ব্যথা-বেদনা এখন আর বয়স মেনে হয় না। বিশেষ করে আর্থ্রাইটিসের মতো সমস্যা যে কোনও বয়সে এসে হানা দিতে পারে। তা ছাড়া রোজের জীবনে যে একটানা অনিয়ম চলে, তার প্রভাব পড়ে জীবনে। দীর্ঘ ক্ষণ এক জায়গায় বসে থেকে পেশিগুলি শক্ত হয়ে যায়। সেখান থেকেই ব্যথা-বেদনার সূত্রপাত। আর বয়স বাড়লে সেটাই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কার্ডিয়োলজিস্ট দেবী শেট্টি জানিয়েছেন, ৫৫ বছর বয়স থেকেই তিনি হাঁটুর তীব্র যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। এখন তাঁর বয়স ৭২, তবে এখন তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ।
কোনও রকম অস্ত্রোপচার ছাড়াই কী ভাবে তিনি হাঁটুর যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেলেন, তা খুলে বলেছেন দেবী শেট্টি। চিকিৎসক বলেন, ‘‘যোগাসনই আমার হাঁটুর ব্যথার মূল দাওয়াই। বিশ্বাস করুন, এতটুকুও বাড়িয়ে বলছি না! আমি মাত্র দু’-থেকে তিন মাস হল যোগাভ্যাস করছি, আর আমার হাঁটুর ব্যথা এ্কেবারে উধাও হয়ে গিয়েছে। যদি এখন জিজ্ঞেস করেন, আমার ঠিক কোন হাঁটুতে ব্যথা ছিল, সেটাও আমি ভুলে গিয়েছি।’’
হাঁটুর যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে কোনও বেদনানাশক ওষুধ খাননি দেবী শেট্টি। হঠাৎ কেন যোগাসনে মন দিলেন তিনি? প্রশ্নের জবাবে চিকিৎসক বলেন, ‘‘আমার যখন বয়স কম ছিল তখন আমি ‘বডি বিল্ডার’ ছিলাম, মার্শাল আর্টও করতাম। যখন ৫৫ বছর বয়স হল, তখন থেকেই হাঁটুর ব্যথা শুরু হল। আমার স্ত্রী সারা ক্ষণ আমায় জোর করত যোগাসন শুরু করার জন্য, ওর কথাতেই আমি যোগাভ্যাস শুরু করি।’’
কোন কোন যোগাসনে হবে কাজ?
ভুজঙ্গাসন
ম্যাটের উপর উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার হাতের তালু মেঝের উপর ভর দিয়ে পাঁজরের দুই পাশে রাখুন। কোমর থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে রেখে হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে বাকি শরীরটা ধীরে ধীরে উপরের দি্কে তুলুন। এর পর মাথা বেঁকিয়ে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকার পর পূর্বের অবস্থায় ফিরে যান। প্রথম দিকে এই আসন তিন বার করুন। পরবর্তী কালে ৫-৬ বারও করতে পারেন।
পশ্চিমোত্তনাসন
প্রথমে দুই পা টান টান করে সোজা হয়ে বসুন। শ্বাস নিতে নিতে দুই হাত মাথার উপরে তুলুন। শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে হাত-সহ কোমর থেকে সামনের দিকে বেশ খানিকটা ঝুঁকে মুখ হাঁটুতে স্পর্শ করুন। আসন করার সময় পেট ভিতরের দিকে হালকা টেনে রাখুন। আগের অবস্থায় ফেরার সময়ে শ্বাস নিতে নিতে হাত ওঠান এবং শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে হাত নামিয়ে নিন। দিনে তিন থেকে পাঁচ বার এটি করুন।
সেতুবন্ধ সর্বাঙ্গাসন
মেঝেতে পিঠ সোজা করে শুয়ে পড়ুন। এর পর হাঁটু দু’টি বেঁকিয়ে নিন। মেঝেতে হাত দু’টি সোজা করে ছড়িয়ে রাখুন। পায়ের পাতা এবং হাত দিয়ে খুব শক্ত করে মেঝেতে ভর দিয়ে রাখুন। এর পর ধীরে ধীরে শরীরের পিছনের অংশ মেঝে থেকে উপরের দিকে তুলে ধরুন।
