
বলিউডে যখন নেপোটিজম ও ‘গডফাদার’-এর আধিপত্য স্পষ্ট, ঠিক সেই সময়ে আত্মবিশ্বাসে ভর করে উঠে আসা অভিনেত্রীদের তালিকায় অন্যতম নাম বাণী কাপুর। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি অকপট স্বীকার করলেন বলিউডে টিকে থাকার জন্য তাঁকেই নিজেরই সবচেয়ে বড় গলা ফাটানো সমর্থক হয়ে উঠতে হয়েছে।
২০১৩ সালে শুদ্ধ দেশি রোমান্স দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন বাণী, সুশান্ত সিং রাজপুত ও পরিণীতি চোপড়ার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করে। তবে কোনও বলিউডি পরিবার, কাকা-মামা অথবা মাথার উপর কোনও বলিউডের শক্তিশালী হাত ছাড়াই যে কঠিন পথ তাঁকে পেরোতে হয়েছে, সে কথা অকপটে জানালেন অভিনেত্রী।
“এই ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেকে সবচেয়ে বেশি সাপোর্ট করতে হয়। নিজের জন্য গলা ফাটাতে হয় সবচেয়ে জোরে। বাইরে থেকে এসে এখানে কেউ আপনাকে ধরে রাখবে না,” এক সাক্ষাৎকারে বললেন বাণী কাপুর। “আমার কোনও সম্পর্কের জোর নেই, আমি যোগাযোগও খারাপ।”
তবে তাঁর বলিউড সফরের সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ ছিল যশ রাজ ফিল্মস (YRF) এই স্টুডিও তাঁকে ‘পরিবারের মতো’ আশ্রয় দিয়েছিল। “ যশ রাজ ফিল্মস আমাকে খুঁজে বের করেছে, তারপর আমার উপর ভরসা রেখেছে। ওখানে কাজ করলে আপনি সত্যিই একটা সুরক্ষিত বৃত্তে থাকেন,” জানান বাণী।
তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, বলিউডের আলো-আঁধারির মধ্যে থেকেও তিনি ‘কাস্টিং কাউচ’-এর ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হননি, যার পুরো কৃতিত্ব দেন যশ রাজ ফিল্মস -এর পেশাদারি ব্যবস্থাপনাকে। তিনি কাস্টিং ডিরেক্টর শানু শর্মা-র কথাও কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করলেন, যিনি তাঁর পরিবারকে নিশ্চিন্ত করেছিলেন, যাতে তাঁরা বাণীকে মুম্বইতে আসতে দেন।
নেটফ্লিক্সের আগামী থ্রিলার সিরিজ ম্যান্ডেলা মার্ডার্সs-এ এক তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন ও সাহসী গোয়েন্দার ভূমিকায় দেখা যাবে বাণী কাপুরকে। একের পর এক রহস্যময় ও রিচ্যুয়ালিস্টিক খুনের তদন্তে নেমে কীভাবে উন্মোচন হবে এক শতাব্দীপ্রাচীন গোপন সমাজের রহস্য? সিরিজটি পরিচালনা করছেন মর্দানি ছবি খ্যাত গোপী পুথরন এবং মনন রাওয়াত। ভয়ানক পটভূমিতে লেখা এই গল্পে আরও থাকছেন সুরভীন চাওলা, শ্রিয়া পিলগাঁওকর, বৈভব রাজ গুপ্ত এবং জামিল খান।
