রোগীর সেজে হাসপাতালের ভেতর ঢুকেছেন দুজন ব্যক্তি। কেউ চিনতে পারেনি তাদের। সাধারণ একজন সেবাগ্রহীতা মনে করেই প্রতিটি বিভাগে তারা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু একটু পরেই বোঝা গেল, তারা শুধু রোগী নন তারা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তা। উদ্দেশ্য একটাই সেবা খাতের দুর্নীতি ও অনিয়মের বাস্তব চিত্র উন্মোচন করা।
রবিবার (২৫ মে) সকাল ১০টা। রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হঠাৎ করেই নেমে আসে এক ভিন্ন রকম উত্তেজনা। হাসপাতালের সেবাদানকারীরা তখনও বুঝতে পারেননি, কাকে কীভাবে সেবা দিচ্ছেন, আর কে সেই সেবার মান যাচাই করতে এসেছেন। ছদ্মবেশী দুদক কর্মকর্তারা কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করেই শুরু করেন অভিযান।
অভিযান পরিচালনা করেন রাজশাহী দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল। প্যাথলজি বিভাগে প্রথমেই চোখে পড়ে নগদ টাকায় পরীক্ষা করানো হচ্ছে—রসিদ ছাড়াই। অথচ কম্পিউটার ও সফটওয়্যার থাকা সত্ত্বেও কাঁচা রসিদে টাকা আদায়ের এই সংস্কৃতি চলছেই।
একের পর এক তথ্য উঠে আসতে থাকে। দেখা যায়, হাসপাতালের তিনটি কেবিনের মধ্যে একটি স্টোর রুম হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। রোগীদের জন্য বরাদ্দ জায়গা সেখানে স্তূপ করে রাখা হয়েছে পুরোনো মালপত্রে। জেনারেটর থাকলেও তা চালু নয়। আর পুরুষ ওয়ার্ডের বাথরুমে নেই দরজা—নেই পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার ন্যূনতম ব্যবস্থা।
পুরুষ ও নারী ওয়ার্ড, শিশু ওয়ার্ড প্রতিটা শাখা ঘুরে দেখা যায় সেবার সংকট। রোগীরা বলছেন, পর্যাপ্ত ডাক্তার মেলে না, ওষুধ মেলে না ঠিকমতো। অথচ হাসপাতালেই এসব থাকার কথা। অনেক সময় রোগীদের নিজ দায়িত্বে বাইরে থেকে পরীক্ষা করাতে পাঠানো হয়, যেটা আইনি নয়।
একজন রোগীর স্বজন বললেন, “ভুলে গেলে আর কেউ খোঁজ নেয় না। আমরা বারবার বলার পরও সেবা পেতে দেরি হয়।”
দুদকের সহকারী পরিচালক আমির হোসেন জানান, “আমরা আগে থেকেই অভিযোগ পেয়েছিলাম। তাই রোগীর সেজে সরাসরি সেবাগ্রহণের অভিজ্ঞতা নিতে চেয়েছিলাম। আমরা যা পেয়েছি, তা উদ্বেগজনক। সব তথ্য প্রাথমিকভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় দপ্তরে পাঠানো হবে। অনুমোদন পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযানে আরও ছিলেন উপ-সহকারী পরিচালক বোরহান উদ্দিন ও নাদিরা বেগম।
পুঠিয়ার স্থানীয় বাসিন্দারা এই অভিযানকে যুগান্তকারী বলে মনে করছেন। তাদের ভাষায়, “দুদক যদি সত্যিই এসব তথ্য নিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেয়, তবে অন্তত সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যসেবার ন্যূনতম অধিকারটা ফিরে পাবে।”
একজন দোকানদার বললেন, “হাসপাতাল মানেই যেন এখন ভোগান্তি। তবে দুদক এসেছে দেখে আশার আলো দেখছি।”
এই অভিযান শুধু একটি দিনের ঘটনা নয়। এটি দেখিয়ে দিয়েছে, স্বাস্থ্যসেবা খাতে লুকিয়ে থাকা অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির শিকড় কতটা গভীরে গাঁথা। তবে জনস্বার্থে এমন অভিযান যদি নিয়মিত হয়, আর যদি সে অনুযায়ী দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় তবে হয়তো একদিন সত্যিকার অর্থেই সরকারি হাসপাতাল হবে গরিবের আশ্রয়স্থল।
রবিবার (২৫ মে) সকাল ১০টা। রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হঠাৎ করেই নেমে আসে এক ভিন্ন রকম উত্তেজনা। হাসপাতালের সেবাদানকারীরা তখনও বুঝতে পারেননি, কাকে কীভাবে সেবা দিচ্ছেন, আর কে সেই সেবার মান যাচাই করতে এসেছেন। ছদ্মবেশী দুদক কর্মকর্তারা কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করেই শুরু করেন অভিযান।
অভিযান পরিচালনা করেন রাজশাহী দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল। প্যাথলজি বিভাগে প্রথমেই চোখে পড়ে নগদ টাকায় পরীক্ষা করানো হচ্ছে—রসিদ ছাড়াই। অথচ কম্পিউটার ও সফটওয়্যার থাকা সত্ত্বেও কাঁচা রসিদে টাকা আদায়ের এই সংস্কৃতি চলছেই।
একের পর এক তথ্য উঠে আসতে থাকে। দেখা যায়, হাসপাতালের তিনটি কেবিনের মধ্যে একটি স্টোর রুম হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। রোগীদের জন্য বরাদ্দ জায়গা সেখানে স্তূপ করে রাখা হয়েছে পুরোনো মালপত্রে। জেনারেটর থাকলেও তা চালু নয়। আর পুরুষ ওয়ার্ডের বাথরুমে নেই দরজা—নেই পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার ন্যূনতম ব্যবস্থা।
পুরুষ ও নারী ওয়ার্ড, শিশু ওয়ার্ড প্রতিটা শাখা ঘুরে দেখা যায় সেবার সংকট। রোগীরা বলছেন, পর্যাপ্ত ডাক্তার মেলে না, ওষুধ মেলে না ঠিকমতো। অথচ হাসপাতালেই এসব থাকার কথা। অনেক সময় রোগীদের নিজ দায়িত্বে বাইরে থেকে পরীক্ষা করাতে পাঠানো হয়, যেটা আইনি নয়।
একজন রোগীর স্বজন বললেন, “ভুলে গেলে আর কেউ খোঁজ নেয় না। আমরা বারবার বলার পরও সেবা পেতে দেরি হয়।”
দুদকের সহকারী পরিচালক আমির হোসেন জানান, “আমরা আগে থেকেই অভিযোগ পেয়েছিলাম। তাই রোগীর সেজে সরাসরি সেবাগ্রহণের অভিজ্ঞতা নিতে চেয়েছিলাম। আমরা যা পেয়েছি, তা উদ্বেগজনক। সব তথ্য প্রাথমিকভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় দপ্তরে পাঠানো হবে। অনুমোদন পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযানে আরও ছিলেন উপ-সহকারী পরিচালক বোরহান উদ্দিন ও নাদিরা বেগম।
পুঠিয়ার স্থানীয় বাসিন্দারা এই অভিযানকে যুগান্তকারী বলে মনে করছেন। তাদের ভাষায়, “দুদক যদি সত্যিই এসব তথ্য নিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেয়, তবে অন্তত সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যসেবার ন্যূনতম অধিকারটা ফিরে পাবে।”
একজন দোকানদার বললেন, “হাসপাতাল মানেই যেন এখন ভোগান্তি। তবে দুদক এসেছে দেখে আশার আলো দেখছি।”
এই অভিযান শুধু একটি দিনের ঘটনা নয়। এটি দেখিয়ে দিয়েছে, স্বাস্থ্যসেবা খাতে লুকিয়ে থাকা অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির শিকড় কতটা গভীরে গাঁথা। তবে জনস্বার্থে এমন অভিযান যদি নিয়মিত হয়, আর যদি সে অনুযায়ী দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় তবে হয়তো একদিন সত্যিকার অর্থেই সরকারি হাসপাতাল হবে গরিবের আশ্রয়স্থল।