ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় ১৯১৫ সালে রাজা বুদ্ধিনাথ চৌধুরীর পুত্র টংকনাথ চৌধুরী এই বাড়িটি নির্মাণ করেন। রাজবাড়ি সংলগ্ন উত্তর পূর্ব কোণে কাচারী বাড়ির পূর্বদিকে দুটি পুকুর রয়েছে। রাজবাড়ির নির্মাণশৈলী কারুকার্যময় বেশ সুন্দর। রাজবাড়ির মেঝে ছিল মার্বেল পাথরের তৈরি। জেলা শহর হতে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রাণীশংকৈল উপজেলা। উপজেলা পরিষদ হতে ১ কিলোমিটার পূর্বে কুলিক নদীর তীরে অবস্থিত এই রাজবাড়িটি। রাজবাড়ির পশ্চিমে মুল ফটকে রয়েছে সিংহ দরজা। সংস্কারের অভাবে জরাজ¦ীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে রাজবাড়িটি।
ইতিহাস ঐতিহ্যের কারণে ৯ জানুয়ারী হানিফ সংকেতের ম্যাগাজিং অনুষ্ঠান ইত্যাদি রাজবাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়। রাজবাড়ীটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ও জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়েথাকায় রাণীশংকৈলের কৃতি সন্তান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি এ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান শুভ হাইকোর্টে রিট করে প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের নজরে আসে। ফলে রাজবাড়ি পরিদর্শনে আসেন প্রত্নতত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাবিনা আলম। এসময় তিনি বলেন, রাজবাড়ীটি ইতিহাস ঐতিহ্যের একটা প্রতিক। এটি সংস্কার করে যাদুঘর হিসাবে রুপান্তর করা হবে। এসময় ১০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে সামান্যতম সংস্কার কাজ শুরু করলেও তা বন্ধ হয়ে যায়।
টংকনাথ চৌধুরীর জমিদারীঃ রাজা টংকনাথ চৌধুরীর পূর্ব-পুরুষদের কেউ জমিদার ছিলেন না। বর্তমানে রাণীশংকৈল উপজেলা সদর হতে ৭ কিমি পূর্বে কাতিহার নামক জায়গায় গোয়ালা বংশীয় নিঃসন্তান এক জমিদার বাস করতেন। উক্ত জমিদারের মন্দিরে সেবায়েত হিসাবে কাজ করতেন টংকনাথের পিতা বুদ্ধিনাথ। গোয়ালা জমিদার ভারত এর কাশি বাশে যাওয়ার সময় তাম্রপাতে দলিল করে যান যে, তিনি ফিরে না এলে মন্দিরের সেবায়েত বুদ্ধিনাথ হবেন জমিদারির ।
গোয়ালা জমিদার ফিরে না আসায় বুদ্ধিনাথ জমিদারির মালিক হন। জমিদার বুদ্ধিনাথের মৃত্যুর পর টংকনাথ জমিদারির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের আস্থা অর্জন করার জন্য মালদুয়ার স্টেট গঠন করেন।
রাজা টংকনাথ চৌধুরীর স্ত্রীর নাম ছিল জয়রামা শংকরী দেবী। তারপর লোক মুখে তার নাম হয় রাণীশংকরী দেবী। পরে রাণীশংকরী দেবীর নামানুসারে মালদুয়ার স্টেটের নাম হয়ে যায় রাণীশংকৈল।
চৌধুরী ও রাজা উপাধি লাভ: রাজা টংকনাথ চৌধুরী খুব বড় মাপের জমিদার না হলেও তার আভিজাত্যের কমতি ছিল না। ১৯২৫ সালের ১৮ নভেম্বর তৎকালীন বৃটিশ গর্ভনর হাউসে টংকনাথ চৌধুরীকে বৃটিশ সরকার চৌধুরী উপাধিতে ভূষিত করেন।
কথিত আছে, টংকনাথের আমন্ত্রণে তৎকালীন বড়লাট এবং দিনাজপুরের মহারাজা গিরিজনাথ রায় রাণীশংকৈলে এলে আমন্ত্রিত অতিথিদের টাকা নোট পুড়িয়ে রীতিমতো রাজকীয় অভ্যর্থনা ও আপ্যায়ন করান এবং পর্যাপ্ত স্বর্ণালংকার উপহার দেন। এর ফলে তৎকালীন বৃটিশ সরকারের কাছ থেকে চৌধুরী উপাধি এবং দিনাজপুরের মহারাজা গিরিজনাথ রায়ের কাছ থেকে রাজা উপাধি পান।
