আধুনিক জীবনে মোবাইল, ল্যাপটপ ও ট্যাবের সঙ্গে সময় কাটানো এখন ‘নিউ নর্মাল’। কিন্তু এই অভ্যাস আমাদের ঘাড়, পিঠ ও পেশিতে চাপ বাড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শুধু শারীরিক ক্ষতি নয়, ভুল ভঙ্গি মানসিক চাপ ও বিষণ্নতাকেও বাড়াতে পারে।
মার্কিন কাইরোপ্র্যাকটর ড. শুলম্যান বলেন, “যারা সবসময় কুঁজো হয়ে বসেন বা হাঁটেন, তাদের মধ্যে সাধারণত বিষণ্নতা ও অসন্তুষ্টির অনুভূতি বেশি দেখা যায়।” নবি মুম্বইয়ের চিকিৎসক ড. নীতিন মেনন এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, "ঝুঁকে থাকা ভঙ্গি মস্তিষ্ককে ‘পরাজয় বা অসহায়তার সংকেত’ দেয়। ফলে মন খারাপ থাকে এবং উদ্বেগ বাড়ে।"
মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. শিব কাটারিয়া বলেন, “ফোন ধরার সময় মানুষ প্রায়ই শরীর গুটিয়ে ফেলে, যেন নিজের চারপাশে অদৃশ্য দেওয়াল টেনে নেয়। এতে একাকীত্ব ও বিচ্ছিন্নতা বেড়ে যায়। ফোন তখন একদিকে উত্তেজনা, অন্যদিকে মানসিক ভরসা হিসেবে কাজ করে।”
চিকিৎসকরা শারীরিক ভঙ্গি ঠিক রাখার সহজ কিছু উপায় বাতলে দিয়েছেন-
স্ক্রিন চোখের সমানে রাখুন: ফোন বা মনিটর নীচে নয়, আপনার চোখের উচ্চতায় রাখুন, যাতে ঝুঁকে ব্যবহারের প্রবণতা কমায়।
২০-২০-২০ নিয়ম: প্রতি ২০ মিনিটে ২০ সেকেন্ডের বিরতি নিন, ২০ ফুট দূরে তাকান এবং কাঁধ বা ঘাড় নড়াচড়া করুন।
উঁচুতে বই বা ট্যাব ব্যবহার করুন: বালিশ বা বুকস্ট্যান্ডে রাখলে নিচু হয়ে পড়তে হয় না।
সঠিক চেয়ার ও টেবিল ব্যবহার: পিঠ সাপোর্ট দেবে, পা মেঝেতে থাকবে, আর স্ক্রিন চোখের ঠিক নীচে বা সমান উচ্চতায় থাকবে।
পোশ্চারাল ব্যায়াম: নিয়মিত চিবুক টান, রো ও স্ক্যাপুলার স্কুইজের মতো ব্যায়াম করুন।
আজকের দিনে স্ক্রিন ছাড়া থাকা প্রায় অসম্ভব। তাই নিখুঁত ভঙ্গি হয়তো ২০২৫ সালে একপ্রকার ‘মিথ’, কিন্তু তা ঠিক করা অসম্ভব নয়। ছোট ছোট সচেতন অভ্যাস ও নিয়মিত অনুশীলনেই সম্ভব শরীর ও মন, দুটোই হালকা রাখা।
মার্কিন কাইরোপ্র্যাকটর ড. শুলম্যান বলেন, “যারা সবসময় কুঁজো হয়ে বসেন বা হাঁটেন, তাদের মধ্যে সাধারণত বিষণ্নতা ও অসন্তুষ্টির অনুভূতি বেশি দেখা যায়।” নবি মুম্বইয়ের চিকিৎসক ড. নীতিন মেনন এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, "ঝুঁকে থাকা ভঙ্গি মস্তিষ্ককে ‘পরাজয় বা অসহায়তার সংকেত’ দেয়। ফলে মন খারাপ থাকে এবং উদ্বেগ বাড়ে।"
মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. শিব কাটারিয়া বলেন, “ফোন ধরার সময় মানুষ প্রায়ই শরীর গুটিয়ে ফেলে, যেন নিজের চারপাশে অদৃশ্য দেওয়াল টেনে নেয়। এতে একাকীত্ব ও বিচ্ছিন্নতা বেড়ে যায়। ফোন তখন একদিকে উত্তেজনা, অন্যদিকে মানসিক ভরসা হিসেবে কাজ করে।”
চিকিৎসকরা শারীরিক ভঙ্গি ঠিক রাখার সহজ কিছু উপায় বাতলে দিয়েছেন-
স্ক্রিন চোখের সমানে রাখুন: ফোন বা মনিটর নীচে নয়, আপনার চোখের উচ্চতায় রাখুন, যাতে ঝুঁকে ব্যবহারের প্রবণতা কমায়।
২০-২০-২০ নিয়ম: প্রতি ২০ মিনিটে ২০ সেকেন্ডের বিরতি নিন, ২০ ফুট দূরে তাকান এবং কাঁধ বা ঘাড় নড়াচড়া করুন।
উঁচুতে বই বা ট্যাব ব্যবহার করুন: বালিশ বা বুকস্ট্যান্ডে রাখলে নিচু হয়ে পড়তে হয় না।
সঠিক চেয়ার ও টেবিল ব্যবহার: পিঠ সাপোর্ট দেবে, পা মেঝেতে থাকবে, আর স্ক্রিন চোখের ঠিক নীচে বা সমান উচ্চতায় থাকবে।
পোশ্চারাল ব্যায়াম: নিয়মিত চিবুক টান, রো ও স্ক্যাপুলার স্কুইজের মতো ব্যায়াম করুন।
আজকের দিনে স্ক্রিন ছাড়া থাকা প্রায় অসম্ভব। তাই নিখুঁত ভঙ্গি হয়তো ২০২৫ সালে একপ্রকার ‘মিথ’, কিন্তু তা ঠিক করা অসম্ভব নয়। ছোট ছোট সচেতন অভ্যাস ও নিয়মিত অনুশীলনেই সম্ভব শরীর ও মন, দুটোই হালকা রাখা।