সৌদি আরবে কর্মরত বাংলাদেশী গৃহকর্মী রুনা আক্তার (ছদ্মনাম) তার কর্মস্থলে এক অস্থিতিশীল ও উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন। তার গৃহকর্তার আপত্তিকর আচরণ এবং হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড রুনার মানসিক নিরাপত্তাকে মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত করছে। রুনা, যিনি তার মৃত স্বামীর রেখে যাওয়া দুই সন্তানের ভবিষ্যতের আশায় সুদূর প্রবাসে পাড়ি জমিয়েছেন, এখন নিজের নিরাপত্তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তিত।
রুনার ভাষ্যমতে, তার গৃহকর্তা শুরু থেকেই তার প্রতি 'খারাপ নজরে' তাকাতেন এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ করতেন। একদিন তিনি রুনাকে প্রায় ১০ হাজার বাংলাদেশী টাকার সমপরিমাণ অর্থ দেন, যা তিনি রুনার প্রতি 'ভালো লাগা' থেকে দিয়েছেন বলে জানান। রুনা প্রথমে ভেবেছিলেন, তার অসহায়ত্ব এবং বিধবা হিসেবে দুই সন্তানের জননী হওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করেই হয়তো গৃহকর্তা তাকে মায়া করেছেন।
ঘটনার মোড় নেয় যখন গৃহকর্তা রুনাকে একটি মোবাইল ফোন উপহার দেন, সিমসহ সবকিছু সেট করে। রুনা এতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং গৃহকর্তার প্রশংসা করেন। গৃহকর্তা তাকে মোবাইল ব্যবহার, বিশেষ করে কল করা, ইমো এবং হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার শেখাতে শুরু করেন। রুনা যখন একটু দূরে বসে শিখতে চাইছিলেন, তখন গৃহকর্তা তাকে কাছে ডাকেন। এই সময় আকস্মিকভাবে গৃহকর্ত্রী রুমে প্রবেশ করলে রুনা দ্রুত দূরত্ব বজায় রাখেন। গৃহকর্তা তখন তার স্ত্রীকে বলেন যে তিনি রুনাকে মোবাইল চালানো শেখাচ্ছেন, ফলে গৃহকর্ত্রী বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নেন এবং রুনাকে মোবাইল কিনে দেওয়ায় খুশি হন। রুনা তার গৃহকর্ত্রীকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে উল্লেখ করলেও, গৃহকর্তার চোখের ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি তাকে সবসময়ই আতঙ্কিত করতো।
মোবাইল পাওয়ার পর রুনা নিয়মিত তার সন্তানদের সাথে কথা বলতে শুরু করেন। তিনি তার ছেলে-মেয়ের পড়াশোনা ও ভরণপোষণের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছেন। তিনি দ্বিতীয় বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যেন তার সন্তানদের সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারেন।
তবে, রুনার মানসিক শান্তি বিঘ্নিত হয় এক রাতে, যখন তার নতুন মোবাইলে একটি অপরিচিত সৌদি নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে আপত্তিকর ভিডিও আসে। ভিডিওগুলো ছিল বিদেশী ছেলে-মেয়ের 'সেক্সের' দৃশ্য। রুনা মেসেজ করে প্রেরকের পরিচয় জানতে চাইলেও, আবারও একই ধরনের ভিডিও পাঠানো হয়। তিনি কল করে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন, কিন্তু কল রিসিভ করা হয়নি। তিনি তখনো মোবাইল ব্লকের প্রক্রিয়া জানতেন না।
পরদিন সকালে গৃহকর্তার সামনে পড়লে রুনা তার দৃষ্টিতে সন্দেহ দেখতে পান এবং মনে করেন, এই মোবাইল নম্বর যেহেতু গৃহকর্তাই দিয়েছেন এবং একমাত্র তিনিই জানেন, তাই হয়তো তিনিই এই আপত্তিকর ভিডিওগুলো পাঠিয়েছেন।
সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটে যখন গৃহকর্ত্রী দুই দিনের জন্য তার বাপের বাড়িতে বেড়াতে যান এবং রুনাকে একা রেখে যান। গৃহকর্তাও তার স্ত্রীর সাথে যাবেন বলে রুনা শুনেছিলেন। কিন্তু গৃহকর্ত্রী চলে যাওয়ার পর, যখন রুনা নিজের ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন, রাত আনুমানিক ১১টায় কলিংবেল বেজে ওঠে এবং দরজার ফাঁক দিয়ে রুনা দেখতে পান তার গৃহকর্তা বাড়িতে এসেছেন।
