রাজশাহীতে বিচারকের কিশোর ছেলেকে হত্যা এবং তার স্ত্রীকে গুরুতর আহত করার ঘটনার প্রতিবাদে দেশব্যাপী অধস্তন আদালতের বিচারকেরা কালো ব্যাজ ধারণ করে বিচারকাজ পরিচালনা করেছেন।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএসএ) ডাকে আজ, রোববার (১৬ নভেম্বর) এই কর্মসূচি পালিত হয়।
সংগঠনটির সভাপতি আমিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সারা দেশের বিচারকেরা একযোগে এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। এর আগে, শনিবার রাতে আইন উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার পর পূর্বঘোষিত কলমবিরতি কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয় বিজেএসএ। ঢাকার বিভিন্ন আদালতসহ দেশের প্রায় সব আদালতেই বিচারকদের কালো ব্যাজ পরে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর, রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আবদুর রহমানের ভাড়া বাসায় ঢুকে তার ছেলে তাওসিফ রহমানকে (১৬) ছুরিকাঘাতে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এ হামলায় বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহারও গুরুতর আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লিমন মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে, যিনি নিজেকে বিচারকের ভাই পরিচয় দিয়ে বাসায় প্রবেশ করেছিলেন।
এ ঘটনায় বিচারক মোহাম্মদ আবদুর রহমান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন এবং আদালত গ্রেপ্তারকৃত লিমনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
এই নৃশংস ঘটনার পরদিন, শুক্রবার, বিজেএসএ দুটি প্রধান দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়। দাবিগুলো হলো:
১. দেশের সকল বিচারকের বাসস্থান ও যাতায়াতের সময় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
২. গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে গণমাধ্যমের সামনে উপস্থাপন করে "অপেশাদারত্ব" প্রদর্শনের অভিযোগে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ।
দাবি পূরণ না হলে রোববার থেকে দেশব্যাপী কলমবিরতির হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
তবে শনিবার রাতে আইন উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে দাবি পূরণের আশ্বাস পাওয়ায় বিচারকেরা তাদের কঠোর কর্মসূচি থেকে সরে আসেন। কলমবিরতির পরিবর্তে কালো ব্যাজ ধারণ ও নিহত তাওসিফের আত্মার শান্তির জন্য দোয়া মাহফিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে, এই ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বিচারকের স্ত্রী প্রায় এক সপ্তাহ আগেই নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে অভিযুক্ত লিমনের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএসএ) ডাকে আজ, রোববার (১৬ নভেম্বর) এই কর্মসূচি পালিত হয়।
সংগঠনটির সভাপতি আমিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সারা দেশের বিচারকেরা একযোগে এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। এর আগে, শনিবার রাতে আইন উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার পর পূর্বঘোষিত কলমবিরতি কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয় বিজেএসএ। ঢাকার বিভিন্ন আদালতসহ দেশের প্রায় সব আদালতেই বিচারকদের কালো ব্যাজ পরে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর, রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আবদুর রহমানের ভাড়া বাসায় ঢুকে তার ছেলে তাওসিফ রহমানকে (১৬) ছুরিকাঘাতে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এ হামলায় বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহারও গুরুতর আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লিমন মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে, যিনি নিজেকে বিচারকের ভাই পরিচয় দিয়ে বাসায় প্রবেশ করেছিলেন।
এ ঘটনায় বিচারক মোহাম্মদ আবদুর রহমান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন এবং আদালত গ্রেপ্তারকৃত লিমনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
এই নৃশংস ঘটনার পরদিন, শুক্রবার, বিজেএসএ দুটি প্রধান দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়। দাবিগুলো হলো:
১. দেশের সকল বিচারকের বাসস্থান ও যাতায়াতের সময় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
২. গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে গণমাধ্যমের সামনে উপস্থাপন করে "অপেশাদারত্ব" প্রদর্শনের অভিযোগে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ।
দাবি পূরণ না হলে রোববার থেকে দেশব্যাপী কলমবিরতির হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
তবে শনিবার রাতে আইন উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে দাবি পূরণের আশ্বাস পাওয়ায় বিচারকেরা তাদের কঠোর কর্মসূচি থেকে সরে আসেন। কলমবিরতির পরিবর্তে কালো ব্যাজ ধারণ ও নিহত তাওসিফের আত্মার শান্তির জন্য দোয়া মাহফিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে, এই ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বিচারকের স্ত্রী প্রায় এক সপ্তাহ আগেই নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে অভিযুক্ত লিমনের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক