আজ বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে—‘তামাক কম্পানির কূটকৌশল উন্মোচন করি, তামাক ও নিকোটিনমুক্ত বাংলাদেশ গড়ি’। দিবসটি উপলক্ষে ধূমপানবিরোধী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে তামাকবিরোধী বিভিন্ন সংগঠন। তরুণ প্রজন্ম সুরক্ষায় তামাক কম্পানির হস্তক্ষেপমুক্ত থেকে দ্রুত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী চূড়ান্ত করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনগুলো।
দিবসটি উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা এক বাণীতে বলেছেন, যুবসমাজকে তামাকের ভয়াবহতা থেকে রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
তবে দুর্বল নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা, আইনের প্রয়োগ ও সামাজিক সচেতনতার অভাবে দেশে বাড়ছে তামাকপণ্যের আগ্রাসন। বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশে অসংক্রামক রোগে মৃত্যুর অন্যতম কারণ তামাক। তামাক ব্যবহারজনিত রোগে দেশে প্রতিদিন ৪৪২ জন মানুষ মারা যাচ্ছে।
আর বছরে এই সংখ্যা এক লাখ ৬১ হাজার ৩৩০।
ব্ল্যাড ক্যান্সার, ফুসফুস ক্যান্সারের মতো তামাকজনিত রোগের চিকিৎসা সক্ষমতা না বাড়ায় দেশের স্বাস্থ্য খাতে বাড়তি চাপ বাড়ছে। অন্যদিকে তামাকপণ্যে নিরুৎসাহ করতে প্রতিবছর কর বাড়লেও এবার রাজস্ব সংকটের মধ্যেও এই খাতের ওপর বাড়তি করারোপ করা হচ্ছে না। এতে তামাকপণ্যের আরো বিস্তার ঘটার আশঙ্কা করছে তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো।
২০৪০ সাল নাগাদ দেশ তামাকমুক্ত বা ০.৫ শতাংশে নামিয়ে আনার সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়েও আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাঁরা বলছেন, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারে মারণব্যাধি কান্সারসহ মানুষের মারাত্মক ক্ষতির দিকগুলো ব্যাপকভাবে তুলে ধরে ধূমপান ও তামাকবিরোধী প্রচারণা বাড়াতে হবে।
বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন অনুষদের ডিন ও পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ধূমপানের কারণে বাংলাদেশে কত মানুষ মারা যায় এর সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে দেশে মৃত্যুর ৬৭ শতাংশ ঘটে অসংক্রামক রোগের কারণে। যার পেছনে মূল কারণ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ধূমপান।
দেশে যে হারে ধূমপায়ীর সংখ্যা বাড়ছে, এতে ধারণা করা হয় অসংক্রামক রোগে মৃত্যুর হার নিকট ভবিষ্যতে ৯০ শতাংশে পৌঁছবে। একই সঙ্গে পরোক্ষ ধূমপানের কারণে মৃত্যুহার বিগত সময়ের তুলনায় বাড়বে।
আতিকুল হক বলেন, প্ররোক্ষ ধূমপান ও কিশোর বয়সে ধূমপানের কারণে ১৭-১৮ বছর বয়সীদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ, ক্যান্সারের মতো রোগ বাড়ছে। কম বয়সের শিশুরা যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে, তাদের অ্যাজমা, সিওপিডিসহ শ্বাসকষ্টের বিভিন্ন রোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ, হার্টের সমস্যা, স্ট্রোক, ফুসফুস, গলাসহ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার দেখা দিচ্ছে।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘প্রত্যক্ষ ধূমপানের কারণে সবচেয়ে বেশি হচ্ছে হৃদরোগ, স্ট্রোক, বক্ষব্যাধি ও ফুসফুস ক্যান্সার।
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে হৃদরোগে। তার মধ্যে ৪০ শতাংশের বেশি অকালমৃত্যুর শিকার হচ্ছে। অর্থাৎ ৬০ থেকে ৭০ বছরের আগেই মারা যাচ্ছে।
তামাকজনিত রোগে মারা যাচ্ছে এক লাখ ৬১ হাজার মানুষ : দেশে তামাকজনিত রোগে প্রতিবছর প্রায় এক লাখ ৬১ হাজার ৩৩০ জন মানুষ মারা যাচ্ছে, যা জাতির জন্য মারাত্মক হুমকি বলে মনে করছে আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিয়িং। আহসানিয়া মিশন বলছে, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অনেক পুরনো এবং বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে তা কার্যকরভাবে তামাকজাত পণ্যের বিস্তার রোধ করতে পারছে না।
ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. শরিফুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি, আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক থেকে কর আহরিত হয়েছিল প্রায় ২২ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। অন্যদিকে শুধু সরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতে তামাকজনিত স্বাস্থ্য ব্যয় ছিল তিন হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। তার মানে নিট ক্ষতির পরিমাণ ছিল প্রায় আট হাজার কোটি টাকা। বেসরকারি খাতসহ ক্ষতির পরিমাণ বর্তমান সময়ে তিন গুণ হতে পারে।’
এবার না-ও বাড়তে পারে সিগারেটের দাম : আগামী সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার প্রায় সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত। বাজেট এলেই প্রতিবছর সিগারেটের দাম বাড়ে। গেল কয়েক বছর ধরেই এমনটি হয়ে আসছে। তবে আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে এর ব্যতিক্রম হতে যাচ্ছে। বাজেটে এবার তামাক ও তামাকজাত পণ্যের দাম না বাড়ানোর প্রস্তাব থাকতে পারে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তবে এর কারণও আছে। গত জানুয়ারিতে এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে একবার সিগারেটের দাম বাড়ানো হয়েছে। এর আগে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটেও সিগারেটের ওপর শুল্ক বাড়ানো হয়েছিল। তাই এবারের বাজেটে নতুন করে সিগারেটে শুল্ক না বসানোর পরিকল্পনার কথা জানা গেছে।
গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা) জানিয়েছে, সিগারেট করকাঠামোয় সংস্কার করতে হবে, তাহলে রাজস্ব বাড়বে ২০ হাজার কোটি, দরিদ্র জনগোষ্ঠী ধূমপান ছাড়তে উৎসাহিত হবে।
প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জুবায়ের কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতির (চিকিৎসা ব্যয় এবং উৎপাদনশীলতা হারানো) পরিমাণ ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা, যা একই সময়ে (২০১৭-১৮) তামাক খাত থেকে অর্জিত রাজস্ব আয়ের (২২ হাজার ৮১০ কোটি টাকা) চেয়ে অনেক বেশি। বর্তমান সময়ে তা কয়েক গুণ বেশি।
অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্সের (আত্মা) কো-কনভেনর নাদিরা কিরণ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘২০৪০ সাল নাগাদ দেশ তামাকমুক্ত বা ০.৫ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা বললেও এ সময়ের মধ্যে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া উচিত তাতে ধীরগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে।’
দিবসটি উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা এক বাণীতে বলেছেন, যুবসমাজকে তামাকের ভয়াবহতা থেকে রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
তবে দুর্বল নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা, আইনের প্রয়োগ ও সামাজিক সচেতনতার অভাবে দেশে বাড়ছে তামাকপণ্যের আগ্রাসন। বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশে অসংক্রামক রোগে মৃত্যুর অন্যতম কারণ তামাক। তামাক ব্যবহারজনিত রোগে দেশে প্রতিদিন ৪৪২ জন মানুষ মারা যাচ্ছে।
আর বছরে এই সংখ্যা এক লাখ ৬১ হাজার ৩৩০।
ব্ল্যাড ক্যান্সার, ফুসফুস ক্যান্সারের মতো তামাকজনিত রোগের চিকিৎসা সক্ষমতা না বাড়ায় দেশের স্বাস্থ্য খাতে বাড়তি চাপ বাড়ছে। অন্যদিকে তামাকপণ্যে নিরুৎসাহ করতে প্রতিবছর কর বাড়লেও এবার রাজস্ব সংকটের মধ্যেও এই খাতের ওপর বাড়তি করারোপ করা হচ্ছে না। এতে তামাকপণ্যের আরো বিস্তার ঘটার আশঙ্কা করছে তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো।
২০৪০ সাল নাগাদ দেশ তামাকমুক্ত বা ০.৫ শতাংশে নামিয়ে আনার সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়েও আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাঁরা বলছেন, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারে মারণব্যাধি কান্সারসহ মানুষের মারাত্মক ক্ষতির দিকগুলো ব্যাপকভাবে তুলে ধরে ধূমপান ও তামাকবিরোধী প্রচারণা বাড়াতে হবে।
বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন অনুষদের ডিন ও পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ধূমপানের কারণে বাংলাদেশে কত মানুষ মারা যায় এর সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে দেশে মৃত্যুর ৬৭ শতাংশ ঘটে অসংক্রামক রোগের কারণে। যার পেছনে মূল কারণ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ধূমপান।
