প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ডিজিটাল সেবাকে আরও সহজলভ্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও কার্যকর করতে রাজশাহীর সমাজসেবা কার্যালয়ে এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রাম, সেন্টার ফর ডিজেবিলিটি ইন ডেভেলপমেন্ট (সিডিডি) এবং সিবিএম গ্লোবাল ডিজএবিলিটি ইনক্লুশন এর যৌথ আয়োজনে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আখতার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. রোকনুজ্জামান এবং রাজশাহী জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. বায়েজীদ হোসেন ওয়ারেছী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এটুআই-এর যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. রশিদুল মান্নাফ কবীর। সঞ্চালনায় ছিলেন এটুআই-এর সেন্টার অব ইনোভেশন ক্লাস্টার প্রধান মো. নাহিদ আলম ও অ্যাক্সেসিবিলিটি পরামর্শক ভাস্কর ভট্টাচার্য্য; উপস্থাপনা করেন সিডিডি-র সহকারী পরিচালক আনিকা রহমান লিপি। রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি ও অংশীজন এতে অংশ নেন।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা হাতে-কলমে ন্যাশনাল পোর্টাল, মাইগভ ও জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩- এর অ্যাক্সেসিবিলিটি পর্যালোচনা করেন। পাশাপাশি মোবাইল আর্থিক সেবা, ব্যাংক ও টেলিকম অ্যাপ, চাকরির সাইট ও সংবাদপোর্টালসহ কয়েকটি বেসরকারি প্ল্যাটফর্ম মূল্যায়ন করে বিভিন্ন প্রয়োজনের ব্যবহারকারীদের জন্য সাধারণ প্রতিবন্ধকতা ও তাৎক্ষণিক সমাধানের সম্ভাব্য পথ চিহ্নিত করা হয়।
ডিজিটাল অ্যাক্সেসিবিলিটির ধারণা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মো. নাহিদ আলম বলেন, “ওয়েবসাইট, টুল ও প্রযুক্তি এমনভাবে নকশা ও উন্নয়ন করতে হবে, যাতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা ওয়েবসাইট ও অ্যাপ সহজে উপলব্ধি করতে, বুঝতে, নেভিগেট করতে, ইন্টারঅ্যাক্ট করতে এবং তাতে অবদান রাখতে পারেন।” তিনি জানান, “বাংলাদেশে ডিজিটাল অ্যাক্সেসিবিলিটি নিশ্চিত করতে এটুআই ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে এবং এ প্রয়াসকে বাস্তব ফলাফলে রূপ দিতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।”
এ বিষয়ে কাজ করার অঙ্গীকার জানিয়ে জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার বলেন, “ডিজিটাল সেবা সত্যিকার অর্থে সবার জন্য তখনই হয়, যখন তা সবার জন্য ব্যবহারযোগ্য হয়। আজ থেকেই আমরা প্রতিটি সেবায় অ্যাক্সেসিবিলিটিকে বাধ্যতামূলক ধাপ হিসেবে নেব।”
সভাপতির বক্তব্যে মো. রশিদুল মান্নাফ কবীর বলেন, “ছোট ছোট পরিবর্তন বড় বাধা দূর করে। স্ক্রিন রিডারের অসামঞ্জস্য, ছোট ফন্ট ও কিবোর্ড-নেভিগেশনের সীমাবদ্ধতা এ ধরনের সাধারণ সমস্যা দূর করলেই সেবায় প্রবেশগম্যতা বাড়ে। এতে যেমন প্রতিবন্ধী ব্যবহারকারীরা স্বনির্ভর হন, তেমনি বয়স্ক ও নতুন ব্যবহারকারীরাও উপকৃত হন।” তিনি জানান, নাগরিককেন্দ্রিক সেবায় অ্যাক্সেসিবিলিটি নিশ্চিত করতে এটুআই প্রয়োজনীয় অডিট ও প্রশিক্ষণ সহায়তা দেবে।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ডিজিটাল সাক্ষরতা ও অন্তর্ভুক্তি বাড়ানো এবং কমিউনিটি-ভিত্তিক ডিজিটাল সচেতনতা জোরদার করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে রাজশাহী সিটি করপোরেশন ও বাঘা উপজেলায় ১০টি স্বনির্ভর দলের কাছে ৫০টি স্মার্টফোন হস্তান্তর করা হয়।
কর্মশালার মূল লক্ষ্য ছিল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বর্তমান অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারি ডিজিটাল সেবা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া, তাঁদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা, সরাসরি তাঁদের অভিজ্ঞতা ও চাহিদা শোনা এবং বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ সনাক্ত করা। আলোচনায় রাজশাহী বিভাগের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী প্রতিবন্ধী নাগরিকদের কাছে কার্যকরভাবে সেবা পৌঁছে দিতে প্রযুক্তিগত