ঢাকা , শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫ , ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
৫০ পেরোতেই মলাইকার জীবনে নতুন কেউ নিজের চেষ্টায় জায়গা করেছেন বলিউডে, অযাচিত ‘ব্যক্তিগত আক্রমণ’ কী ভাবে এড়িয়ে যান সারা? কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে মানববন্ধন ভোলায় পুকুরে গোসল করতে নেমে দুই চাচাতো বোনের মৃত্যু নভেম্বরেই গণভোট চায় জামায়াতসহ ৮ দল নিজের চেষ্টায় জায়গা করেছি বলিউডে: সারা ব্যথা-বেদনা থেকে নিস্তার পেতে বদলে ফেলুন রান্নার তেল গরুর মাংস খাওয়া প্রসঙ্গে যা বললেন রণবীর কাপুর জেলে যেভাবে কাটছে ফুটবলার রবিনহোর সময় প্রশান্ত মহাসাগরে ধ্বংস করা হল আরও এক মাদকবোঝাই নৌকা! জুমার রাতে সুরা দোখান পাঠের ফজিলত গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ জনের মৃত্যু কৌশানির নাচের মাঝেই মঞ্চে ধরে গেল আগুন ইসির প্রতীক তালিকায় যুক্ত হলো ‘শাপলা কলি’ রাশমিকা মন্দানা ভালো মা হতে চান আগে রয়টার্সে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার পড়ি, পরে মন্তব্য : প্রেস সচিব বলিউড অভিনেত্রীর দাউদ ইব্রাহিমকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য রাজশাহী বিভাগীয় বইমেলায় দরিদ্র পাঠকদের জন্য থাকছে পুরাতন বই বদলের সুযোগ পাকিস্তানের আকাশে হঠাৎ অদ্ভুত মেঘ, ঘটনা কী? ভারতে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গাওয়ায় দেশদ্রোহিতা মামলার নির্দেশ

প্রভাবশালী ৫ নারী সাহাবি

  • আপলোড সময় : ২১-১০-২০২৫ ০২:৪৪:৩৫ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২১-১০-২০২৫ ০২:৪৪:৩৫ অপরাহ্ন
প্রভাবশালী ৫ নারী সাহাবি ছবি: সংগৃহীত
ইসলামের সূচনাকালে মক্কায় ও মদিনায় ইসলামী সমাজ গঠন ও মুসলিম সমাজের চিন্তা, চেতনা ও জীবনধারায় ব্যাপক অবদান রেখেছেন নারী সাহাবিরা। ইসলামের প্রাথমিক যুগে তারা যে অবদান রেখেছেন এখনো তার প্রভাব রয়ে গেছে মুসলিম সমাজে। তাদের ত্যাগ, ভালোবাসা, বিশ্বাস, নিষ্ঠা ও প্রজ্ঞা আজও মুসলিম নারী-পুরুষের প্রেরণার উৎস হয়ে আছে।

ইতিহাসের পাতায় নারী সাহাবিরা যে আলো ছড়িয়ে গেছেন, তা আজও মুসলিম উম্মাহের জন্য দিশারি। ইসলামী ইতিহাসের ৫ জন প্রভাবশালী নারী সাহাবি ও তাদের অনন্য কীর্তি তুলে ধরা হলো—

১. খাদিজা বিনতে খুয়ায়লিদ (রা.)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রথম স্ত্রী খাদিজা (রা.) ইসলামী ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী ও অনুপ্রেরণাদায়ী নারীদের একজন। উম্মাহাতুল মুমিনীন বা ‘মুমিনদের জননী’ খ্যাত এই মহীয়সী নারী ইসলাম প্রতিষ্ঠার প্রথম যুগে প্রায় একাই মহানবীকে (সা.) সহযোগিতা ও অর্থায়ন করেছিলেন।

নিজস্ব ব্যবসা-বাণিজ্যে সফল খাদিজা (রা.) ছিলেন মক্কার ধনী ও সম্মানিত নারী। নবুয়তের পূর্বে তিনি মুহাম্মদকে (সা.) ব্যবসার কাজে নিয়োগ দিয়েছিলেন এবং পরবর্তীতে নিজেই বিয়ের প্রস্তাব দেন। নবী করিম (সা.) তার প্রস্তাবে সম্মতি জানান এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আর কোনো নারীকে বিয়ে করেননি।

৬২০ খ্রিষ্টাব্দে খাদিজা (রা.) ইন্তেকাল করলে নবীজি (সা.) নিজ হাতে  তাকে কবরে দাফন করেন। ইসলামের কঠিনতম দিনগুলোতে মহানবীকে (সা.) সহায়তা করার জন্য ইতিহাসে তিনি অমর হয়ে আছেন।

২. ফাতিমা বিনতে মুহাম্মদ (রা.)
রাসুলুল্লাহ (সা.) ও খাদিজা (রা.)-এর কন্যা ফাতিমা (রা.) ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ও ঈমানদার নারী। নবী করিম (সা.) তাকে ইসলামী জ্ঞানে শিক্ষা দিয়েছিলেন এবং তিনি কঠিনতম সময়েও ঈমানের ওপর অটল ছিলেন।