এ ব্যাপারে সাবেক অধ্যক্ষ বিশিষ্ঠ্য ক্রীড়াবিদ তাজুল ইসলাম বলেন, রাজবাড়িটি সংস্কার করা জরুরী। ধীরে ধীরে এর ঐতিহ্যে বিলীন হতে বসেছে,এটি সংস্কার করলে যেমন সরকারের রাজস্ব আয় আসবে, তেমনি কিছু বেকার মানুষের কর্মস্ংস্থান সৃষ্ঠি হবে।
ইতিহাস ঐতিহ্যের কারণে ৯ জানুয়ারী হানিফ সংকেতের ম্যাগাজিং অনুষ্ঠান ইত্যাদি রাজবাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়। রাজবাড়ীটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ও জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়েথাকায় রাণীশংকৈলের কৃতি সন্তান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি এ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান শুভ হাইকোর্টে রিট করে প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের নজরে আসে। ফলে রাজবাড়ি পরিদর্শনে আসেন প্রত্নতত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাবিনা আলম। এসময় তিনি বলেন, রাজবাড়ীটি ইতিহাস ঐতিহ্যের একটা প্রতিক। এটি সংস্কার করে যাদুঘর হিসাবে রুপান্তর করা হবে। এসময় ১০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে সামান্যতম সংস্কার কাজ শুরু করলেও তা বন্ধ হয়ে যায়।
টংকনাথ চৌধুরীর জমিদারীঃ রাজা টংকনাথ চৌধুরীর পূর্ব-পুরুষদের কেউ জমিদার ছিলেন না। বর্তমানে রাণীশংকৈল উপজেলা সদর হতে ৭ কিমি পূর্বে কাতিহার নামক জায়গায় গোয়ালা বংশীয় নিঃসন্তান এক জমিদার বাস করতেন। উক্ত জমিদারের মন্দিরে সেবায়েত হিসাবে কাজ করতেন টংকনাথের পিতা বুদ্ধিনাথ। গোয়ালা জমিদার ভারত এর কাশি বাশে যাওয়ার সময় তাম্রপাতে দলিল করে যান যে, তিনি ফিরে না এলে মন্দিরের সেবায়েত বুদ্ধিনাথ হবেন জমিদারির ।
গোয়ালা জমিদার ফিরে না আসায় বুদ্ধিনাথ জমিদারির মালিক হন। জমিদার বুদ্ধিনাথের মৃত্যুর পর টংকনাথ জমিদারির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের আস্থা অর্জন করার জন্য মালদুয়ার স্টেট গঠন করেন।
রাজা টংকনাথ চৌধুরীর স্ত্রীর নাম ছিল জয়রামা শংকরী দেবী। তারপর লোক মুখে তার নাম হয় রাণীশংকরী দেবী। পরে রাণীশংকরী দেবীর নামানুসারে মালদুয়ার স্টেটের নাম হয়ে যায় রাণীশংকৈল।
চৌধুরী ও রাজা উপাধি লাভ: রাজা টংকনাথ চৌধুরী খুব বড় মাপের জমিদার না হলেও তার আভিজাত্যের কমতি ছিল না। ১৯২৫ সালের ১৮ নভেম্বর তৎকালীন বৃটিশ গর্ভনর হাউসে টংকনাথ চৌধুরীকে বৃটিশ সরকার চৌধুরী উপাধিতে ভূষিত করেন।
কথিত আছে, টংকনাথের আমন্ত্রণে তৎকালীন বড়লাট এবং দিনাজপুরের মহারাজা গিরিজনাথ রায় রাণীশংকৈলে এলে আমন্ত্রিত অতিথিদের টাকা নোট পুড়িয়ে রীতিমতো রাজকীয় অভ্যর্থনা ও আপ্যায়ন করান এবং পর্যাপ্ত স্বর্ণালংকার উপহার দেন। এর ফলে তৎকালীন বৃটিশ সরকারের কাছ থেকে চৌধুরী উপাধি এবং দিনাজপুরের মহারাজা গিরিজনাথ রায়ের কাছ থেকে রাজা উপাধি পান।
এ ব্যাপারে সাবেক অধ্যক্ষ বিশিষ্ঠ্য ক্রীড়াবিদ তাজুল ইসলাম বলেন, রাজবাড়িটি সংস্কার করা জরুরী। ধীরে ধীরে এর ঐতিহ্যে বিলীন হতে বসেছে,এটি সংস্কার করলে যেমন সরকারের রাজস্ব আয় আসবে, তেমনি কিছু বেকার মানুষের কর্মস্ংস্থান সৃষ্ঠি হবে।