সহায়তা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার কথাও ওঠে আসে। আয়োজকদের প্রত্যাশা, কর্মশালায় প্রাপ্ত সুপারিশ ভবিষ্যৎ নীতিনির্ধারণ ও সেবার মানোন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আখতার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. রোকনুজ্জামান এবং রাজশাহী জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. বায়েজীদ হোসেন ওয়ারেছী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এটুআই-এর যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. রশিদুল মান্নাফ কবীর। সঞ্চালনায় ছিলেন এটুআই-এর সেন্টার অব ইনোভেশন ক্লাস্টার প্রধান মো. নাহিদ আলম ও অ্যাক্সেসিবিলিটি পরামর্শক ভাস্কর ভট্টাচার্য্য; উপস্থাপনা করেন সিডিডি-র সহকারী পরিচালক আনিকা রহমান লিপি। রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি ও অংশীজন এতে অংশ নেন।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা হাতে-কলমে ন্যাশনাল পোর্টাল, মাইগভ ও জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩- এর অ্যাক্সেসিবিলিটি পর্যালোচনা করেন। পাশাপাশি মোবাইল আর্থিক সেবা, ব্যাংক ও টেলিকম অ্যাপ, চাকরির সাইট ও সংবাদপোর্টালসহ কয়েকটি বেসরকারি প্ল্যাটফর্ম মূল্যায়ন করে বিভিন্ন প্রয়োজনের ব্যবহারকারীদের জন্য সাধারণ প্রতিবন্ধকতা ও তাৎক্ষণিক সমাধানের সম্ভাব্য পথ চিহ্নিত করা হয়।
ডিজিটাল অ্যাক্সেসিবিলিটির ধারণা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মো. নাহিদ আলম বলেন, “ওয়েবসাইট, টুল ও প্রযুক্তি এমনভাবে নকশা ও উন্নয়ন করতে হবে, যাতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা ওয়েবসাইট ও অ্যাপ সহজে উপলব্ধি করতে, বুঝতে, নেভিগেট করতে, ইন্টারঅ্যাক্ট করতে এবং তাতে অবদান রাখতে পারেন।” তিনি জানান, “বাংলাদেশে ডিজিটাল অ্যাক্সেসিবিলিটি নিশ্চিত করতে এটুআই ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে এবং এ প্রয়াসকে বাস্তব ফলাফলে রূপ দিতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।”
এ বিষয়ে কাজ করার অঙ্গীকার জানিয়ে জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার বলেন, “ডিজিটাল সেবা সত্যিকার অর্থে সবার জন্য তখনই হয়, যখন তা সবার জন্য ব্যবহারযোগ্য হয়। আজ থেকেই আমরা প্রতিটি সেবায় অ্যাক্সেসিবিলিটিকে বাধ্যতামূলক ধাপ হিসেবে নেব।”
সভাপতির বক্তব্যে মো. রশিদুল মান্নাফ কবীর বলেন, “ছোট ছোট পরিবর্তন বড় বাধা দূর করে। স্ক্রিন রিডারের অসামঞ্জস্য, ছোট ফন্ট ও কিবোর্ড-নেভিগেশনের সীমাবদ্ধতা এ ধরনের সাধারণ সমস্যা দূর করলেই সেবায় প্রবেশগম্যতা বাড়ে। এতে যেমন প্রতিবন্ধী ব্যবহারকারীরা স্বনির্ভর হন, তেমনি বয়স্ক ও নতুন ব্যবহারকারীরাও উপকৃত হন।” তিনি জানান, নাগরিককেন্দ্রিক সেবায় অ্যাক্সেসিবিলিটি নিশ্চিত করতে এটুআই প্রয়োজনীয় অডিট ও প্রশিক্ষণ সহায়তা দেবে।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ডিজিটাল সাক্ষরতা ও অন্তর্ভুক্তি বাড়ানো এবং কমিউনিটি-ভিত্তিক ডিজিটাল সচেতনতা জোরদার করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে রাজশাহী সিটি করপোরেশন ও বাঘা উপজেলায় ১০টি স্বনির্ভর দলের কাছে ৫০টি স্মার্টফোন হস্তান্তর করা হয়।
কর্মশালার মূল লক্ষ্য ছিল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বর্তমান অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারি ডিজিটাল সেবা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া, তাঁদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা, সরাসরি তাঁদের অভিজ্ঞতা ও চাহিদা শোনা এবং বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ সনাক্ত করা। আলোচনায় রাজশাহী বিভাগের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী প্রতিবন্ধী নাগরিকদের কাছে কার্যকরভাবে সেবা পৌঁছে দিতে প্রযুক্তিগত সহায়তা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার কথাও ওঠে আসে। আয়োজকদের প্রত্যাশা, কর্মশালায় প্রাপ্ত সুপারিশ ভবিষ্যৎ নীতিনির্ধারণ ও সেবার মানোন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
মোঃ মাসুদ রানা রাব্বানী :