সাইবেরিয়ায় কয়েকটি রুশ সামরিক বিমানঘাঁটিতে ভয়াবহ ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, হামলায় মস্কোর ৪০টিরও বেশি বোমারু বিমান ধ্বংস হয়েছে। হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে কিছু জানায়নি মস্কো।
তিন বছরের যুদ্ধের ইতিহাসে রাশিয়ায় ভয়াবহ হামলা চালালো ইউক্রেন। স্থানীয় সময় রোববার (১ জুন) সাইবেরিয়ায় অবস্থিত কয়েকটি রুশ বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায় জেলেনস্কি বাহিনী। এসব হামলায় ৪০টিরও বেশি বোমারু বিমান ধ্বংসের দাবি করেছে ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা এসবিইউ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা জানান, রুশ টিইউ-৯৫ এবং টিইউ-২২ স্ট্র্যাটেজিক বোম্বার্সসহ অন্যান্য বিমান ড্রোন হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়। এই বিমানগুলো দিয়ে রাশিয়া ইউক্রেনের বিভিন্ন জায়গায় প্রায়ই দূরপাল্লার মিসাইল ছোড়ে।
রাশিয়ার ভূখণ্ডের অনেক ভেতরে ইউক্রেনের হামলার ঘটনা এই প্রথম। ইরকুর্স্ক অঞ্চলের রুশ গভর্নর হামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে, ড্রোনগুলো প্রতিহত করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থার (এসবিইউ) তথ্য অনুযায়ী, ‘অপারেশন স্পাইডার ওয়েব’ নামের এ অভিযানটি চালাতে দেড় বছর ধরে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিজে এর তত্ত্বাবধান করেছেন।
সূত্র জানায়, ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা প্রথমে ‘এফপিভি ড্রোন’ রাশিয়ায় পাচার করে। এরপর দেশটিতে নিয়ে যায় কাঠের মোবাইল কেবিন। ড্রোন ও কাঠের কেবিনগুলো রাশিয়ায় পৌঁছার পর ড্রোনগুলো ওই কেবিনের ছাদের নিচে লুকিয়ে রাখা হয়। আর ওই কেবিনগুলো রাখা হয় ট্রাকে।
হামলার সময় ওই কেবিনগুলোর ছাদটি রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে খোলা হয়। এরপর ড্রোনগুলো রিমোট কন্ট্রোলে কেবিন থেকে বের করে রাশিয়ার বিমানঘাঁটিতে থাকা বিমানের ওপর হামলা চালাতে থাকে ইউক্রেন।
ড্রোন হামলার ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি ট্রাকের ওপর থেকে ড্রোন বের হচ্ছে। ইউক্রেনের ধারণা ভয়াবহ এই হামলায় রাশিয়ার অন্তত ৭ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। রাশিয়ার প্রধান বিমানঘাঁটিতে থাকা কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রবাহী জাহাজের ৩৪ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
টেলিগ্রামে এক বার্তায় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই অভিযানের ফলাফলকে ‘চমৎকার’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি লেখেন, ‘এটি সম্পূর্ণভাবে ইউক্রেনের নিজের প্রচেষ্টায় অর্জিত একটি সাফল্য।’
জেলেনস্কি আরও জানান, এই অভিযানের প্রস্তুতি নিতে দেড় বছরেরও বেশি সময় লেগেছে। তিনি এটিকে ‘আমাদের সবচেয়ে দূরপাল্লার অভিযান’ বলে বর্ণনা করেছেন।
রোববার রাতে ভিডিও বার্তায় প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, রুশ বিমানঘাঁটিতে হামলায় ১১৭টি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে এবং রাশিয়ান বাহিনী ‘খুবই উল্লেখযোগ্য ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, যা একেবারেই ন্যায্য’।
তিনি বলেন, এসবিইউ এই অভিযানের জন্য রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি-র একটি আঞ্চলিক কার্যালয়ের একদম পাশেই একটি কমান্ড সেন্টার স্থাপন করেছিল। অভিযানের আগের দিনই অভিযানে অংশ নেয়া সব অপারেটিভকে রাশিয়া থেকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়।
