প্রতিহিংসার জেরে প্রেমিকের যৌনাঙ্গ কেটে নেওয়ার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় এক বাংলাদেশি মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মালয়েশিয়ার জোহরের গেলাং পাতাহ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে ।
৩৪ বছর বয়সী ওই মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তাঁর ৩৩ বছর বয়সী প্রেমিকের বৈবাহিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারার পর এই নৃশংস কাণ্ড ঘটিয়েছেন ওই নারী।
বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে কাম্পুং লোকেনে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মহিলা জানতে পারেন তাঁর প্রেমিকও একজন বাংলাদেশি। এখনও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করেননি এবং মালয়েশিয়ায় তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক থাকা সত্বেও বাংলাদেশে নিজের স্ত্রীকে তালাক দেননি। এ বিষয় নিয়ে দু’জনের মধ্যে তীব্র ঝগড়া হয়। ফলে দ্রুতই সহিংসতায় রূপ নেয়।
ইস্কান্দার পুতেরি পুলিশ প্রধান, এসিপি এম কুমারাসান জানিয়েছেন, উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের এক পর্যায়ে অভিযুক্ত মহিলা একটি ২৯ সেন্টিমিটার লম্বা ছুরি প্রেমিকের যৌনাঙ্গ কেটে শরীর থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে দেন এবং তাঁর বাঁ হাতে গুরুতর আঘাত লাগে। এছাড়া তাঁর শরীরে আরও একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য জোহর বাহরুর সুলতানাহ আমিনাহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
৪৭ বছর বয়সী এক স্থানীয় ব্যক্তির দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুই ঘণ্টার মধ্যে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেন। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে হামলায় ব্যবহৃত ছুরি জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, ঈর্ষা এবং বিশ্বাসঘাতকতার কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ নিশ্চিত করেছে, অভিযুক্ত মহিলার পূর্বে কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড ছিল না এবং তাঁর মাদক পরীক্ষার ফলাফলও নেতিবাচক এসেছে। বৈধ অভিবাসন কাগজপত্র না থাকায়, অভিযুক্ত মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৯ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ মালয়েশিয়ার দণ্ডবিধির ৩২৬ ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছে। যেখানে অস্ত্র দিয়ে গুরুতর আঘাত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই ধারায় দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ড এবং জরিমানার বিধান রয়েছে।
এছাড়াও, তাঁর বিরুদ্ধে ১৯৫৯/৬৩ সালের ইমিগ্রেশন আইনের ৬(১)(সি) ধারার অধীনে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ এবং বসবাসের অভিযোগ আনা হয়েছে। যার জন্য ৫ বছরের কারাদণ্ড, জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে লোরেনা বছরের পর বছর ধরে চলা নির্যাতনের পর তার স্বামী জন ববিটের যৌনাঙ্গ কেটে ফেলেছিলেন।
স্থানীয় দৈনিক সিনার হারিয়ান প্রথম এই খবরটি প্রকাশ করে, যা পরে ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে এবং মালয় মেইল-এর মতো সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়। মালয়েশিয়ার সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা এই ঘটনার নৃশংসতায় হতবাক এবং অবিশ্বাস প্রকাশ করেছেন। অনেকেই এটিকে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বিরক্তিকর ব্যক্তিগত সহিংসতার ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন।
এ ঘটনায় প্রবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য এবং সম্পর্কজনিত চাপের বিষয়টিকেও সামনে এনেছে।
৩৪ বছর বয়সী ওই মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তাঁর ৩৩ বছর বয়সী প্রেমিকের বৈবাহিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারার পর এই নৃশংস কাণ্ড ঘটিয়েছেন ওই নারী।
বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে কাম্পুং লোকেনে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মহিলা জানতে পারেন তাঁর প্রেমিকও একজন বাংলাদেশি। এখনও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করেননি এবং মালয়েশিয়ায় তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক থাকা সত্বেও বাংলাদেশে নিজের স্ত্রীকে তালাক দেননি। এ বিষয় নিয়ে দু’জনের মধ্যে তীব্র ঝগড়া হয়। ফলে দ্রুতই সহিংসতায় রূপ নেয়।
ইস্কান্দার পুতেরি পুলিশ প্রধান, এসিপি এম কুমারাসান জানিয়েছেন, উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের এক পর্যায়ে অভিযুক্ত মহিলা একটি ২৯ সেন্টিমিটার লম্বা ছুরি প্রেমিকের যৌনাঙ্গ কেটে শরীর থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে দেন এবং তাঁর বাঁ হাতে গুরুতর আঘাত লাগে। এছাড়া তাঁর শরীরে আরও একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য জোহর বাহরুর সুলতানাহ আমিনাহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
৪৭ বছর বয়সী এক স্থানীয় ব্যক্তির দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুই ঘণ্টার মধ্যে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেন। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে হামলায় ব্যবহৃত ছুরি জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, ঈর্ষা এবং বিশ্বাসঘাতকতার কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ নিশ্চিত করেছে, অভিযুক্ত মহিলার পূর্বে কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড ছিল না এবং তাঁর মাদক পরীক্ষার ফলাফলও নেতিবাচক এসেছে। বৈধ অভিবাসন কাগজপত্র না থাকায়, অভিযুক্ত মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৯ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ মালয়েশিয়ার দণ্ডবিধির ৩২৬ ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছে। যেখানে অস্ত্র দিয়ে গুরুতর আঘাত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই ধারায় দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ড এবং জরিমানার বিধান রয়েছে।
এছাড়াও, তাঁর বিরুদ্ধে ১৯৫৯/৬৩ সালের ইমিগ্রেশন আইনের ৬(১)(সি) ধারার অধীনে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ এবং বসবাসের অভিযোগ আনা হয়েছে। যার জন্য ৫ বছরের কারাদণ্ড, জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে লোরেনা বছরের পর বছর ধরে চলা নির্যাতনের পর তার স্বামী জন ববিটের যৌনাঙ্গ কেটে ফেলেছিলেন।
স্থানীয় দৈনিক সিনার হারিয়ান প্রথম এই খবরটি প্রকাশ করে, যা পরে ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে এবং মালয় মেইল-এর মতো সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়। মালয়েশিয়ার সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা এই ঘটনার নৃশংসতায় হতবাক এবং অবিশ্বাস প্রকাশ করেছেন। অনেকেই এটিকে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বিরক্তিকর ব্যক্তিগত সহিংসতার ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন।
এ ঘটনায় প্রবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য এবং সম্পর্কজনিত চাপের বিষয়টিকেও সামনে এনেছে।