চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় সুদের টাকা না দেওয়ায় মরদেহ দাফনে বাধা দেওয়ার মতো চরম অমানবিক ঘটনা ঘটেছে। পরে টাকা বুঝে পাওয়ার পর দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি বলে নিশ্চিত করেছেন দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি হুমায়ুন কবীর।
জানা যায়, শনিবার দুপুরে চিৎলা গ্রামের নতুনপাড়ার রাজমিস্ত্রি হারুন (৪৫) স্ট্রোকজনিত কারণে মেয়ের বাড়িতে মারা যান। পরদিন সকালে মরদেহ গ্রামে পৌঁছালে পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। আসরের নামাজের পর জানাজা ও দাফনের প্রস্তুতি চলছিল।
এ সময় প্রতিবেশী মর্জিনা খাতুন দাবি করেন, হারুনের কাছে তার ১৫ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, টাকার হিসাব না মেটানো পর্যন্ত মরদেহ দাফন করতে দেওয়া হবে না। হঠাৎ এমন দাবিতে শোকাহত পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়ে। শোকের পরিবেশ মুহূর্তেই তর্ক-বিতর্কে পরিণত হয়।
প্রায় দুই ঘণ্টা মরদেহ আটকে রাখার পর শেষ পর্যন্ত পরিবার বাধ্য হয়ে টাকা পরিশোধ করে। টাকা হাতে পেয়েই মর্জিনা ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান। তবে এ ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসী। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আতিয়ার রহমান বলেন, হারুন জীবিত থাকতেই আসল টাকা শোধ করেছিলেন বলে জানা গেছে। মৃত্যুর পর মরদেহ আটকে রেখে সুদের টাকা আদায় করা ঘৃণ্য ও লজ্জাজনক কাজ।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি হুমায়ুন কবীর বলেন, এ বিষয়ে থানায় এখনও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত মর্জিনা খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি বলে নিশ্চিত করেছেন দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি হুমায়ুন কবীর।
জানা যায়, শনিবার দুপুরে চিৎলা গ্রামের নতুনপাড়ার রাজমিস্ত্রি হারুন (৪৫) স্ট্রোকজনিত কারণে মেয়ের বাড়িতে মারা যান। পরদিন সকালে মরদেহ গ্রামে পৌঁছালে পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। আসরের নামাজের পর জানাজা ও দাফনের প্রস্তুতি চলছিল।
এ সময় প্রতিবেশী মর্জিনা খাতুন দাবি করেন, হারুনের কাছে তার ১৫ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, টাকার হিসাব না মেটানো পর্যন্ত মরদেহ দাফন করতে দেওয়া হবে না। হঠাৎ এমন দাবিতে শোকাহত পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়ে। শোকের পরিবেশ মুহূর্তেই তর্ক-বিতর্কে পরিণত হয়।
প্রায় দুই ঘণ্টা মরদেহ আটকে রাখার পর শেষ পর্যন্ত পরিবার বাধ্য হয়ে টাকা পরিশোধ করে। টাকা হাতে পেয়েই মর্জিনা ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান। তবে এ ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসী। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আতিয়ার রহমান বলেন, হারুন জীবিত থাকতেই আসল টাকা শোধ করেছিলেন বলে জানা গেছে। মৃত্যুর পর মরদেহ আটকে রেখে সুদের টাকা আদায় করা ঘৃণ্য ও লজ্জাজনক কাজ।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি হুমায়ুন কবীর বলেন, এ বিষয়ে থানায় এখনও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত মর্জিনা খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।