প্রেম ছাড়া বর্ষা অসম্পূর্ণ, অপরাজিতা

আপলোড সময় : ২০-০৬-২০২৫ ০৭:৩৩:১৫ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২০-০৬-২০২৫ ০৭:৩৩:১৫ অপরাহ্ন
বাইরে অবিরাম ঝিরঝির বৃষ্টি। রাত গড়ালেই ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক। দুপুরে হঠাৎ বদলে যাওয়া আকাশের রং। অথবা, সন্ধে নামতেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি, বাড়ির ভিতর লোডশেডিং আর তার সঙ্গে ভূতের গল্প। বর্ষাকে নানা অনুভূতির মোড়কে বাঁধতে সিদ্ধহস্ত বাঙালি। বর্ষায় খাওয়াদাওয়া থেকে প্রেম, সব নিয়েই বাঙালি সীমাহীন কল্পনাপ্রবণ। অপরাজিতা আঢ্যও তেমনই মানুষ। বর্ষাকে ভাবকল্পনার সীমায় নিয়ে যেতে পারেন তিনিও।

তাই বর্ষার কথা বলতেই অপরাজিতা বলেন, “বর্ষা আমার কাছে খুব আনন্দের। বৃষ্টি পড়লেই আমার মন ভাল হয়ে যায়। বরাবর বৃষ্টিতে ভিজতে ভালবাসি আমি। বৃষ্টি আমার কাছে প্রেম। বৃষ্টি আমার কাছে উদাসীন হয়ে যাওয়া। বৃষ্টি মানে চপ-মুড়ি খাওয়া। ঘরে সকলে বসে আড্ডা দেওয়া।” বাঙালির বর্ষায় শৈশবের স্মৃতিচারণ থাকে। অপরাজিতাও ব্যতিক্রম নন। তাই বৃষ্টির হাত ধরেই ফিরে গেলেন শৈশবে। বললেন, “ছোটবেলায় স্কুল থেকে ফেরার সময়ে বৃষ্টিতে ভিজতাম। জুতো খুলে হাতে নিয়ে বন্ধুরা মিলে স্কুল থেকে ফেরার আনন্দই আলাদা ছিল। একবার প্রবল বৃষ্টিতে মা স্কুলে পাঠিয়েছিল। কাকভেজা হয়ে স্কুলে গিয়েছিলাম। অগত্যা স্কুল থেকে টেপফ্রক পরে বাড়ি ফিরতে হয়েছিল। প্রায়ই এ সব হত। তবে বৃষ্টির জন্য স্কুল ছুটি হয়ে গেলে মজা হত খুব।”

অপরাজিতার বর্ষা প্রেম ছাড়া অসম্পূর্ণ। অভিনেত্রী জানান, প্রত্যেক যুগলের অন্তত একটা বর্ষা একসঙ্গে কাটানো উচিত। অপরাজিতার কথায়, “বর্ষায় প্রেম করা উচিত। প্রেমিক যুগলদের বর্ষায় হাত ধরাধরি করে ভেজা উচিত। প্রেমের কোনও বয়স থাকে না। জীবনের প্রতি মুহূর্ত উদ্‌যাপনের। তাই বর্ষায় প্রাণের মানুষের সঙ্গে উপভোগ করা উচিত।”

বৃষ্টির সময়ে বেড়াতে যাওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন অভিনেত্রী। জীবনে অন্তত এক বার পাহাড় ও সমুদ্রের বর্ষা দেখা উচিত বলে মনে করেন তিনি। পাহাড়ের কিছু রাস্তা ঝুঁকিবহুল হয়। কিন্তু সমুদ্রের বর্ষা প্রতিবছর এক বার উপভোগ করেন অপরাজিতা। বর্ষা এলেই গোয়ায় যেতে ইচ্ছে করে তাঁর। খাওয়াদাওয়ার প্রসঙ্গে আদ্যন্ত বাঙালি অপরাজিতা। তাই খাবারের প্রসঙ্গ উঠতেই অভিনেত্রী বলেন, “বর্ষার সেরা খাবার খিচুড়ি আর ইলিশমাছ ভাজা।”

বর্ষার সৌন্দর্য নিয়ে কথা বলতে বলতেই অপরাজিতা সব শেষে বলেন, “কিছু মানুষের কাছে বর্ষা আনন্দের ঠিকই। তবে কিছু মানুষের কাছে অতিরিক্ত বৃষ্টি কিন্তু খুবই যন্ত্রণাদায়ক। যাঁদের বাড়ির ছাদ ফুটো হয়ে জল পড়ে অথবা যাঁদের মাথার উপর ছাদই নেই, তাঁদের জন্য খুব কষ্টকর এই মরসুম।”

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]