আমেরিকার যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি বলেই জানিয়েছিলেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তবে সেই প্রস্তাবে কি সায় দেবে হামাস? এই নিয়ে জল্পনার মধ্যেই প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র বাহিনী হামাস জানিয়ে দিল, আমেরিকার দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি নয় তারা। হামাস এ-ও মনে করছে, আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হলেও গাজ়ায় ‘হত্যালীলা এবং দুর্ভিক্ষ’ বজায় থাকবে।
আমেরিকার প্রস্তাব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে হামাস। হামাসের এক কর্তা সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি এবং পণবন্দি মুক্তি নিয়ে আমেরিকা যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে। আমেরিকার প্রস্তাব নিয়ে হামাসের রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সদস্য বাসেম নাঈম সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন, এই চুক্তিতে যুদ্ধ বন্ধ করার কথা বলা হলেও তা তাঁদের জনগণের কোনও দাবি পূরণ করতে ব্যর্থ। সেই কারণেই মার্কিন প্রস্তাবে তাঁরা সায় দিচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন হামাসের ওই কর্তা।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের দেওয়া রফাসূত্রে ‘সই’ করেছে ইজ়রায়েল। তবে হামাসের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। হোয়াইট হাউসের এই দাবি নিয়ে ইজ়রায়েলও সরকারি ভাবে কোনও মন্তব্য করেনি। তবে রয়টার্স সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার হামাসের হাতে আটক ইজ়রায়েলি পণবন্দিদের পরিবারের সঙ্গে বৈঠকের সময়ই নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ‘‘ইজ়রায়েল উইটকফের নতুন প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।’’
কী ছিল আমেরিকার প্রস্তাবে? সরকারি ভাবে প্রস্তাবের বিষয়বস্তু নিয়ে কোনও পক্ষই মুখ খোলেনি। তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছিল, প্রথম দফায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি হবে হামাস এবং ইজ়রায়েলের মধ্যে। এই যুদ্ধবিরতির মধ্যে ১০ জন পণবন্দিকে মুক্তি দেবে হামাস। যুদ্ধবিরতি চলাকালীন গাজ়ার নির্দিষ্ট অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথাও ইজ়রায়েলকে জানিয়েছেন উইটকফ। একই সঙ্গে বেশ কয়েক জন জেলবন্দি প্যালেস্টাইনিকে মুক্তি দেওয়ার কথাও রয়েছে রফাসূত্রে। তবে প্রস্তাবে রাজি নয় বলেই জানানো হল হামাসের তরফে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের আল কাশিম ব্রিগেড ইজ়রায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালানোর পরে নেতানিয়াহুর ফৌজ ধারাবাহিক ভাবে গাজ়ায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। এর পর কাতারের মধ্যস্থতায় এবং আমেরিকা ও মিশরের প্রচেষ্টায় গত ১৫ জানুয়ারি রাতে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছিল ইজ়রায়েল সরকার এবং হামাস। ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকরও হয়েছিল। কিন্তু পণবন্দিদের মুক্তি ঘিরে টানাপড়েনের জেরে মার্চের গোড়ায় একতরফা ভাবে যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজ়ায় আবার হামলা শুরু করেছে ইজ়রায়েলি সেনা। তার পর থেকে প্রায় প্রতি দিনই গাজ়ায় ইজ়রায়েলি হামলা চলছে। তার মধ্যেই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল আমেরিকা। তবে হামাস রাজি না হওয়ায়, এ বার আমেরিকা কী পদক্ষেপ করে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে নানা মহলে।
আমেরিকার প্রস্তাব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে হামাস। হামাসের এক কর্তা সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি এবং পণবন্দি মুক্তি নিয়ে আমেরিকা যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে। আমেরিকার প্রস্তাব নিয়ে হামাসের রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সদস্য বাসেম নাঈম সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন, এই চুক্তিতে যুদ্ধ বন্ধ করার কথা বলা হলেও তা তাঁদের জনগণের কোনও দাবি পূরণ করতে ব্যর্থ। সেই কারণেই মার্কিন প্রস্তাবে তাঁরা সায় দিচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন হামাসের ওই কর্তা।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের দেওয়া রফাসূত্রে ‘সই’ করেছে ইজ়রায়েল। তবে হামাসের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। হোয়াইট হাউসের এই দাবি নিয়ে ইজ়রায়েলও সরকারি ভাবে কোনও মন্তব্য করেনি। তবে রয়টার্স সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার হামাসের হাতে আটক ইজ়রায়েলি পণবন্দিদের পরিবারের সঙ্গে বৈঠকের সময়ই নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ‘‘ইজ়রায়েল উইটকফের নতুন প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।’’
কী ছিল আমেরিকার প্রস্তাবে? সরকারি ভাবে প্রস্তাবের বিষয়বস্তু নিয়ে কোনও পক্ষই মুখ খোলেনি। তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছিল, প্রথম দফায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি হবে হামাস এবং ইজ়রায়েলের মধ্যে। এই যুদ্ধবিরতির মধ্যে ১০ জন পণবন্দিকে মুক্তি দেবে হামাস। যুদ্ধবিরতি চলাকালীন গাজ়ার নির্দিষ্ট অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথাও ইজ়রায়েলকে জানিয়েছেন উইটকফ। একই সঙ্গে বেশ কয়েক জন জেলবন্দি প্যালেস্টাইনিকে মুক্তি দেওয়ার কথাও রয়েছে রফাসূত্রে। তবে প্রস্তাবে রাজি নয় বলেই জানানো হল হামাসের তরফে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের আল কাশিম ব্রিগেড ইজ়রায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালানোর পরে নেতানিয়াহুর ফৌজ ধারাবাহিক ভাবে গাজ়ায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। এর পর কাতারের মধ্যস্থতায় এবং আমেরিকা ও মিশরের প্রচেষ্টায় গত ১৫ জানুয়ারি রাতে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছিল ইজ়রায়েল সরকার এবং হামাস। ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকরও হয়েছিল। কিন্তু পণবন্দিদের মুক্তি ঘিরে টানাপড়েনের জেরে মার্চের গোড়ায় একতরফা ভাবে যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজ়ায় আবার হামলা শুরু করেছে ইজ়রায়েলি সেনা। তার পর থেকে প্রায় প্রতি দিনই গাজ়ায় ইজ়রায়েলি হামলা চলছে। তার মধ্যেই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল আমেরিকা। তবে হামাস রাজি না হওয়ায়, এ বার আমেরিকা কী পদক্ষেপ করে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে নানা মহলে।