দেশে যে হারে ধূমপায়ীর সংখ্যা বাড়ছে, এতে ধারণা করা হয় অসংক্রামক রোগে মৃত্যুর হার নিকট ভবিষ্যতে ৯০ শতাংশে পৌঁছবে। একই সঙ্গে পরোক্ষ ধূমপানের কারণে মৃত্যুহার বিগত সময়ের তুলনায় বাড়বে।
আতিকুল হক বলেন, প্ররোক্ষ ধূমপান ও কিশোর বয়সে ধূমপানের কারণে ১৭-১৮ বছর বয়সীদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ, ক্যান্সারের মতো রোগ বাড়ছে। কম বয়সের শিশুরা যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে, তাদের অ্যাজমা, সিওপিডিসহ শ্বাসকষ্টের বিভিন্ন রোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ, হার্টের সমস্যা, স্ট্রোক, ফুসফুস, গলাসহ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার দেখা দিচ্ছে।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘প্রত্যক্ষ ধূমপানের কারণে সবচেয়ে বেশি হচ্ছে হৃদরোগ, স্ট্রোক, বক্ষব্যাধি ও ফুসফুস ক্যান্সার।
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে হৃদরোগে। তার মধ্যে ৪০ শতাংশের বেশি অকালমৃত্যুর শিকার হচ্ছে। অর্থাৎ ৬০ থেকে ৭০ বছরের আগেই মারা যাচ্ছে।
তামাকজনিত রোগে মারা যাচ্ছে এক লাখ ৬১ হাজার মানুষ : দেশে তামাকজনিত রোগে প্রতিবছর প্রায় এক লাখ ৬১ হাজার ৩৩০ জন মানুষ মারা যাচ্ছে, যা জাতির জন্য মারাত্মক হুমকি বলে মনে করছে আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিয়িং। আহসানিয়া মিশন বলছে, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অনেক পুরনো এবং বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে তা কার্যকরভাবে তামাকজাত পণ্যের বিস্তার রোধ করতে পারছে না।
ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. শরিফুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি, আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক থেকে কর আহরিত হয়েছিল প্রায় ২২ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। অন্যদিকে শুধু সরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতে তামাকজনিত স্বাস্থ্য ব্যয় ছিল তিন হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। তার মানে নিট ক্ষতির পরিমাণ ছিল প্রায় আট হাজার কোটি টাকা। বেসরকারি খাতসহ ক্ষতির পরিমাণ বর্তমান সময়ে তিন গুণ হতে পারে।’
এবার না-ও বাড়তে পারে সিগারেটের দাম : আগামী সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার প্রায় সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত। বাজেট এলেই প্রতিবছর সিগারেটের দাম বাড়ে। গেল কয়েক বছর ধরেই এমনটি হয়ে আসছে। তবে আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে এর ব্যতিক্রম হতে যাচ্ছে। বাজেটে এবার তামাক ও তামাকজাত পণ্যের দাম না বাড়ানোর প্রস্তাব থাকতে পারে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তবে এর কারণও আছে। গত জানুয়ারিতে এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে একবার সিগারেটের দাম বাড়ানো হয়েছে। এর আগে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটেও সিগারেটের ওপর শুল্ক বাড়ানো হয়েছিল। তাই এবারের বাজেটে নতুন করে সিগারেটে শুল্ক না বসানোর পরিকল্পনার কথা জানা গেছে।
গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা) জানিয়েছে, সিগারেট করকাঠামোয় সংস্কার করতে হবে, তাহলে রাজস্ব বাড়বে ২০ হাজার কোটি, দরিদ্র জনগোষ্ঠী ধূমপান ছাড়তে উৎসাহিত হবে।
প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জুবায়ের কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতির (চিকিৎসা ব্যয় এবং উৎপাদনশীলতা হারানো) পরিমাণ ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা, যা একই সময়ে (২০১৭-১৮) তামাক খাত থেকে অর্জিত রাজস্ব আয়ের (২২ হাজার ৮১০ কোটি টাকা) চেয়ে অনেক বেশি। বর্তমান সময়ে তা কয়েক গুণ বেশি।
অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্সের (আত্মা) কো-কনভেনর নাদিরা কিরণ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘২০৪০ সাল নাগাদ দেশ তামাকমুক্ত বা ০.৫ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা বললেও এ সময়ের মধ্যে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া উচিত তাতে ধীরগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে।’