
আল্লাহর তাআলার দয়া ও তওফিক ছাড়া কেউ হেদায়াত লাভ করতে পারে না। আল্লাহ তাআলা দয়া করে যাদেরকে ইচ্ছা সঠিক পথ প্রদর্শন করেন, সঠিক পথে অবিচল থাকার তওফিক দান করেন, আবার অনেককে আল্লাহ তাআলা পথভ্রষ্ট করেন অর্থাৎ তারা নিজেদের দম্ভ, অহমিকা জুলুম ও পাপাচারের কারণে আল্লাহর অনুগ্রহ ও হেদায়াতের তওফিক থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়।
আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি প্রত্যেক রাসুলকে তার জাতির ভাষাতেই পাঠিয়েছি, যাতে সে তাদের কাছে বর্ণনা দেয়; তারপর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছা সঠিক পথ দেখান। আর তিনি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়। (সুরা ইবরাহিম: ৪)
আরেক আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, আল্লাহ যাকে হেদায়াত করতে চান তার বক্ষ ইসলামের জন্য প্রশস্ত করে দেন। আর যাকে তিনি পথভ্রষ্ট করতে চান তার বক্ষকে সংকীর্ণ-সংকুচিত করে দেন; যেন সে আকাশে-ঊর্ধ্বে আরোহণ করছে। এভাবেই আল্লাহ অকল্যাণ দেন তাদের উপর যারা ইমান আনে না। (সুরা আনআম: ১২৫)
তাই আল্লাহ তাআলার কাছে সব সময় নিজের হেদায়াতের জন্য দোয়া করা উচিত, হেদায়াতের ওপর অবিচলতার জন্য দোয়া করা উচিত, পথভ্রষ্টতা থেকে আশ্রয়ের জন্য দোয়া করা উচিত।
এখানে আমরা কোরআন ও হাদিস থেকে হেদায়াত লাভ করার ৬টি দোয়া উল্লেখ করছি:
১.
اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ
উচ্চারণ: ইহদিনাস সিরাতাল মুসতাকিম।
অর্থ: (হে আল্লাহ!) আমাদেরকে সঠিক পথ দেখান। (সুরা ফাতেহা: ৬)
২.
اللَّهُمَّ إِنِي أَسْأَلُكَ الهُدَى وَالتُّقَى وَالعفَافَ والغنَى
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল হুদা ওয়াত-তুকা ওয়াল আফাফা ওয়াল গিনা।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে হেদায়াত, তাকওয়া, নির্মল চরিত্র ও অভাবহীনতা চাই। (সুনানে তিরমিজি)
৩.
اللَّهُمَّ أَلْهِمْنِي رُشْدِي وَأَعِذْنِي مِنْ شَرِّ نَفْسِي
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আলহিমনি রুশদি, ওয়া আয়িজনি মিন শাররি নাফসি।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে হেদায়েত দান করুন এবং নফসের অনিষ্ট থেকে আমাকে রক্ষা করুন। (সুনানে তিরমিজি)
৪.
اللَّهُمَّ مُصَرِّفَ القُلُوبِ صَرِّفْ قُلُوبَنَا عَلَى طَاعَتِكَ
উচ্চারণ: ইয়া মুসাররিফাল কুলুব সাররিফ কুলুবানা আলা তয়াতিকা।
অর্থ: হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী! আমাদের অন্তরগুলোকে আপনার আনুগত্যের দিকে ঘুরিয়ে দিন। (সহিহ মুসলিম)
৫.
رَبَّنَا لَا تُزِغۡ قُلُوۡبَنَا بَعۡدَ اِذۡ هَدَیۡتَنَا وَ هَبۡ لَنَا مِنۡ لَّدُنۡکَ رَحۡمَۃً اِنَّکَ اَنۡتَ الۡوَهَّابُ
উচ্চারণ: রাব্বানা লা তুযিগ কুলুবানা বা’দা ইজ হাদাইতানা ওয়া হাবলানা মিন লাদুনকা রাহমাতান ইন্নাকা আনতাল ওয়াহহাব।
অর্থ: হে আমাদের রব, আপনি হেদায়াত দেওয়ার পর আমাদের অন্তরসমূহ বক্র করবেন না এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদেরকে রহমত দান করুন। নিশ্চয় আপনি মহাদাতা। (সুরা আলে ইমরান: ৮)
৬.
اللَّهُمَّ لَكَ أَسْلَمْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ وَإِلَيْكَ أَنَبْتُ وَبِكَ خَاصَمْتُ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِعِزَّتِكَ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ أَنْ تُضِلَّنِي أَنْتَ الْحَيُّ الَّذِي لَا يَمُوتُ وَالْجِنُّ وَالْإِنْسُ يموتون
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লাকা আস্লাম্তু ওয়া বিকা আমান্তু, ওয়া আলায়কা তাওয়াক্কালতু ওয়া ইলায়কা আনাবতু ওয়া বিকা খাসামতু আল্লহুম্মা ইন্নী আঊযু বিইয্যাতিকা লা ইলাহা ইল্লা আন্তা আন্ তুযিল্লানী। আন্তাল হাইয়্যুল্লাযী লা ইয়ামূতু ওয়াল জিন্নু ওয়াল ইন্সু ইয়ামূতূন।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে নিজেকে সমর্পণ করলাম, আপনার ওপর বিশ্বাস স্থাপন করলাম, ভরসা করলাম এবং আপনারই দিকে নিজেকে ফেরালাম এবং আপনারই সাহায্যে লড়াই করলাম। হে আল্লাহ! আমি পথভ্রষ্টতা থেকে আপনার মর্যাদার আশ্রয় গ্রহণ করছি। আপনি ছাড়া সত্য আর কোনো মাবুদ নেই, আপনি চিরঞ্জীব, আপনি মৃত্যুবরণ করবেন না, মৃত্যুবরণ করবে মানুষ ও জিন। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)
আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি প্রত্যেক রাসুলকে তার জাতির ভাষাতেই পাঠিয়েছি, যাতে সে তাদের কাছে বর্ণনা দেয়; তারপর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছা সঠিক পথ দেখান। আর তিনি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়। (সুরা ইবরাহিম: ৪)
আরেক আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, আল্লাহ যাকে হেদায়াত করতে চান তার বক্ষ ইসলামের জন্য প্রশস্ত করে দেন। আর যাকে তিনি পথভ্রষ্ট করতে চান তার বক্ষকে সংকীর্ণ-সংকুচিত করে দেন; যেন সে আকাশে-ঊর্ধ্বে আরোহণ করছে। এভাবেই আল্লাহ অকল্যাণ দেন তাদের উপর যারা ইমান আনে না। (সুরা আনআম: ১২৫)
তাই আল্লাহ তাআলার কাছে সব সময় নিজের হেদায়াতের জন্য দোয়া করা উচিত, হেদায়াতের ওপর অবিচলতার জন্য দোয়া করা উচিত, পথভ্রষ্টতা থেকে আশ্রয়ের জন্য দোয়া করা উচিত।
এখানে আমরা কোরআন ও হাদিস থেকে হেদায়াত লাভ করার ৬টি দোয়া উল্লেখ করছি:
১.
اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ
উচ্চারণ: ইহদিনাস সিরাতাল মুসতাকিম।
অর্থ: (হে আল্লাহ!) আমাদেরকে সঠিক পথ দেখান। (সুরা ফাতেহা: ৬)
২.
اللَّهُمَّ إِنِي أَسْأَلُكَ الهُدَى وَالتُّقَى وَالعفَافَ والغنَى
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল হুদা ওয়াত-তুকা ওয়াল আফাফা ওয়াল গিনা।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে হেদায়াত, তাকওয়া, নির্মল চরিত্র ও অভাবহীনতা চাই। (সুনানে তিরমিজি)
৩.
اللَّهُمَّ أَلْهِمْنِي رُشْدِي وَأَعِذْنِي مِنْ شَرِّ نَفْسِي
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আলহিমনি রুশদি, ওয়া আয়িজনি মিন শাররি নাফসি।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে হেদায়েত দান করুন এবং নফসের অনিষ্ট থেকে আমাকে রক্ষা করুন। (সুনানে তিরমিজি)
৪.
اللَّهُمَّ مُصَرِّفَ القُلُوبِ صَرِّفْ قُلُوبَنَا عَلَى طَاعَتِكَ
উচ্চারণ: ইয়া মুসাররিফাল কুলুব সাররিফ কুলুবানা আলা তয়াতিকা।
অর্থ: হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী! আমাদের অন্তরগুলোকে আপনার আনুগত্যের দিকে ঘুরিয়ে দিন। (সহিহ মুসলিম)
৫.
رَبَّنَا لَا تُزِغۡ قُلُوۡبَنَا بَعۡدَ اِذۡ هَدَیۡتَنَا وَ هَبۡ لَنَا مِنۡ لَّدُنۡکَ رَحۡمَۃً اِنَّکَ اَنۡتَ الۡوَهَّابُ
উচ্চারণ: রাব্বানা লা তুযিগ কুলুবানা বা’দা ইজ হাদাইতানা ওয়া হাবলানা মিন লাদুনকা রাহমাতান ইন্নাকা আনতাল ওয়াহহাব।
অর্থ: হে আমাদের রব, আপনি হেদায়াত দেওয়ার পর আমাদের অন্তরসমূহ বক্র করবেন না এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদেরকে রহমত দান করুন। নিশ্চয় আপনি মহাদাতা। (সুরা আলে ইমরান: ৮)
৬.
اللَّهُمَّ لَكَ أَسْلَمْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ وَإِلَيْكَ أَنَبْتُ وَبِكَ خَاصَمْتُ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِعِزَّتِكَ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ أَنْ تُضِلَّنِي أَنْتَ الْحَيُّ الَّذِي لَا يَمُوتُ وَالْجِنُّ وَالْإِنْسُ يموتون
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লাকা আস্লাম্তু ওয়া বিকা আমান্তু, ওয়া আলায়কা তাওয়াক্কালতু ওয়া ইলায়কা আনাবতু ওয়া বিকা খাসামতু আল্লহুম্মা ইন্নী আঊযু বিইয্যাতিকা লা ইলাহা ইল্লা আন্তা আন্ তুযিল্লানী। আন্তাল হাইয়্যুল্লাযী লা ইয়ামূতু ওয়াল জিন্নু ওয়াল ইন্সু ইয়ামূতূন।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে নিজেকে সমর্পণ করলাম, আপনার ওপর বিশ্বাস স্থাপন করলাম, ভরসা করলাম এবং আপনারই দিকে নিজেকে ফেরালাম এবং আপনারই সাহায্যে লড়াই করলাম। হে আল্লাহ! আমি পথভ্রষ্টতা থেকে আপনার মর্যাদার আশ্রয় গ্রহণ করছি। আপনি ছাড়া সত্য আর কোনো মাবুদ নেই, আপনি চিরঞ্জীব, আপনি মৃত্যুবরণ করবেন না, মৃত্যুবরণ করবে মানুষ ও জিন। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)