আশুরার দিন যে আমল করতেন নবীজি (সা.)

আপলোড সময় : ০৪-০৭-২০২৫ ০৬:২৪:০১ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০৪-০৭-২০২৫ ০৬:২৪:০১ অপরাহ্ন
মহররম মাসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যময় দিন আশুরা। ইসলামে এ দিনের ইবাদতের তাৎপর্য অনেক। বছরের বরকতময় এই দিন কোরআন তিলাওয়াত, তওবা-ইস্তিগফার, জিকির-আসকার, নফল নামাজ, তসবিহ-তাহলিল, দরুদ পাঠ ও দান-সদকার মাধ্যমে অতিবাহিত করা উত্তম।

এসবের পাশাপাশি আশুরার দিনের রোজা মুস্তাহাব বা উত্তম। এই রোজার অনন্য ফজিলত রয়েছে। পূর্বের অনেক নবী-রাসুলের যুগেও আশুরার রোজার আমল ছিল। মক্কায় থাকাকালীন এ দিন নবী (সা.) রোজা রাখতেন। হিজরতের পর মদিনায় এসে তিনি দেখতে পেলেন, ইহুদিরা এই দিনে রোজা রাখে। খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারলেন, এ দিন মুসা নবী অত্যাচারী ফেরাউনের কাছ থেকে রেহাই পাওয়ার কারণে ইহুদিরা রোজা রাখে। তখন তিনি সাহাবিদের বললেন, ‘মুসা (আ.)-এর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ইহুদিদের চেয়ে বেশি ঘনিষ্ঠ ও অগ্রগণ্য। সুতরাং তোমরাও আশুরার দিন রোজা রাখো।’

হিজরতের দ্বিতীয় বছর রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার আগপর্যন্ত আশুরার রোজা ছিল বাধ্যতামূলক। রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার পর আশুরার রোজা মুস্তাহাব হয়ে যায়। তবে এখনো মর্যাদার দিক থেকে রমজানের রোজার পরেই আশুরার রোজার অবস্থান। এই রোজার ফজিলত সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমি আল্লাহ তাআলার কাছে আশা রাখি, যে ব্যক্তি মহররমের ১০ তারিখে রোজা রাখবে, তার বিগত এক বছরের (সগিরা) গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১১৬২)

অনন্য ফজিলতের কারণে মদিনার মায়েরা তাদের শিশুদেরও আশুরার দিন রোজা রাখাতেন। রুবাইয়িউ (রা.) বলেন, ‘আমরা ওই দিন রোজা রাখতাম এবং আমাদের শিশুদের রোজা রাখাতাম। আমরা তাদের জন্য পশমের খেলনা তৈরি করে দিতাম। তাদের কেউ খাবারের জন্য কাঁদলে, তাকে ওই খেলনা দিয়ে ভুলিয়ে রাখতাম। আর এভাবেই ইফতারের সময় হয়ে যেত।’ (সহিহ্ বুখারি: ১৯৬০)

তবে আশুরার দিন রোজা রাখার ক্ষেত্রে নবী করিম (সা.)-এর একটি বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। রাসুল (সা.) যখন আশুরার রোজা রাখছিলেন এবং অন্যদের রোজা রাখতে বলেছিলেন তখন সাহাবিরা বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, এ দিনকে তো ইহুদি-খ্রিষ্টানরা সম্মান করে!’ তখন নবীজি (সা.) বলেন, ‘ইনশা আল্লাহ, আগামী বছর আমরা নবম তারিখেও রোজা রাখব।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৫৫৬)। নবীজি (সা.)-এর সেই নির্দেশনা অনুযায়ী এর পর থেকে সাহাবিরা আশুরা উপলক্ষে ১০ মহররমের পাশাপাশি ৯ বা ১১ তারিখও রোজা রাখতেন। ইহুদিরা রোজা রাখত একটি, সাহাবিরা রাখতেন দুটি। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলতেন, ‘তোমরা ৯ তারিখ এবং ১০ তারিখ রোজা রাখো, ইহুদিদের বিপরীত করো।’ (জামে তিরমিজি: ৭৫৫)

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]