তুরস্কের ইস্তাম্বুলে যখন পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের প্রতিনিধিদের মধ্যে সীমান্ত সংঘাত নিরসনে শান্তি আলোচনা চলছে, ঠিক তখনই সীমান্তে বড় ধরনের সংঘর্ষের খবর জানাল পাকিস্তান সেনাবাহিনী।
রোববার (২৬ অক্টোবর) পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে পৃথক দুটি সংঘর্ষে ২৫ জন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) জঙ্গি এবং কয়েকজন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছেন। খবর আরব নিউজের।
সামরিক বাহিনীর মিডিয়া শাখা ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিমের কুররাম এবং উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলায় টিটিপি জঙ্গিদের দুটি বড় দল আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালালে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। নিহত জঙ্গিদের মধ্যে চারজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীও ছিল। নিরাপত্তা বাহিনী অভিযানকালে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক জব্দ করেছে।
এদিকে আলোচনা চলাকালীন এই অনুপ্রবেশের চেষ্টা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আইএসপিআর। বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের প্রতিনিধিরা যখন তুরস্কে আলোচনায় ব্যস্ত, ঠিক সেই সময়ে টিটিপি জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের এই চেষ্টা আফগান অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি করছে।
পাকিস্তান আফগানিস্তানের ভূখণ্ড থেকে তাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত সন্ত্রাস বন্ধ করতে দোহার চুক্তি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর এই বিবৃতির বিষয়ে আফগান পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে যে আফগানিস্তান টিটিপি এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী বালুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)-এর মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় দিচ্ছে, যারা পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী ও বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
উল্লেখ্য পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে চলতি মাসে সীমান্ত সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের কয়েক ডজন মানুষ নিহত হওয়ার পরই সহিংসতা এড়াতে ইস্তাম্বুলে এই আলোচনা শুরু হয়।
রাষ্ট্র পরিচালিত পাকিস্তান টিভি রবিবার গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, আফগান তালেবানের সঙ্গে পাকিস্তানের দ্বিতীয় দফার আলোচনা এখনো শেষ হয়নি এবং পাকিস্তানের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে। শনিবার ৯ ঘণ্টাব্যাপী এই আলোচনায় মূলত তিনটি এজেন্ডার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে: আন্তঃসীমান্ত জঙ্গি গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি যৌথ পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা; বিদ্যমান আইন ও আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান নিশ্চিত করা; এবং বাণিজ্য ও শরণার্থী প্রত্যাবাসনের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা।
রোববার (২৬ অক্টোবর) পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে পৃথক দুটি সংঘর্ষে ২৫ জন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) জঙ্গি এবং কয়েকজন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছেন। খবর আরব নিউজের।
সামরিক বাহিনীর মিডিয়া শাখা ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিমের কুররাম এবং উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলায় টিটিপি জঙ্গিদের দুটি বড় দল আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালালে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। নিহত জঙ্গিদের মধ্যে চারজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীও ছিল। নিরাপত্তা বাহিনী অভিযানকালে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক জব্দ করেছে।
এদিকে আলোচনা চলাকালীন এই অনুপ্রবেশের চেষ্টা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আইএসপিআর। বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের প্রতিনিধিরা যখন তুরস্কে আলোচনায় ব্যস্ত, ঠিক সেই সময়ে টিটিপি জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের এই চেষ্টা আফগান অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি করছে।
পাকিস্তান আফগানিস্তানের ভূখণ্ড থেকে তাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত সন্ত্রাস বন্ধ করতে দোহার চুক্তি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর এই বিবৃতির বিষয়ে আফগান পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে যে আফগানিস্তান টিটিপি এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী বালুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)-এর মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় দিচ্ছে, যারা পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী ও বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
উল্লেখ্য পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে চলতি মাসে সীমান্ত সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের কয়েক ডজন মানুষ নিহত হওয়ার পরই সহিংসতা এড়াতে ইস্তাম্বুলে এই আলোচনা শুরু হয়।
রাষ্ট্র পরিচালিত পাকিস্তান টিভি রবিবার গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, আফগান তালেবানের সঙ্গে পাকিস্তানের দ্বিতীয় দফার আলোচনা এখনো শেষ হয়নি এবং পাকিস্তানের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে। শনিবার ৯ ঘণ্টাব্যাপী এই আলোচনায় মূলত তিনটি এজেন্ডার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে: আন্তঃসীমান্ত জঙ্গি গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি যৌথ পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা; বিদ্যমান আইন ও আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান নিশ্চিত করা; এবং বাণিজ্য ও শরণার্থী প্রত্যাবাসনের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা।
আন্তজার্তিক ডেস্ক