আজকাল লিভারের রোগে আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-র তথ্য অনুযায়ী, গোটা বিশ্বেই নন-অ্যালকোহলিক লিভার ডিজিজ বর্তমানে সবচেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া রোগগুলির অন্যতম। লক্ষ লক্ষ মানুষ এই সমস্যায় ভুগছেন। চিকিৎসা ও ওষুধের খরচ যেমন বেশি, তেমনই এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক ডায়েট ও স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল মেনে চললে লিভার দীর্ঘদিন সুস্থ রাখা সম্ভব। এমন কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলি ডায়েট থেকে বাদ দিলে লিভারের উপর চাপ অনেকটাই কমে।
ফলের জুস, কোলা কিংবা আইসড টি—এই ধরনের পানীয় লিভারের সবচেয়ে বড় শত্রু। পাশাপাশি ময়দা ও নানা ধরনের প্রক্রিয়াজাত খাবার লিভারে ফ্যাট জমায় এবং ইনফ্ল্যামেশন বাড়ায়। ডিপ-ফ্রায়েড খাবার যেমন কাটলেট, ফ্রাই বা পকোড়ায় থাকে প্রচুর স্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা লিভারের ক্ষতি করে। একই তেলে বারবার ভাজাভুজি করা কিংবা তেল বারবার গরম করাও লিভারের পক্ষে বিষের সমান। এছাড়া অতিরিক্ত রেড মিট খেলে লিভারের মেটাবলিক লোড বেড়ে যায়।
বিশেষজ্ঞরা মিষ্টি পানীয় থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। সোডা, প্যাকেটজাত জুস, মিষ্টি চা বা কফিতে প্রচুর চিনি থাকে। এই অতিরিক্ত সুগার লিভারে ফ্যাট জমাতে সাহায্য করে, যা সময়ের সঙ্গে ফ্যাটি লিভারের মতো রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মিষ্টি খেতে ইচ্ছে হলে বাড়িতেই বিনা চিনি ফ্রেশ জুস বা লেবুর জল খাওয়া যেতে পারে।
রান্নায় নারকেল তেলের ব্যবহার নিয়েও সতর্ক করেছেন তিনি। নারকেল তেলে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের মাত্রা বেশি, যা নিয়মিত খেলে লিভারে ফ্যাট জমতে থাকে। রোজ রান্নার জন্য সরষের তেল, অলিভ অয়েল বা বাদাম তেলের মতো হালকা বিকল্প বেছে নেওয়াই ভাল। একই সঙ্গে পাম অয়েলযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলার কথাও বলেছেন তিনি। পাম অয়েল সাধারণত বিস্কুট, চিপস, নুডলসের মতো প্যাকেটজাত বা ভাজা খাবারে থাকে এবং এই তেলও লিভারে ফ্যাট জমায়। তাই কম প্রসেসড খাবার খাওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ।
মাখন ও ঘি খাওয়ার ক্ষেত্রেও সংযমের পরামর্শ দিয়েছেন ডা: ফিলিপ্স। এই দুই খাদ্যেই স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে। অল্প পরিমাণ খেলেও নিয়মিত বেশি খেলে লিভারের উপর চাপ পড়ে। লিভারের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে চাইলে মাখন ও ঘি যতটা সম্ভব কমিয়ে দেওয়া উচিত।
সবচেয়ে বড় সতর্কতা মদ্যপান নিয়ে। মদ লিভারের সবচেয়ে বড় শত্রু। নিয়মিত অ্যালকোহল গ্রহণ করলে লিভারের মারাত্মক ক্ষতি হয় এবং অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। যাঁদের লিভারের স্বাস্থ্য আগে থেকেই দুর্বল, তাঁদের ক্ষেত্রে মদ একেবারেই এড়িয়ে চলা উচিত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক ডায়েট ও স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল মেনে চললে লিভার দীর্ঘদিন সুস্থ রাখা সম্ভব। এমন কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলি ডায়েট থেকে বাদ দিলে লিভারের উপর চাপ অনেকটাই কমে।
ফলের জুস, কোলা কিংবা আইসড টি—এই ধরনের পানীয় লিভারের সবচেয়ে বড় শত্রু। পাশাপাশি ময়দা ও নানা ধরনের প্রক্রিয়াজাত খাবার লিভারে ফ্যাট জমায় এবং ইনফ্ল্যামেশন বাড়ায়। ডিপ-ফ্রায়েড খাবার যেমন কাটলেট, ফ্রাই বা পকোড়ায় থাকে প্রচুর স্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা লিভারের ক্ষতি করে। একই তেলে বারবার ভাজাভুজি করা কিংবা তেল বারবার গরম করাও লিভারের পক্ষে বিষের সমান। এছাড়া অতিরিক্ত রেড মিট খেলে লিভারের মেটাবলিক লোড বেড়ে যায়।
বিশেষজ্ঞরা মিষ্টি পানীয় থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। সোডা, প্যাকেটজাত জুস, মিষ্টি চা বা কফিতে প্রচুর চিনি থাকে। এই অতিরিক্ত সুগার লিভারে ফ্যাট জমাতে সাহায্য করে, যা সময়ের সঙ্গে ফ্যাটি লিভারের মতো রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মিষ্টি খেতে ইচ্ছে হলে বাড়িতেই বিনা চিনি ফ্রেশ জুস বা লেবুর জল খাওয়া যেতে পারে।
রান্নায় নারকেল তেলের ব্যবহার নিয়েও সতর্ক করেছেন তিনি। নারকেল তেলে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের মাত্রা বেশি, যা নিয়মিত খেলে লিভারে ফ্যাট জমতে থাকে। রোজ রান্নার জন্য সরষের তেল, অলিভ অয়েল বা বাদাম তেলের মতো হালকা বিকল্প বেছে নেওয়াই ভাল। একই সঙ্গে পাম অয়েলযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলার কথাও বলেছেন তিনি। পাম অয়েল সাধারণত বিস্কুট, চিপস, নুডলসের মতো প্যাকেটজাত বা ভাজা খাবারে থাকে এবং এই তেলও লিভারে ফ্যাট জমায়। তাই কম প্রসেসড খাবার খাওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ।
মাখন ও ঘি খাওয়ার ক্ষেত্রেও সংযমের পরামর্শ দিয়েছেন ডা: ফিলিপ্স। এই দুই খাদ্যেই স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে। অল্প পরিমাণ খেলেও নিয়মিত বেশি খেলে লিভারের উপর চাপ পড়ে। লিভারের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে চাইলে মাখন ও ঘি যতটা সম্ভব কমিয়ে দেওয়া উচিত।
সবচেয়ে বড় সতর্কতা মদ্যপান নিয়ে। মদ লিভারের সবচেয়ে বড় শত্রু। নিয়মিত অ্যালকোহল গ্রহণ করলে লিভারের মারাত্মক ক্ষতি হয় এবং অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। যাঁদের লিভারের স্বাস্থ্য আগে থেকেই দুর্বল, তাঁদের ক্ষেত্রে মদ একেবারেই এড়িয়ে চলা উচিত।
স্বাস্থ্য ডেস্ক: