
পাবনা শহরের মন্ডলপাড়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৩ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মন্ডলপাড়া জামে মসজিদের পাশের বউবাজার ক্লাব এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, দীর্ঘদিন ধরেই মন্ডলপাড়ায় দুইটি গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল। এর আগে একাধিকবার বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। বুধবার রাতে সেই উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। প্রতিপক্ষের ওপর হামলার উদ্দেশ্যে একদল যুবক বউবাজার ক্লাবে অতর্কিত হামলা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলার নেতৃত্ব দেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের পৌর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরিচয়ধারী তুহিন ওরফে ল্যাংড়া তুহিন। তার নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের সংঘবদ্ধ দল লাঠি, রড, ছোরা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ক্লাব এলাকায় তাণ্ডব চালায়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে তারা একটি একনলা বন্দুক দিয়ে গুলি ছোঁড়ে। এতে প্রতিপক্ষের বেশ কয়েকজন রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন: মো. ইমরান, শহিদুল ইসলাম মিলন, সোহান, মাহফুজ, তাহাত, বিজয়, জাফর, রিয়েল, জুয়েল, হাসিফ, নওশাদ ও প্রান্ত। তাদের বাড়ি মন্ডলপাড়া ও কাচারিপাড়া এলাকায়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পাবনা সদর থানা, ডিবি ও ডিএসবি পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে ছয়টি গুলির খালি খোসা ও বেশ কয়েকটি ধারালো ছোরা উদ্ধার করা হয়।
সন্দেহভাজন হিসেবে নাজিম (২৬) নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তার দেহ তল্লাশি করে একটি বড় ছোরা ও দুটি বন্দুকের খালি খোসা উদ্ধার করা হয়।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পাবনা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনিছুল হক বাবু। তিনি বলেন, এই হামলায় যারা জড়িত, তাদের অনেকেই ছাত্র হত্যা মামলার আসামি। অথচ তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রশাসন তাদের গ্রেফতার করছে না — যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্লিপ্ততায় সন্ত্রাসীরা দিন দিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
তিনি আরও বলেন, শহরে আধিপত্য বিস্তারের নামে যে সহিংসতা বাড়ছে, তা এখনই কঠোরভাবে দমন না করলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের অরাজকতার আশঙ্কা রয়েছে।
পাবনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, ঘটনার পরপরই আমরা পুলিশের একাধিক ইউনিট পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। একজনকে আটক করা হয়েছে। সংঘর্ষে জড়িত অন্যান্যদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। বর্তমানে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, দীর্ঘদিন ধরেই মন্ডলপাড়ায় দুইটি গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল। এর আগে একাধিকবার বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। বুধবার রাতে সেই উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। প্রতিপক্ষের ওপর হামলার উদ্দেশ্যে একদল যুবক বউবাজার ক্লাবে অতর্কিত হামলা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলার নেতৃত্ব দেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের পৌর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরিচয়ধারী তুহিন ওরফে ল্যাংড়া তুহিন। তার নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের সংঘবদ্ধ দল লাঠি, রড, ছোরা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ক্লাব এলাকায় তাণ্ডব চালায়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে তারা একটি একনলা বন্দুক দিয়ে গুলি ছোঁড়ে। এতে প্রতিপক্ষের বেশ কয়েকজন রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন: মো. ইমরান, শহিদুল ইসলাম মিলন, সোহান, মাহফুজ, তাহাত, বিজয়, জাফর, রিয়েল, জুয়েল, হাসিফ, নওশাদ ও প্রান্ত। তাদের বাড়ি মন্ডলপাড়া ও কাচারিপাড়া এলাকায়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পাবনা সদর থানা, ডিবি ও ডিএসবি পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে ছয়টি গুলির খালি খোসা ও বেশ কয়েকটি ধারালো ছোরা উদ্ধার করা হয়।
সন্দেহভাজন হিসেবে নাজিম (২৬) নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তার দেহ তল্লাশি করে একটি বড় ছোরা ও দুটি বন্দুকের খালি খোসা উদ্ধার করা হয়।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পাবনা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনিছুল হক বাবু। তিনি বলেন, এই হামলায় যারা জড়িত, তাদের অনেকেই ছাত্র হত্যা মামলার আসামি। অথচ তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রশাসন তাদের গ্রেফতার করছে না — যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্লিপ্ততায় সন্ত্রাসীরা দিন দিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
তিনি আরও বলেন, শহরে আধিপত্য বিস্তারের নামে যে সহিংসতা বাড়ছে, তা এখনই কঠোরভাবে দমন না করলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের অরাজকতার আশঙ্কা রয়েছে।
পাবনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, ঘটনার পরপরই আমরা পুলিশের একাধিক ইউনিট পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। একজনকে আটক করা হয়েছে। সংঘর্ষে জড়িত অন্যান্যদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। বর্তমানে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।