যুক্তরাষ্ট্রের নতুন কর ও ব্যয় বিল নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের মধ্যে বাগযুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। এবার ট্রাম্প ইলন মাস্ককে ‘পাগল’ বলে অভিহিত করেছেন এবং সেই সঙ্গে মাস্কের কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সরকারের চুক্তিগুলো বাতিল করার হুমকি দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের পেছনে ২৭ কোটি ডলার খরচ করেন গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার কর্ণধার ইলন মাস্ক। নির্বাচনে জিতে তার পুরস্কার হিসেবে মাস্ককে নিজের বিশেষ উপদেষ্টা করেন ট্রাম্প।
সেই সঙ্গে সরকারের দক্ষতা ও ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (ডিওজিই) নামে নতুন বিভাগ খুলে তার প্রধান করেন মাস্ককে। কিন্তু মাত্র চার মাসের মাথায় সেই সম্পর্কে বড় ফাটল দেখা দেয়।
নতুন কর ও ব্যয় বিল নিয়ে সেই দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে ওঠে। মাস্ক ওই ব্যয় বিল বাতিল করার জন্য প্রচারণা চালাতে শুরু করেন। তিনি বলেন, এটা যুক্তরাষ্ট্রের ৩৬ লাখ কোটি ডলারেরও বেশি জাতীয় ঋণ আরও বাড়াবে। মাস্কের এসব সমালোচনা নিয়ে ট্রাম্প প্রাথমিকভাবে চুপই ছিলেন।
অবশেষ গত সপ্তাহে সরকারের ডিওজিই প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দেন ইলন মাস্ক। গত বৃহস্পতিবার (৫ জুন) হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ট্রাম্প প্রকাশ্যে টেসলা প্রধানের সমালোচনা করেন। বলেন, ‘ইলন ও আমার মধ্যে দারুণ একটি সম্পর্ক ছিল। সেটি আর থাকবে কিনা আমি জানি না। মাস্ককে নিয়ে তিনি ‘খুবই হতাশ’।
এরপর উভয়ের মধ্যে শুরু হয় বাগযুদ্ধ। ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোমাধ্যম প্লাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে আর ইলন মাস্ক তার এক্স-এ একে অপরকে আক্রমণ করে কথা বলতে থাকেন। ইলন ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আমি না থাকলে ট্রাম্প নির্বাচনে জিততে পারতেন না। কেমন অকৃতজ্ঞ।
আরেক পোস্টে তিনি বলেন, ট্রাম্পের কর বিল যুক্তরাষ্ট্রকে চলতি বছরের শেষ নাগাদ মন্দার দিকে ঠেলে দেবে। জবাবে ইলন মাস্ককে ‘উন্মাদ’ অভিহিত করে ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে বলেন, ‘আমাদের বাজেটে অর্থ সাশ্রয় করার (হাজার হাজার কোটি ডলার) সহজতম পথ হচ্ছে ইলনের সঙ্গে সরকারি ভর্তুকি ও চুক্তি বাতিল করা।’
ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের পর ওয়াল স্ট্রিটের ব্যবসায়ীরা মাস্কের বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণ কোম্পানি টেসলার শেয়ার ছেড়ে দিতে শুরু করেন। এতে টেসলার শেয়ার দর পড়তে শুরু করে এবং বৃহস্পতিবার দিন শেষে ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ পতন ঘটে। এতে কোম্পানিটি ১৫ হাজার কোটি ডলার বাজার মূল্য হারায়। যা টেসলার ইতিহাসে একদিনে সবচেয়ে বড় দরপতন বলে খবরে বলা হয়েছে।
শেয়ার বাজার বন্ধ হওয়ার ঘণ্টা বাজার কয়েক মিনিট পর ফের ট্রাম্পকে আক্রমণ করেন ইলন মাস্ক। তিনি এক্স-এ লেখেন, ‘ট্রাম্পকে অভিশংসিত করা উচিত’। যদিও কংগ্রেসের উভয়কক্ষে রিপাবলিকান পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় সেই সম্ভাবনা খুবই কম।
টেসলার পাশাপাশি মাস্কের ব্যবসার মধ্যে আছে রকেট কোম্পানি ও সরকারি ঠিকাদার স্পেসএক্স আর এর স্যাটেলাইট ইউনিট স্টারলিঙ্ক। মাস্কের মহাকাশ ব্যবসা মার্কিন সরকারের মহাকাশ কর্মসূচীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