এই পরিস্থিতি রুনাকে চরম দুশ্চিন্তায় ফেলেছে। তিনি তার নিরাপত্তা এবং কর্মস্থলে সম্মানজনক পরিবেশ নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।প্রবাসে একজন অসহায় বিধবা নারীর প্রতি এমন আচরণ শুধু অনৈতিক নয়, বরং তার মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন। এ ঘটনা বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশী নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও কাজের পরিবেশ নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উত্থাপন করেছে।
রুনার ভাষ্যমতে, তার গৃহকর্তা শুরু থেকেই তার প্রতি 'খারাপ নজরে' তাকাতেন এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ করতেন। একদিন তিনি রুনাকে প্রায় ১০ হাজার বাংলাদেশী টাকার সমপরিমাণ অর্থ দেন, যা তিনি রুনার প্রতি 'ভালো লাগা' থেকে দিয়েছেন বলে জানান। রুনা প্রথমে ভেবেছিলেন, তার অসহায়ত্ব এবং বিধবা হিসেবে দুই সন্তানের জননী হওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করেই হয়তো গৃহকর্তা তাকে মায়া করেছেন।
ঘটনার মোড় নেয় যখন গৃহকর্তা রুনাকে একটি মোবাইল ফোন উপহার দেন, সিমসহ সবকিছু সেট করে। রুনা এতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং গৃহকর্তার প্রশংসা করেন। গৃহকর্তা তাকে মোবাইল ব্যবহার, বিশেষ করে কল করা, ইমো এবং হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার শেখাতে শুরু করেন। রুনা যখন একটু দূরে বসে শিখতে চাইছিলেন, তখন গৃহকর্তা তাকে কাছে ডাকেন। এই সময় আকস্মিকভাবে গৃহকর্ত্রী রুমে প্রবেশ করলে রুনা দ্রুত দূরত্ব বজায় রাখেন। গৃহকর্তা তখন তার স্ত্রীকে বলেন যে তিনি রুনাকে মোবাইল চালানো শেখাচ্ছেন, ফলে গৃহকর্ত্রী বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নেন এবং রুনাকে মোবাইল কিনে দেওয়ায় খুশি হন। রুনা তার গৃহকর্ত্রীকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে উল্লেখ করলেও, গৃহকর্তার চোখের ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি তাকে সবসময়ই আতঙ্কিত করতো।
মোবাইল পাওয়ার পর রুনা নিয়মিত তার সন্তানদের সাথে কথা বলতে শুরু করেন। তিনি তার ছেলে-মেয়ের পড়াশোনা ও ভরণপোষণের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছেন। তিনি দ্বিতীয় বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যেন তার সন্তানদের সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারেন।
তবে, রুনার মানসিক শান্তি বিঘ্নিত হয় এক রাতে, যখন তার নতুন মোবাইলে একটি অপরিচিত সৌদি নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে আপত্তিকর ভিডিও আসে। ভিডিওগুলো ছিল বিদেশী ছেলে-মেয়ের 'সেক্সের' দৃশ্য। রুনা মেসেজ করে প্রেরকের পরিচয় জানতে চাইলেও, আবারও একই ধরনের ভিডিও পাঠানো হয়। তিনি কল করে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন, কিন্তু কল রিসিভ করা হয়নি। তিনি তখনো মোবাইল ব্লকের প্রক্রিয়া জানতেন না।
পরদিন সকালে গৃহকর্তার সামনে পড়লে রুনা তার দৃষ্টিতে সন্দেহ দেখতে পান এবং মনে করেন, এই মোবাইল নম্বর যেহেতু গৃহকর্তাই দিয়েছেন এবং একমাত্র তিনিই জানেন, তাই হয়তো তিনিই এই আপত্তিকর ভিডিওগুলো পাঠিয়েছেন।
সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটে যখন গৃহকর্ত্রী দুই দিনের জন্য তার বাপের বাড়িতে বেড়াতে যান এবং রুনাকে একা রেখে যান। গৃহকর্তাও তার স্ত্রীর সাথে যাবেন বলে রুনা শুনেছিলেন। কিন্তু গৃহকর্ত্রী চলে যাওয়ার পর, যখন রুনা নিজের ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন, রাত আনুমানিক ১১টায় কলিংবেল বেজে ওঠে এবং দরজার ফাঁক দিয়ে রুনা দেখতে পান তার গৃহকর্তা বাড়িতে এসেছেন।
এই পরিস্থিতি রুনাকে চরম দুশ্চিন্তায় ফেলেছে। তিনি তার নিরাপত্তা এবং কর্মস্থলে সম্মানজনক পরিবেশ নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।প্রবাসে একজন অসহায় বিধবা নারীর প্রতি এমন আচরণ শুধু অনৈতিক নয়, বরং তার মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন। এ ঘটনা বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশী নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও কাজের পরিবেশ নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উত্থাপন করেছে।