প্রসঙ্গত, বলিউডের গ্ল্যামার, স্টাইল, আর স্বপ্নপূরণের মঞ্চ। কিন্তু এই ঝকঝকে আলোর পিছনে লুকিয়ে থাকে অনেক অন্ধকার বিশেষ করে যখন প্রসঙ্গ আসে সৌন্দর্যের মানদণ্ড আর বর্ণবৈষম্যের। অন্য একটি সাক্ষাৎকারে বলিউড অভিনেত্রী বাণী কাপুর সেই অন্ধকার দিকেই তীব্র আঙুল তুললেন, তুলে ধরলেন কীভাবে ত্বকের রঙের কারণে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছিল একটি ছবির কাস্ট থেকে।
সম্প্রতি, দেওয়া এক বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারে বাণী বলেন, “একজন পরিচালক যে মুম্বইয়েরও নন তাঁর ছবির থেকে আমাকে বাদ দিয়েছিলেন এই বলে যে আমি ধবধবে ফর্সা নই অর্থাৎ ‘মিল্কি হোয়াইট’ নই।” যদিও পরিচালক সোজাসুজি বলেননি, কিন্তু বাণীর কাছে খবর পৌঁছেছিল অন্য পথ দিয়ে। এই অপমানের জবাবে বাণী সাহসিকতার সঙ্গে বলেছিলেন, “যদি এটাই হয় কারও ছবি বানানোর মানদণ্ড, তবে আমি নিজেই সেই ছবির অংশ হতে চাই না। সে যেন নিজের ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি নায়িকা খুঁজে নেয়। আমি জানি আমার জন্য অন্য আরও ভালোপরিচালক আছেন। তাঁদের না হয় আমি খু নিজে নেব!”
সৌন্দর্য-বৈষম্যের ছুরি আরও ধারালো মেয়েদের জন্য, মত অভিনেত্রীর। সেই সাক্ষাৎকারে বাণী আরও বলেন, “বলিউডে এখনও শরীরের গঠন, গায়ের রঙ এই সবকিছু নিয়েই চলে কড়া বিচার। ‘একটু ভারী চেহারা করো নইলে ছবির বাজারে কিন্তু টিকে থাকা যাবে না, পুরুষ দর্শকেরা ভারী চেহারার মেয়ে পছন্দ করে’ এই জাতীয় মন্তব্য শুনতে হয়েছে আমায়।” যদিও তিনি স্পষ্ট জানান, “আমি যেমন, ঠিক তেমনই ভালবাসি নিজেকে। আমি ফিট, আমি সুস্থ এবং আমি ঠিক আছি। কেউ যদি এটা না বোঝে, তবে সেটা তার সমস্যা।
২০১৩ সালে শুদ্ধ দেশি রোমান্স দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন বাণী, সুশান্ত সিং রাজপুত ও পরিণীতি চোপড়ার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করে। তবে কোনও বলিউডি পরিবার, কাকা-মামা অথবা মাথার উপর কোনও বলিউডের শক্তিশালী হাত ছাড়াই যে কঠিন পথ তাঁকে পেরোতে হয়েছে, সে কথা অকপটে জানালেন অভিনেত্রী।
“এই ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেকে সবচেয়ে বেশি সাপোর্ট করতে হয়। নিজের জন্য গলা ফাটাতে হয় সবচেয়ে জোরে। বাইরে থেকে এসে এখানে কেউ আপনাকে ধরে রাখবে না,” এক সাক্ষাৎকারে বললেন বাণী কাপুর। “আমার কোনও সম্পর্কের জোর নেই, আমি যোগাযোগও খারাপ।”
তবে তাঁর বলিউড সফরের সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ ছিল যশ রাজ ফিল্মস (YRF) এই স্টুডিও তাঁকে ‘পরিবারের মতো’ আশ্রয় দিয়েছিল। “ যশ রাজ ফিল্মস আমাকে খুঁজে বের করেছে, তারপর আমার উপর ভরসা রেখেছে। ওখানে কাজ করলে আপনি সত্যিই একটা সুরক্ষিত বৃত্তে থাকেন,” জানান বাণী।
তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, বলিউডের আলো-আঁধারির মধ্যে থেকেও তিনি ‘কাস্টিং কাউচ’-এর ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হননি, যার পুরো কৃতিত্ব দেন যশ রাজ ফিল্মস -এর পেশাদারি ব্যবস্থাপনাকে। তিনি কাস্টিং ডিরেক্টর শানু শর্মা-র কথাও কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করলেন, যিনি তাঁর পরিবারকে নিশ্চিন্ত করেছিলেন, যাতে তাঁরা বাণীকে মুম্বইতে আসতে দেন।
নেটফ্লিক্সের আগামী থ্রিলার সিরিজ ম্যান্ডেলা মার্ডার্সs-এ এক তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন ও সাহসী গোয়েন্দার ভূমিকায় দেখা যাবে বাণী কাপুরকে। একের পর এক রহস্যময় ও রিচ্যুয়ালিস্টিক খুনের তদন্তে নেমে কীভাবে উন্মোচন হবে এক শতাব্দীপ্রাচীন গোপন সমাজের রহস্য? সিরিজটি পরিচালনা করছেন মর্দানি ছবি খ্যাত গোপী পুথরন এবং মনন রাওয়াত। ভয়ানক পটভূমিতে লেখা এই গল্পে আরও থাকছেন সুরভীন চাওলা, শ্রিয়া পিলগাঁওকর, বৈভব রাজ গুপ্ত এবং জামিল খান।
প্রসঙ্গত, বলিউডের গ্ল্যামার, স্টাইল, আর স্বপ্নপূরণের মঞ্চ। কিন্তু এই ঝকঝকে আলোর পিছনে লুকিয়ে থাকে অনেক অন্ধকার বিশেষ করে যখন প্রসঙ্গ আসে সৌন্দর্যের মানদণ্ড আর বর্ণবৈষম্যের। অন্য একটি সাক্ষাৎকারে বলিউড অভিনেত্রী বাণী কাপুর সেই অন্ধকার দিকেই তীব্র আঙুল তুললেন, তুলে ধরলেন কীভাবে ত্বকের রঙের কারণে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছিল একটি ছবির কাস্ট থেকে।
সম্প্রতি, দেওয়া এক বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারে বাণী বলেন, “একজন পরিচালক যে মুম্বইয়েরও নন তাঁর ছবির থেকে আমাকে বাদ দিয়েছিলেন এই বলে যে আমি ধবধবে ফর্সা নই অর্থাৎ ‘মিল্কি হোয়াইট’ নই।” যদিও পরিচালক সোজাসুজি বলেননি, কিন্তু বাণীর কাছে খবর পৌঁছেছিল অন্য পথ দিয়ে। এই অপমানের জবাবে বাণী সাহসিকতার সঙ্গে বলেছিলেন, “যদি এটাই হয় কারও ছবি বানানোর মানদণ্ড, তবে আমি নিজেই সেই ছবির অংশ হতে চাই না। সে যেন নিজের ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি নায়িকা খুঁজে নেয়। আমি জানি আমার জন্য অন্য আরও ভালোপরিচালক আছেন। তাঁদের না হয় আমি খু নিজে নেব!”
সৌন্দর্য-বৈষম্যের ছুরি আরও ধারালো মেয়েদের জন্য, মত অভিনেত্রীর। সেই সাক্ষাৎকারে বাণী আরও বলেন, “বলিউডে এখনও শরীরের গঠন, গায়ের রঙ এই সবকিছু নিয়েই চলে কড়া বিচার। ‘একটু ভারী চেহারা করো নইলে ছবির বাজারে কিন্তু টিকে থাকা যাবে না, পুরুষ দর্শকেরা ভারী চেহারার মেয়ে পছন্দ করে’ এই জাতীয় মন্তব্য শুনতে হয়েছে আমায়।” যদিও তিনি স্পষ্ট জানান, “আমি যেমন, ঠিক তেমনই ভালবাসি নিজেকে। আমি ফিট, আমি সুস্থ এবং আমি ঠিক আছি। কেউ যদি এটা না বোঝে, তবে সেটা তার সমস্যা।