
রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে কোরবানির পশু বেচাকেনার জন্য ৩০২টি হাট নির্ধারণ করা হয়েছে। বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, এই হাটগুলোর মধ্যে ১৬১টি স্থায়ী এবং ১৪১টি অস্থায়ী।
পশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিভাগজুড়ে ২১৩টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিমগুলো হাটে উপস্থিত থেকে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা, গর্ভবতী গাভী শনাক্তকরণ এবং রোগ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এ বছর রাজশাহী বিভাগে প্রায় ৪৩ লাখ ৪৪ হাজার কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত করেছেন কৃষক ও খামারিরা। এই সংখ্যা গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি নির্দেশ করে, যা স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ দপ্তর আরও জানিয়েছে, হাটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশু বেচাকেনা নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহের সমন্বয়ে কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এছাড়া, অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পশু কেনাবেচার সুবিধাও চালু রাখা হয়েছে, যাতে ক্রেতা-বিক্রেতারা নিরাপদে লেনদেন করতে পারেন।
এই উদ্যোগগুলোর মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগে কোরবানির পশুর বেচাকেনা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশাবাদী।
এদিকে, রাজশাহী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আতোয়ার রহমান জানান, রাজশাহীতে এ বছর কোরবানির জন্য ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৮৯৩টি পশু প্রস্তুত রয়েছে। তবে এ জেলায় এবার কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪৩৭টি পশু। চাহিদার তুলনায় ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৬ টি পশু বেশি রয়েছে।
তিনি জানান, এবার জেলায় কোরবানীযোগ্য গরু রয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৪২টি, মহিষ ৪ হাজার ২৪০টি, ছাগল ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৭৬৩টি এবং ভেড়া রয়েছে ৩০ হাজার ১৪৮টি।