ভুয়ো ও বিভ্রান্তিকর। মূল ঘটনা হলো, যৌনক্রিয়াকে খেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল, কিন্তু সেটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।