চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় প্রায় তিন দশক আগে সংঘটিত এক ডাকাতি মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আব্দুস সালামকে (৬০) অবশেষে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ও র্যাব-৯, সিলেট।
ইউনিটের যৌথ অভিযানে গত (১০ নভেম্বর) সুনামগঞ্জ থেকে তাকে আটক করা হয়।
র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এ. আর. এম. মোজাফ্ফর হোসেন বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে, আব্দুস সালাম সুনামগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন কাজির পয়েন্ট এলাকায় আত্মগোপন করে আছেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে, র্যাবের দুটি ইউনিট যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে এবং সোমবার পৌনে ৩টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আব্দুস সালাম রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রাজাভূবন এলাকার নুর আহমেদের ছেলে।
পুলিশ ও মামলার সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৪ সালে রাঙ্গুনিয়ার রাজারহাট বাজারে একটি দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তৎকালীন রাজারহাট বাজার কমিটির সভাপতি আবুল কাশেম বাদী হয়ে রাঙ্গুনিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে আব্দুস সালামকে প্রধান আসামি করা হয়। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত আব্দুস সালামকে সন্ত্রাসমূলক অপরাধ দমন আইনের আওতায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন।
রায়ের পর থেকেই আব্দুস সালাম পলাতক ছিলেন। জানা যায়, তিনি দীর্ঘদিন সৌদি আরবে পালিয়ে ছিলেন এবং ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে তিনি নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল না করে একটি রিট আবেদন দায়ের করেন, যার মাধ্যমে মামলাটি দীর্ঘদিনের জন্য স্থগিত হয়ে যায়।
অবশেষে, দীর্ঘ ২৩ বছর পর, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ তার রিট আবেদনটি খারিজ করে দিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় বহাল রাখে এবং তাকে তিন মাসের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়। কিন্তু তিনি আত্মসমর্পণ না করে পুনরায় পলাতক জীবন বেছে নেন।
গ্রেফতারের পর আব্দুস সালামকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ইউনিটের যৌথ অভিযানে গত (১০ নভেম্বর) সুনামগঞ্জ থেকে তাকে আটক করা হয়।
র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এ. আর. এম. মোজাফ্ফর হোসেন বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে, আব্দুস সালাম সুনামগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন কাজির পয়েন্ট এলাকায় আত্মগোপন করে আছেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে, র্যাবের দুটি ইউনিট যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে এবং সোমবার পৌনে ৩টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আব্দুস সালাম রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রাজাভূবন এলাকার নুর আহমেদের ছেলে।
পুলিশ ও মামলার সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৪ সালে রাঙ্গুনিয়ার রাজারহাট বাজারে একটি দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তৎকালীন রাজারহাট বাজার কমিটির সভাপতি আবুল কাশেম বাদী হয়ে রাঙ্গুনিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে আব্দুস সালামকে প্রধান আসামি করা হয়। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত আব্দুস সালামকে সন্ত্রাসমূলক অপরাধ দমন আইনের আওতায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন।
রায়ের পর থেকেই আব্দুস সালাম পলাতক ছিলেন। জানা যায়, তিনি দীর্ঘদিন সৌদি আরবে পালিয়ে ছিলেন এবং ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে তিনি নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল না করে একটি রিট আবেদন দায়ের করেন, যার মাধ্যমে মামলাটি দীর্ঘদিনের জন্য স্থগিত হয়ে যায়।
অবশেষে, দীর্ঘ ২৩ বছর পর, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ তার রিট আবেদনটি খারিজ করে দিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় বহাল রাখে এবং তাকে তিন মাসের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়। কিন্তু তিনি আত্মসমর্পণ না করে পুনরায় পলাতক জীবন বেছে নেন।
গ্রেফতারের পর আব্দুস সালামকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক