হোয়াইট হাউসের ‘দু’সপ্তাহ’ বার্তার মাঝেই ইরানে ধ্বংসের হুঁশিয়ারি দিলেন নেতানিয়াহু!

আপলোড সময় : ২০-০৬-২০২৫ ০৪:৪৬:৩৭ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২০-০৬-২০২৫ ০৪:৪৬:৩৭ অপরাহ্ন
আমেরিকা পাশে থাক বা না-থাক, ইজরায়েল তা নিয়ে ভাবিত নয়। তাদের লক্ষ্য ইরানের সমস্ত পরমাণুঘাঁটি ধ্বংস করে দেওয়া। এমনটাই জানালেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। বৃহস্পতিবার রাতে (স্থানীয় সময়) হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়েছে, ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকা অস্ত্র ধরবে কি না, তা নিয়ে আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন ট্রাম্প। তার মাঝেই নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ইরানের পরমাণুঘাঁটিগুলি ধ্বংসের লক্ষ্যে মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হচ্ছে। এই কাজের জন্য অন্য কোনও দেশের ‘সবুজ সঙ্কেত’ তাঁদের প্রয়োজন নেই। এ বিষয়ে ইজরায়েলই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। কারও অনুমতি নেওয়া হবে না।

ইরান-ইজরায়েল দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্পকে উদ্ধৃত করে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, “অদূর ভবিষ্যতে (ইরানের সঙ্গে) বোঝাপড়ায় আসার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আমি সেই পথে হাঁটব কি না, সে বিষয়ে আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেব।” পাশাপাশি একটি সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহুকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা ইরানের সমস্ত পরমাণুঘাঁটিতে হামলা চালাব। আমাদের সেই ক্ষমতা আছে। ইরানে বর্তমান শাসকের পতন হবে কি না, শাসনব্যবস্থা পরিবর্তিত হবে কি না, তা সেখানকার জনগণের নিজস্ব বিষয়। এর কোনও বিকল্প নেই। ট্রাম্প এই কাজে আমাদের সঙ্গে যোগ দেবেন কি না, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। আমেরিকার পক্ষে যেটা ভাল, তিনি সেটাই করবেন। ইজরায়েলের জন্য যেটা ভাল, আমি সেটা করব।’’

গত শুক্রবার থেকে ইজরায়েল এবং ইরানের সংঘাত চলছে। অষ্টম দিনেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিরাম নেই। ইজরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্রে মৃত্যু হয়েছে ইরানের চার শীর্ষ সেনাকর্তা এবং ন’জন পরমাণু বিজ্ঞানীর। তার পর প্রত্যাঘাতে মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে তেহরানও। বৃহস্পতিবারই ইরানের একটি ক্ষেপণাস্ত্র গিয়ে পড়েছে ইজরায়েলের হাসপাতালে। যদিও ইরান জানিয়েছে, কোনও হাসপাতাল তাদের নিশানায় ছিল না। তারা কেবল ইজরায়েলের সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করেই হামলা চালাচ্ছে। ইরানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কাস্পিয়ান সাগরের ধারে রাশ্‌ট শহরে শুক্রবার ভোরে ইজরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র এসে পড়েছে। যদিও ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী এই হামলার বিষয়ে আগেই সতর্ক করেছিল। শহরের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইরানের বিস্তীর্ণ অংশে ইন্টারনেট বন্ধ। ফলে আদৌ সেই সাবধানবাণী সাধারণ মানুষের কানে পৌঁছেছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।

আমেরিকার সমর্থনেই ইজরায়েল হামলা শুরু করেছিল ইরানে। শুক্রবারের হামলার আগে ট্রাম্পের সঙ্গে নেতানিয়াহুর দীর্ঘ ক্ষণ ফোনে কথাও হয়েছিল। কিন্তু আমেরিকা এবং ইজরায়েলের যৌথ চাপের মুখেও নতিস্বীকার করতে নারাজ ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই। তিনি পাল্টা হামলা এবং ভয়ঙ্কর পরিণতির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ফলে পশ্চিম এশিয়ার সঙ্কট ক্রমে আরও জটিল হচ্ছে।

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]