মাস্ক আরও বলেছেন, ট্রাম্পের হুমকির একটি ফল হিসেবে তিনি স্পেসএক্সের ড্রাগন মহাকাশযান প্রত্যাহার করা শুরু করতে পারেন। বর্তমানে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে মহাকাশচারী পাঠাতে সক্ষম যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র মহাকাশযান হল ড্রাগন।
যুক্তরাষ্ট্রের গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের পেছনে ২৭ কোটি ডলার খরচ করেন গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার কর্ণধার ইলন মাস্ক। নির্বাচনে জিতে তার পুরস্কার হিসেবে মাস্ককে নিজের বিশেষ উপদেষ্টা করেন ট্রাম্প।
সেই সঙ্গে সরকারের দক্ষতা ও ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (ডিওজিই) নামে নতুন বিভাগ খুলে তার প্রধান করেন মাস্ককে। কিন্তু মাত্র চার মাসের মাথায় সেই সম্পর্কে বড় ফাটল দেখা দেয়।
নতুন কর ও ব্যয় বিল নিয়ে সেই দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে ওঠে। মাস্ক ওই ব্যয় বিল বাতিল করার জন্য প্রচারণা চালাতে শুরু করেন। তিনি বলেন, এটা যুক্তরাষ্ট্রের ৩৬ লাখ কোটি ডলারেরও বেশি জাতীয় ঋণ আরও বাড়াবে। মাস্কের এসব সমালোচনা নিয়ে ট্রাম্প প্রাথমিকভাবে চুপই ছিলেন।
অবশেষ গত সপ্তাহে সরকারের ডিওজিই প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দেন ইলন মাস্ক। গত বৃহস্পতিবার (৫ জুন) হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ট্রাম্প প্রকাশ্যে টেসলা প্রধানের সমালোচনা করেন। বলেন, ‘ইলন ও আমার মধ্যে দারুণ একটি সম্পর্ক ছিল। সেটি আর থাকবে কিনা আমি জানি না। মাস্ককে নিয়ে তিনি ‘খুবই হতাশ’।
এরপর উভয়ের মধ্যে শুরু হয় বাগযুদ্ধ। ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোমাধ্যম প্লাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে আর ইলন মাস্ক তার এক্স-এ একে অপরকে আক্রমণ করে কথা বলতে থাকেন। ইলন ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আমি না থাকলে ট্রাম্প নির্বাচনে জিততে পারতেন না। কেমন অকৃতজ্ঞ।
আরেক পোস্টে তিনি বলেন, ট্রাম্পের কর বিল যুক্তরাষ্ট্রকে চলতি বছরের শেষ নাগাদ মন্দার দিকে ঠেলে দেবে। জবাবে ইলন মাস্ককে ‘উন্মাদ’ অভিহিত করে ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে বলেন, ‘আমাদের বাজেটে অর্থ সাশ্রয় করার (হাজার হাজার কোটি ডলার) সহজতম পথ হচ্ছে ইলনের সঙ্গে সরকারি ভর্তুকি ও চুক্তি বাতিল করা।’
ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের পর ওয়াল স্ট্রিটের ব্যবসায়ীরা মাস্কের বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণ কোম্পানি টেসলার শেয়ার ছেড়ে দিতে শুরু করেন। এতে টেসলার শেয়ার দর পড়তে শুরু করে এবং বৃহস্পতিবার দিন শেষে ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ পতন ঘটে। এতে কোম্পানিটি ১৫ হাজার কোটি ডলার বাজার মূল্য হারায়। যা টেসলার ইতিহাসে একদিনে সবচেয়ে বড় দরপতন বলে খবরে বলা হয়েছে।
শেয়ার বাজার বন্ধ হওয়ার ঘণ্টা বাজার কয়েক মিনিট পর ফের ট্রাম্পকে আক্রমণ করেন ইলন মাস্ক। তিনি এক্স-এ লেখেন, ‘ট্রাম্পকে অভিশংসিত করা উচিত’। যদিও কংগ্রেসের উভয়কক্ষে রিপাবলিকান পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় সেই সম্ভাবনা খুবই কম।
টেসলার পাশাপাশি মাস্কের ব্যবসার মধ্যে আছে রকেট কোম্পানি ও সরকারি ঠিকাদার স্পেসএক্স আর এর স্যাটেলাইট ইউনিট স্টারলিঙ্ক। মাস্কের মহাকাশ ব্যবসা মার্কিন সরকারের মহাকাশ কর্মসূচীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
মাস্ক আরও বলেছেন, ট্রাম্পের হুমকির একটি ফল হিসেবে তিনি স্পেসএক্সের ড্রাগন মহাকাশযান প্রত্যাহার করা শুরু করতে পারেন। বর্তমানে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে মহাকাশচারী পাঠাতে সক্ষম যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র মহাকাশযান হল ড্রাগন।