
ঠোঁট, অথচ যেন ঠিক ঠোঁট নয়! একটি গোল চাকতির সঙ্গে মিশে গিয়েছে মুখের অন্যতম সুন্দর অঙ্গটি। চাকতিটি মুখ থেকে ঝুলছে কিছুটা ঢাউস কানের দুলের মতো। যেন শাস্তি। কিন্তু যার মুখে এমন চাকতি বা প্লেট ‘বসানো’, তার মুখে বেশ হাসি। কথা হচ্ছে ইথিওপিয়ার মুরসি উপজাতির মহিলাদের। আফ্রিকা মানেই হাজারও রহস্য, অ্যাডভেঞ্চার আর মানুষের মধ্যে অফুরান বৈচিত্র্য। মুরসি উপজাতির মহিলাদের মধ্যেও এমনই এক বিশেষ চল রয়েছে। তা হল মুখে এই বিশেষ ‘গয়না’ পরা।
মাটির বা কাঠের চাকতি
প্রথম দিকে মাটির বা কাঠের চাকতি দিয়ে এই গয়না পরতে হয়। পরে তার ওজন বাড়ে। নীচের ঠোঁটের কাটা অংশে ঢোকানো হয় প্লেটটি। মুরসি উপজাতির এক সুপ্রাচীন ঐতিহ্য এই প্লেট পরা! সৌন্দর্য এবং সাংস্কৃতিক পরিচয়ের প্রতীক বলে মনে করা হয় একে।
যৌবনে পা রাখার সময়…
১৫-১৮ বছর বয়সে না পৌঁছালে এই গয়না পরার রীতি নেই। কৈশোর থেকে যৌবনে উপনীত হলে প্রথমে নিচের ঠোঁট ছিদ্র করা হয়। ওই ছিদ্রে প্রথমে একটি কাঠের খুঁটি ঢোকানো হয়। ক্ষত সেরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লিপ প্লেটটি ঢোকানো হয়।
সৌন্দর্য ও সংস্কৃতির প্রতীক
আপাত দৃষ্টিতে বেশ কষ্টের মনে হলেও মুরসি উপজাতির মধ্যে এই প্লেট গয়না পরার চল বহুদিনের। ঠোঁটের এই প্লেট সৌন্দর্য এবং সাংস্কৃতিক পরিচয়ের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। বিশেষ করে অবিবাহিত মেয়ে এবং নববিবাহিত মহিলাদের জন্য।
বিয়ের যৌতুক ঠিক করে দেয় প্লেট
প্লেট পরার অবশ্য কিছু সময় ঠিক করা আছে। বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানে সাজগোজ করার পময় এটি না পরলেই নয়। বিবাহ, দ্বৈত প্রতিযোগিতার মতো বিশেষ অনুষ্ঠানে এবং পুরুষদের খাবার পরিবেশনের সময় প্রায়শই এই প্লেট পরা হয়। মনে করা হয়, একজন মহিলাকে সামাজিক মর্যাদায় অনেকটা উঁচুতে স্থান দেয় এই সাজ। তবে বিয়ের সময় এর আলাদা গুরুত্ব। কারণ বিয়েতে প্রদত্ত যৌতুকের উপর প্রভাব ফেলতে পারে প্লেটের আকার। বড় প্লেটগুলি উচ্চ মর্যাদার ইঙ্গিত বহন করে!
যার যার পছন্দ…
প্রথাটি একটি সাংস্কৃতিক রীতি হলেও শেষ পর্যন্ত তরুণীর নিজের সিদ্ধান্তও এখানে গুরুত্ব পায়। ঠোঁট ফুটো করে প্লেট বা চাকতিটি পরার সিদ্ধান্ত তাঁর নিজের। অনেক মেয়ে ঠোঁটে প্লেট ছাড়াই বিয়ে করে। কেউ কেউ আবার জীবনের শেষভাগে এসে এই প্লেট পরা শুরু করতে পারে।
মাটির বা কাঠের চাকতি
প্রথম দিকে মাটির বা কাঠের চাকতি দিয়ে এই গয়না পরতে হয়। পরে তার ওজন বাড়ে। নীচের ঠোঁটের কাটা অংশে ঢোকানো হয় প্লেটটি। মুরসি উপজাতির এক সুপ্রাচীন ঐতিহ্য এই প্লেট পরা! সৌন্দর্য এবং সাংস্কৃতিক পরিচয়ের প্রতীক বলে মনে করা হয় একে।
যৌবনে পা রাখার সময়…
১৫-১৮ বছর বয়সে না পৌঁছালে এই গয়না পরার রীতি নেই। কৈশোর থেকে যৌবনে উপনীত হলে প্রথমে নিচের ঠোঁট ছিদ্র করা হয়। ওই ছিদ্রে প্রথমে একটি কাঠের খুঁটি ঢোকানো হয়। ক্ষত সেরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লিপ প্লেটটি ঢোকানো হয়।
সৌন্দর্য ও সংস্কৃতির প্রতীক
আপাত দৃষ্টিতে বেশ কষ্টের মনে হলেও মুরসি উপজাতির মধ্যে এই প্লেট গয়না পরার চল বহুদিনের। ঠোঁটের এই প্লেট সৌন্দর্য এবং সাংস্কৃতিক পরিচয়ের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। বিশেষ করে অবিবাহিত মেয়ে এবং নববিবাহিত মহিলাদের জন্য।
বিয়ের যৌতুক ঠিক করে দেয় প্লেট
প্লেট পরার অবশ্য কিছু সময় ঠিক করা আছে। বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানে সাজগোজ করার পময় এটি না পরলেই নয়। বিবাহ, দ্বৈত প্রতিযোগিতার মতো বিশেষ অনুষ্ঠানে এবং পুরুষদের খাবার পরিবেশনের সময় প্রায়শই এই প্লেট পরা হয়। মনে করা হয়, একজন মহিলাকে সামাজিক মর্যাদায় অনেকটা উঁচুতে স্থান দেয় এই সাজ। তবে বিয়ের সময় এর আলাদা গুরুত্ব। কারণ বিয়েতে প্রদত্ত যৌতুকের উপর প্রভাব ফেলতে পারে প্লেটের আকার। বড় প্লেটগুলি উচ্চ মর্যাদার ইঙ্গিত বহন করে!
যার যার পছন্দ…
প্রথাটি একটি সাংস্কৃতিক রীতি হলেও শেষ পর্যন্ত তরুণীর নিজের সিদ্ধান্তও এখানে গুরুত্ব পায়। ঠোঁট ফুটো করে প্লেট বা চাকতিটি পরার সিদ্ধান্ত তাঁর নিজের। অনেক মেয়ে ঠোঁটে প্লেট ছাড়াই বিয়ে করে। কেউ কেউ আবার জীবনের শেষভাগে এসে এই প্লেট পরা শুরু করতে পারে।