রক্তচাপ হঠাৎ বেড়েছে, হাতের কাছে ওষুধ নেই, বিপদ এড়াতে কী করবেন?

আপলোড সময় : ২৫-০৬-২০২৫ ০৩:০৭:২৮ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২৫-০৬-২০২৫ ০৩:০৭:২৮ অপরাহ্ন
রক্তচাপের সমস্যা বয়স্কদেরই কেবল হয়, এই ধারণাকে আর ঠিক বলা যাবে না। রক্তচাপের তারতম্যে এখন বেশি ভুগছেন কমবয়সিরাই। রাতে কম ঘুম, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, অতিরিক্ত নেশার কবলে পড়ে রক্তচাপ ওঠানামা করছে। হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে, হাতের কাছে সব সময়েই ওষুধ মজুত করে রাখতে হয়। রক্তচাপ মাঝেমধ্যে মেপে নেওয়াও জরুরি। তবে যদি এমন পরিস্থিতিতে পড়েন যখন হাতের কাছে কোনও ওষুধপত্র নেই, এ দিকে রক্তচাপে হেরফের হচ্ছে, তখন কী করবেন?

রক্তচাপ হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া ভাল লক্ষণ নয়। এর থেকে হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে। যদি দেখেন, বুক ধড়ফড় করছে, মাথা ঘোরা বা বমি ভাব রয়েছে, চোখের সামনে সব অন্ধকার দেখতে শুরু করেছেন, সেই সঙ্গেই হাত-পায়ের পেশিতে টান ধরছে, তা হলে সতর্ক হতেই হবে। রক্তচাপ যদি বেশি হয়, তা কমানোর উপায়ও আছে। ওষুধ না থাকলেও চিন্তা নেই। সাময়িক ভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে বিপদ এড়ানোর কিছু পদ্ধতি জেনে রাখা ভাল।

ডিপ ব্রিদিং: রক্তচাপ খুব তাড়াতাড়ি নিয়ন্ত্রণে আনতে শ্বাসের ব্যায়ামই আদর্শ। শান্ত হয়ে বসে গভীর ভাবে শ্বাস নিতে হবে। কিছু ক্ষণ শ্বাস ধরে রেখে তা ধীরে ধীরে ছাড়তে হবে। গোটা প্রক্রিয়াটি করতে হবে ১০-২০ সেকেন্ড ধরে। পর পর ৩ সেট করলেই রক্তচাপ বশে থাকবে। এই পদ্ধতি শরীরের প্যারাসিম্প্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় করে তোলে। ফলে অত্যধিক উত্তেজনা, অস্থিরতা কমে যায়। হৃৎস্পন্দনের হারও নিয়ন্ত্রিত হয়।

ঠান্ডা জলের ঝাপটা: খুবই উপকারী একটি পদ্ধতি। মুখে, ঘাড়ে ঠান্ডা জল দিলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত হয়। এতে রক্তজালিকাগুলির মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কা কমে। চিকিৎসকেরা বলেন, শরীরে অস্বস্তি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি মাথা, ঘাড়, মুখ ও পায়ের পাতা ঠান্ডা জলে ধোয়া যায়, তা হলে বিপদ অনেক কমে যাবে।

লেবুর জল: লেবুতে প্রচুর পরিমাণে থাকে পটাশিয়াম। চিনি ও নুন না মিশিয়ে যদি লেবুর জল খান, তা হলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এক গ্লাস জলে অর্ধেকটা পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারলেই শরীরে জল ও খনিজের ঘাটতি অনেকটা মিটে যাবে। লেবুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরে শক্তির জোগান দেবে।

ধীরে ধীরে জল খান: এক গ্লাস জল ধীরে ধীরে চুমুক দিয়ে খেলেও উপকার হবে। বুক ধড়ফড়, দরদর করে ঘাম হতে থাকলে, সেই সঙ্গে মাথা ঘোরার লক্ষণ দেখা দিলে, স্থির হয়ে বসে আগে জল খান। এতে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হবে। তবে ভুলেও নরম পানীয় বা সোডা খেতে যাবেন না। এতে হিতে বিপরীত হবে।

তুলসী পাতা ও রসুন: রসুনে থাকে অ্যালিসিন নামে একটি যৌগ, যা রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে এবং রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। তুলসি পাতার অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তা ছাড়া তুলসীর প্রদাহনাশক গুণও রয়েছে। কয়েকটি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে বা জলে ভিজিয়ে খেলে শরীরের প্রদাহ খুব তাড়াতাড়ি কমে যাবে।

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]