মুজিবের মুছে দেওয়া ম্যুরালের সামনে হচ্ছে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’

আপলোড সময় : ১৬-০৭-২০২৫ ০২:৩৯:৩৭ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১৬-০৭-২০২৫ ০২:৩৯:৩৭ অপরাহ্ন
রাজশাহীতে শেখ মুজিবুর রহমানের মুছে ফেলা ম্যুরালের সামনের বেঁদিতে নির্মাণ করা হচ্ছে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’।

বুধবার (১৬ জুলাই) সকালে সিঅ্যান্ডবি মোড়ে ম্যুরালের সামনে এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ করতে দেখা গেছে। আগামী রোববারের (২০ জুলাই) মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এ ছাড়া আগামী ৫ আগস্ট সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এটি।

জানা গেছে, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) সদর দপ্তরের সামনেই জায়গাটি জেলা পরিষদের। ৫ কোটি ২ লাখ টাকা ব্যয়ে শেখ মুজিবের ম্যুরাল নির্মাণ করে রাজশাহী সিটি করপোরেশন। ম্যুরালটির উচ্চতা ৫৮ ফুট, চওড়া ৪০ ফুট। ম্যুরালের সীমানাপ্রাচীরের দুই পাশে ৭০০ বর্গফুট টেরাকাটার কাজ করা হয়। এক পাশে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের লোকজ সংস্কৃতির নানা চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল। টেরাকাটায় ছিল ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-ঐতিহ্যও। ল্যান্ডস্কেপিংয়ে গ্রানাইট দিয়ে সজ্জিত করা হয়।

তবে গেল ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর এই ম্যুরালও আক্রান্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় টেরাকাটাও। তবে ম্যুরালটি ভেঙে ফেলা যায়নি। গেল ফেব্রুয়ারিতে ম্যুরাল থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি সাদা রঙ দিয়ে ঢেকে ফেলা হয়। প্রতিকৃতি ছাড়া ম্যুরালটি এখনো দাঁড়িয়ে।

রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম বলেন, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়। এর ভিত্তিতে দেশের ৬৪ জেলায় এটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এটি নির্মাণ করতে ১২ লাখ টাকার মতো খরচ হবে। রাজশাহীর জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভটি হবে ১৮ ফুট উচ্চতার।

তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে রাজশাহীর যতজন শহীদ হয়েছেন, তাদের নাম লেখা থাকবে এর ওপরে। গেজেট থেকে পাঁচজনের নাম পাওয়া গেছে। এ ছাড়া জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের জনপ্রিয় সব স্লোগান লিখে দেওয়া হবে স্মৃতিস্তম্ভে। ২০ জুলাইয়ের মধ্যে কাজ শেষ করে আগামী ৫ আগস্ট সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য স্মৃতিস্মম্ভটি উন্মুক্ত করে দিতে চান।

এ বিষয়ে রাজশাহী জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ও সম্প্রতি ঘোষিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জেলা কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী মো. নাহিদুল ইসলাম (সাজু) বলেন, এই জায়গাটি রাস্তার পাশে, এখানে নির্মাণ করা হলে মানুষের চোখে সহজেই পড়বে। এ কারণে সবাই এই জায়গাটিকেই নির্বাচন করেছেন। এখানে থাকা শেখ মুজিবের ম্যুরালটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ওই জায়গায় যদি এটি নির্মাণ না করা হয়। এটি সরকারি জায়গা। এটি পড়েই থাকবে। কোনো কাজে লাগবে না। নষ্ট হয়ে যাবে। আমরা আন্দোলনের জায়গা হিসেবে নগরের তালাইমারী থেকে আলুপট্টি পর্যন্ত জায়গা দেখেছি। কিন্তু তেমন ভালো জায়গা পাইনি। যদিও এটি বিতর্কিত জায়গা। জায়গাটি ভেঙে ফেলে এটি নির্মাণের কথা। আবার সময়ের স্বল্পতাও আছে। এ কারণে হয়তো পরে সেটি ভেঙে ফেলা হবে।

এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার বলেন, ‘সর্বসম্মতিক্রমে জায়গাটি নির্বাচন করা হয়েছে। আমরা কয়েকটি জায়গা নির্বাচন করেছিলাম। তারপর আসলে জুলাই যোদ্ধা যারা ছিলেন, তারা এই জায়গাটি নির্বাচন করেছেন। তারা এটি পছন্দ করেছেন।’

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]