হাঁটুর সমস্যা থাকলে যোগাসন শুরু করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। শুরুর দিকে প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানেই ব্যয়াম করুন, না হলে হিতে বিপরীতও হতে পারে।
কোনও রকম অস্ত্রোপচার ছাড়াই কী ভাবে তিনি হাঁটুর যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেলেন, তা খুলে বলেছেন দেবী শেট্টি। চিকিৎসক বলেন, ‘‘যোগাসনই আমার হাঁটুর ব্যথার মূল দাওয়াই। বিশ্বাস করুন, এতটুকুও বাড়িয়ে বলছি না! আমি মাত্র দু’-থেকে তিন মাস হল যোগাভ্যাস করছি, আর আমার হাঁটুর ব্যথা এ্কেবারে উধাও হয়ে গিয়েছে। যদি এখন জিজ্ঞেস করেন, আমার ঠিক কোন হাঁটুতে ব্যথা ছিল, সেটাও আমি ভুলে গিয়েছি।’’
হাঁটুর যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে কোনও বেদনানাশক ওষুধ খাননি দেবী শেট্টি। হঠাৎ কেন যোগাসনে মন দিলেন তিনি? প্রশ্নের জবাবে চিকিৎসক বলেন, ‘‘আমার যখন বয়স কম ছিল তখন আমি ‘বডি বিল্ডার’ ছিলাম, মার্শাল আর্টও করতাম। যখন ৫৫ বছর বয়স হল, তখন থেকেই হাঁটুর ব্যথা শুরু হল। আমার স্ত্রী সারা ক্ষণ আমায় জোর করত যোগাসন শুরু করার জন্য, ওর কথাতেই আমি যোগাভ্যাস শুরু করি।’’
কোন কোন যোগাসনে হবে কাজ?
ভুজঙ্গাসন
ম্যাটের উপর উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার হাতের তালু মেঝের উপর ভর দিয়ে পাঁজরের দুই পাশে রাখুন। কোমর থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে রেখে হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে বাকি শরীরটা ধীরে ধীরে উপরের দি্কে তুলুন। এর পর মাথা বেঁকিয়ে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকার পর পূর্বের অবস্থায় ফিরে যান। প্রথম দিকে এই আসন তিন বার করুন। পরবর্তী কালে ৫-৬ বারও করতে পারেন।
পশ্চিমোত্তনাসন
প্রথমে দুই পা টান টান করে সোজা হয়ে বসুন। শ্বাস নিতে নিতে দুই হাত মাথার উপরে তুলুন। শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে হাত-সহ কোমর থেকে সামনের দিকে বেশ খানিকটা ঝুঁকে মুখ হাঁটুতে স্পর্শ করুন। আসন করার সময় পেট ভিতরের দিকে হালকা টেনে রাখুন। আগের অবস্থায় ফেরার সময়ে শ্বাস নিতে নিতে হাত ওঠান এবং শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে হাত নামিয়ে নিন। দিনে তিন থেকে পাঁচ বার এটি করুন।
সেতুবন্ধ সর্বাঙ্গাসন
মেঝেতে পিঠ সোজা করে শুয়ে পড়ুন। এর পর হাঁটু দু’টি বেঁকিয়ে নিন। মেঝেতে হাত দু’টি সোজা করে ছড়িয়ে রাখুন। পায়ের পাতা এবং হাত দিয়ে খুব শক্ত করে মেঝেতে ভর দিয়ে রাখুন। এর পর ধীরে ধীরে শরীরের পিছনের অংশ মেঝে থেকে উপরের দিকে তুলে ধরুন।
হাঁটুর সমস্যা থাকলে যোগাসন শুরু করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। শুরুর দিকে প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানেই ব্যয়াম করুন, না হলে হিতে বিপরীতও হতে পারে।