ফুলবাড়ীতে ঈদ পরবর্তী বাজারে মন্দাভাব, সবজির দাম চড়া, চাল সস্তা

আপলোড সময় : ১২-০৬-২০২৫ ০৪:০৩:৫২ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১২-০৬-২০২৫ ০৪:০৩:৫২ অপরাহ্ন
পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শেষে ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করেছে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার পাইকারি বাজারের আড়ত ও দোকানপাট। তবে এখনও পুরোপুরি সরব হয়ে ওঠেনি বাজার। অধিকাংশ দোকানপাট এখনো বন্ধ, খোলা কিছু দোকানে কর্মচারীদের পুরোনো হিসাব মেলাতে ও মালপত্র গোছাতে দেখা গেছে।

গত ৬ জুন (শুক্রবার) পর্যন্ত ফুলবাড়ীর পাইকারি বাজারে বেচাকেনা ছিল জমজমাট। এরপর টানা তিনদিন বন্ধ থাকার পর গত মঙ্গলবার (১০ জুন) থেকে বাজার ফের খুলতে শুরু করেছে। তবে বেশিরভাগ দোকান এখনো বন্ধ থাকায় ক্রেতার উপস্থিতিও কম।

সবজির আড়ত ও খুচরা বাজারের কিছু দোকান ঈদের ছুটির সময়ও খোলা ছিল। তবে ওই সময় সরবরাহ কম থাকায় কিছু সবজির দাম বেড়েছে। অন্যদিকে চাল, ডালসহ কিছু নিত্যপণ্যের দাম কমতির দিকে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগামী শুক্রবার (১৩ জুন) থেকে বাজার পুরোপুরি চাঙা হয়ে উঠবে। পোশাক ও গৃহস্থালি পণ্যের দোকানগুলোও বৃহস্পতিবার (১২ জুন) থেকে খুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সবজি আড়তের কিছু দোকান খুলেছে। তবে সব দোকান এখনো চালু হয়নি। আড়তদাররা আশা করছেন, শুক্রবার থেকে বাজার পুরোদমে সচল হবে। পাইকাররাও তখন পুরোদমে পণ্য আনতে শুরু করবেন।

পেঁয়াজ, রসুন, আদা এবং তেলের দাম ঈদের আগের দরের কাছাকাছি রয়েছে। বর্তমানে আড়তে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, আদা ৯৫ থেকে ১১০ টাকা, আর রসুন ১১০ থেকে ১২৫ টাকায়। চিনি ও সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১৮৫ টাকার মধ্যে।

খুচরা কাঁচা বাজার খোলা থাকলেও সেখানে ক্রেতা কম। সুজাপুরের বৃহৎ সবজি আড়তেও অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেচাকেনা কম ছিল। সরবরাহ কম থাকায় বাজারে সবজির পরিমাণও ছিল তুলনামূলকভাবে কম।

গত এক সপ্তাহে কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। ঈদের আগে কেজি ২০ থেকে ২২ টাকায় বিক্রি হলেও আজ তা বেড়ে ৩০ থেকে ৩২ টাকায় উঠেছে।

সবজির আড়তদার মিহির প্রামাণিক জানান, সরবরাহ কম থাকায় কিছু সবজির দাম বেড়েছে। তবে শুক্রবারের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে এবং দামও কমে আসবে।

অন্যদিকে চালের দাম ঈদের আগে থেকেই কমতির দিকে। প্রতি বস্তায় (৫০ কেজি) চালের দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। মহাসড়কে যান চলাচল কম থাকলেও চালের সরবরাহ ছিল স্বাভাবিক। মোটা চাল (গুটি স্বর্ণা) প্রতি কেজি ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা। জিরাশাইল চাল ১০ টাকা কমে বর্তমানে ৭২ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ধান-চাল আড়তদার হামান দত্ত বলেন, চালের সরবরাহ যথেষ্ট রয়েছে। সব ধরনের চালের দাম কমেছে। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া জিরাশাইলের ৫০ কেজির বস্তা আগে ৪ হাজার ৫০০ টাকা ছিল, এখন তা ৩ হাজার ৯০০ থেকে ৪ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]