প্রতিদিন ফজরে নামাজে যাওয়ার পথে মহানবী (সা.)তার ঘরের সামনে এসে বলতেন, ‘আস-সালামু আলাইকুম, হে নবুওয়াতের ঘর ও বার্তার ধারক পরিবার।’

নবী করিম (সা.) তাকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘যে ফাতিমাকে কষ্ট দেয়, সে আমাকে কষ্ট দেয়; আর যে আমাকে কষ্ট দেয়, সে আল্লাহকে কষ্ট দেয়।’

ফাতিমা (রা.) আলী ইবনে আবি তালিব (রা.)-এর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের সন্তানদের মধ্যে ছিলেন হাসান, হুসাইন, মুহসিন, যায়নাব ও উম্মে কুলসুম। 

ফাতিমা (রা.) মুসলিম নারীদের কাছে ঈমান, নম্রতা ও সাহসিকতার এক অনন্য প্রতীক হয়ে আছেন। ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে তার ইন্তেকাল হয় এবং স্বামী আলী (রা.) তাকে নিজ হাতে দাফন করেন।

৩. যায়নাব বিনতে আলী (রা.)
ফাতিমা (রা.) ও আলীর (রা.) কন্যা যায়নাব (রা.) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের এক অনন্য সাহসী নারী। নবীর দৌহিত্র হুসাইন (রা.)-এর শাহাদাতের সাক্ষী হয়ে তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে দৃঢ় কণ্ঠে সত্য উচ্চারণ করেন।

কারবালার ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের পর বন্দি অবস্থায় তাকে ইয়াজিদের দরবারে হাজির করা হয়। সেখানেই তিনি এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন—

হে ইয়াজিদ! আজ তুমি শাসক, কিন্তু কাল কেয়ামতের ময়দানে আল্লাহ বিচারক হবেন। তখন তোমার হাত-পা সাক্ষ্য দেবে তোমার অপরাধের। তুমি যে নবীর সন্তানদের হত্যা করেছ, সেটিই হবে তোমার জন্য চরম লজ্জা।

কারবালার পর নির্বাসিত অবস্থায় থেকেও যায়নাব (রা.) ইসলামের দাওয়াত ও ন্যায়ের বার্তা ছড়িয়ে যান। আজও তিনি নির্যাতন ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রতীক।

৪. হাফসা বিনতে ওমর (রা.)
হাফসা (রা.) ছিলেন নবী করিম (সা.)-এর স্ত্রীদের একজন এবং খলিফা ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.)-এর কন্যা। প্রথম স্বামী খুনাইস ইবনে হুযাইফা (রা.)-এর মৃত্যুর পর তিনি বিধবা হন। এরপর নবী (সা.) তাকে বিবাহ করেন।

কোরআন শরীফ লিখিত আকারে সংরক্ষিত হওয়ার আগেই তিনি পুরো কোরআন হিফজ করেছিলেন। তার তত্ত্বাবধানেই প্রথম লিখিত কোরআনের পাণ্ডুলিপি সংরক্ষিত ছিল, যা পরবর্তীতে খলিফা উসমান (রা.) মানক সংস্করণ তৈরিতে ব্যবহার করেন।

তার অবদানের কারণেই কোরআন আজ পর্যন্ত অক্ষতভাবে সংরক্ষিত আছে বলে অনেক ইতিহাসবিদ মনে করেন।

৫. আয়েশা বিনতে আবু বকর (রা.)
খাদিজা (রা.)-এর মৃত্যুর পর নবী করিম (সা.) আয়েশা (রা.)-কে বিবাহ করেন। তিনি ছিলেন প্রখ্যাত সাহাবি ও প্রথম খলিফা আবু বকর (রা.)-এর কন্যা।

আয়েশা (রা.) প্রায় দুই হাজারেরও বেশি হাদিস বর্ণনা করেছেন, যার মধ্যে নবীর ব্যক্তিজীবন, সামাজিক আচরণ, উত্তরাধিকার, হজসহ নানা বিষয়ের দিকনির্দেশনা রয়েছে।

তিনি ছিলেন একাধারে শিক্ষক, আলেমা ও মুফাসসিরা। অনেক সাহাবি তার কাছ থেকে জ্ঞান অর্জন করেছেন। জ্ঞান ও ধর্মীয় প্রভাবের কারণে আয়েশা (রা.) ইসলামের ইতিহাসে এক অমূল্য নাম। তিনি ৬৭৮ খ্রিষ্টাব্দে মদিনায় ইন্তেকাল করেন।

এই নারী সাহাবিরা শুধু ইতিহাসের পাতা নয়, মুসলিম উম্মাহর অন্তরে জীবন্ত এক অনুপ্রেরণা। তাদের ঈমান, সাহস, জ্ঞান ও ত্যাগ আজও বিশ্বজুড়ে মুসলিম নারীদের জন্য আলোকবর্তিকা হয়ে আছে।

সূত্র : দ্য মুসলিম ভাইব

নিউজটি আপডেট করেছেন : Admin News

কমেন্ট বক্স
রাজশাহী বিভাগীয় বইমেলায় দরিদ্র পাঠকদের জন্য থাকছে পুরাতন বই বদলের সুযোগ

রাজশাহী বিভাগীয় বইমেলায় দরিদ্র পাঠকদের জন্য থাকছে পুরাতন বই বদলের সুযোগ