এদিকে সোমবার ইস্তাম্বুলে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে ইউক্রেন ও রাশিয়ার। সংলাপের বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সূত্র: বিবিসি, সিএনএন
তিন বছরের যুদ্ধের ইতিহাসে রাশিয়ায় ভয়াবহ হামলা চালালো ইউক্রেন। স্থানীয় সময় রোববার (১ জুন) সাইবেরিয়ায় অবস্থিত কয়েকটি রুশ বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায় জেলেনস্কি বাহিনী। এসব হামলায় ৪০টিরও বেশি বোমারু বিমান ধ্বংসের দাবি করেছে ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা এসবিইউ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা জানান, রুশ টিইউ-৯৫ এবং টিইউ-২২ স্ট্র্যাটেজিক বোম্বার্সসহ অন্যান্য বিমান ড্রোন হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়। এই বিমানগুলো দিয়ে রাশিয়া ইউক্রেনের বিভিন্ন জায়গায় প্রায়ই দূরপাল্লার মিসাইল ছোড়ে।
রাশিয়ার ভূখণ্ডের অনেক ভেতরে ইউক্রেনের হামলার ঘটনা এই প্রথম। ইরকুর্স্ক অঞ্চলের রুশ গভর্নর হামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে, ড্রোনগুলো প্রতিহত করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থার (এসবিইউ) তথ্য অনুযায়ী, ‘অপারেশন স্পাইডার ওয়েব’ নামের এ অভিযানটি চালাতে দেড় বছর ধরে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিজে এর তত্ত্বাবধান করেছেন।
সূত্র জানায়, ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা প্রথমে ‘এফপিভি ড্রোন’ রাশিয়ায় পাচার করে। এরপর দেশটিতে নিয়ে যায় কাঠের মোবাইল কেবিন। ড্রোন ও কাঠের কেবিনগুলো রাশিয়ায় পৌঁছার পর ড্রোনগুলো ওই কেবিনের ছাদের নিচে লুকিয়ে রাখা হয়। আর ওই কেবিনগুলো রাখা হয় ট্রাকে।
হামলার সময় ওই কেবিনগুলোর ছাদটি রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে খোলা হয়। এরপর ড্রোনগুলো রিমোট কন্ট্রোলে কেবিন থেকে বের করে রাশিয়ার বিমানঘাঁটিতে থাকা বিমানের ওপর হামলা চালাতে থাকে ইউক্রেন।
ড্রোন হামলার ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি ট্রাকের ওপর থেকে ড্রোন বের হচ্ছে। ইউক্রেনের ধারণা ভয়াবহ এই হামলায় রাশিয়ার অন্তত ৭ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। রাশিয়ার প্রধান বিমানঘাঁটিতে থাকা কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রবাহী জাহাজের ৩৪ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
টেলিগ্রামে এক বার্তায় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই অভিযানের ফলাফলকে ‘চমৎকার’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি লেখেন, ‘এটি সম্পূর্ণভাবে ইউক্রেনের নিজের প্রচেষ্টায় অর্জিত একটি সাফল্য।’
জেলেনস্কি আরও জানান, এই অভিযানের প্রস্তুতি নিতে দেড় বছরেরও বেশি সময় লেগেছে। তিনি এটিকে ‘আমাদের সবচেয়ে দূরপাল্লার অভিযান’ বলে বর্ণনা করেছেন।
রোববার রাতে ভিডিও বার্তায় প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, রুশ বিমানঘাঁটিতে হামলায় ১১৭টি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে এবং রাশিয়ান বাহিনী ‘খুবই উল্লেখযোগ্য ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, যা একেবারেই ন্যায্য’।
তিনি বলেন, এসবিইউ এই অভিযানের জন্য রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি-র একটি আঞ্চলিক কার্যালয়ের একদম পাশেই একটি কমান্ড সেন্টার স্থাপন করেছিল। অভিযানের আগের দিনই অভিযানে অংশ নেয়া সব অপারেটিভকে রাশিয়া থেকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়।
এদিকে সোমবার ইস্তাম্বুলে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে ইউক্রেন ও রাশিয়ার। সংলাপের বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সূত্র: বিবিসি, সিএনএন