
ফাস্ট ফুড, মিষ্টি, ভাজাভুজি—যার স্বাদে আমরা রোজকার জীবনে অভ্যস্ত, তা এখন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নজরে। মোটা হওয়ার সমস্যা ও হৃদরোগ আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে থাকায়, মন্ত্রক সম্প্রতি দেশের সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়েছে ‘তেল ও চিনি সতর্কতা বোর্ড’ বসানোর, যাতে সাধারণ মানুষ খাবার বাছার ক্ষেত্রে সচেতন হন।
এই নতুন পদক্ষেপে সরাসরি নজরে এসেছে সিঙাড়া ও জিলিপির মতো জনপ্রিয় খাবার, যেগুলো স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ভাষায়, “সিগারেটের মতো সতর্কতার যোগ্য”।
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় চিওয়ানে (ডিরেক্টর, কার্ডিওলজি, ফর্টিস হাসপাতাল, গুরগাঁও) বলেন, “নিয়মিত সিঙাড়া বা জিলিপি খাওয়া শরীরের জন্য একেবারে ধ্বংসাত্মক। এতে রয়েছে বিপজ্জনক ট্রান্স ফ্যাট ও প্রসেসড চিনি, যা বিশ্বব্যাপী হৃদরোগের প্রধান কারণ।”
সিঙাড়া: ‘খারাপ কোলেস্টেরলের কারখানা’
সিঙাড়া সাধারণত ভাজা হয় হাইড্রোজেনেটেড বা বারবার ব্যবহৃত তেলে, যা ট্রান্স ফ্যাট বাড়ায়। এতে LDL (Bad Cholesterol) বাড়ে, HDL (Good Cholesterol) কমে যায়। ফলে আটেরিওস্ক্লেরোসিস হয়—ধমনিতে ফ্যাট জমে তা সরু ও শক্ত হয়ে পড়ে। ঝুঁকি বাড়ে হৃদরোগ, স্ট্রোক, হাই ব্লাড প্রেসারের। এতে থাকে ময়দা — একধরনের প্রসেসড কার্বোহাইড্রেট, যা রক্তে সুগারের মাত্রা হঠাৎ বাড়িয়ে দেয়।
জিলিপি: ডায়াবেটিসই মূল কথা
চিনির রসে ভেজানো জিলিপি, গ্লাইসেমিক ইনডেক্সে অত্যন্ত ওপরের দিকে রয়েছে। খাওয়ার পর শরীরে মারাত্মক সুগার স্পাইক হয়। শরীর ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্ট হয়ে পড়ে — যা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের প্রথম ধাপ। চিনি বাড়ায় ট্রাইগ্লিসারাইড, যা ফ্যাটি লিভার ও ডিসলিপিডেমিয়া ঘটায়। তৈরি হয় অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও নিম্ন মাত্রার দীর্ঘস্থায়ী ইনফ্ল্যামেশন, যা ধমনির স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট করে দেয়।
তাহলে করণীয় কী? কী খাওয়া উচিত?
ডা. চিওয়ানের পরামর্শ, “হোল গ্রেইন, সবজি, ফল, বাদাম, অলিভ অয়েল ও লিন প্রোটিন (চিকেন) দিয়ে তৈরি খাবার খান। মাঝে মাঝে সিঙাড়া-জিলিপি চলতে পারে, কিন্তু নিয়মিত খাওয়া মানে নিজের বিপদ ডেকে আনা।”
এই নতুন পদক্ষেপে সরাসরি নজরে এসেছে সিঙাড়া ও জিলিপির মতো জনপ্রিয় খাবার, যেগুলো স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ভাষায়, “সিগারেটের মতো সতর্কতার যোগ্য”।
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় চিওয়ানে (ডিরেক্টর, কার্ডিওলজি, ফর্টিস হাসপাতাল, গুরগাঁও) বলেন, “নিয়মিত সিঙাড়া বা জিলিপি খাওয়া শরীরের জন্য একেবারে ধ্বংসাত্মক। এতে রয়েছে বিপজ্জনক ট্রান্স ফ্যাট ও প্রসেসড চিনি, যা বিশ্বব্যাপী হৃদরোগের প্রধান কারণ।”
সিঙাড়া: ‘খারাপ কোলেস্টেরলের কারখানা’
সিঙাড়া সাধারণত ভাজা হয় হাইড্রোজেনেটেড বা বারবার ব্যবহৃত তেলে, যা ট্রান্স ফ্যাট বাড়ায়। এতে LDL (Bad Cholesterol) বাড়ে, HDL (Good Cholesterol) কমে যায়। ফলে আটেরিওস্ক্লেরোসিস হয়—ধমনিতে ফ্যাট জমে তা সরু ও শক্ত হয়ে পড়ে। ঝুঁকি বাড়ে হৃদরোগ, স্ট্রোক, হাই ব্লাড প্রেসারের। এতে থাকে ময়দা — একধরনের প্রসেসড কার্বোহাইড্রেট, যা রক্তে সুগারের মাত্রা হঠাৎ বাড়িয়ে দেয়।
জিলিপি: ডায়াবেটিসই মূল কথা
চিনির রসে ভেজানো জিলিপি, গ্লাইসেমিক ইনডেক্সে অত্যন্ত ওপরের দিকে রয়েছে। খাওয়ার পর শরীরে মারাত্মক সুগার স্পাইক হয়। শরীর ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্ট হয়ে পড়ে — যা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের প্রথম ধাপ। চিনি বাড়ায় ট্রাইগ্লিসারাইড, যা ফ্যাটি লিভার ও ডিসলিপিডেমিয়া ঘটায়। তৈরি হয় অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও নিম্ন মাত্রার দীর্ঘস্থায়ী ইনফ্ল্যামেশন, যা ধমনির স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট করে দেয়।
তাহলে করণীয় কী? কী খাওয়া উচিত?
ডা. চিওয়ানের পরামর্শ, “হোল গ্রেইন, সবজি, ফল, বাদাম, অলিভ অয়েল ও লিন প্রোটিন (চিকেন) দিয়ে তৈরি খাবার খান। মাঝে মাঝে সিঙাড়া-জিলিপি চলতে পারে, কিন্তু নিয়মিত খাওয়া মানে নিজের বিপদ ডেকে আনা।”