নববধূকে অপহরণ করে আটকে রেধে ধর্ষণের অভিযোগ

আপলোড সময় : ০১-০৮-২০২৫ ০৯:৪৩:৪০ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০১-০৮-২০২৫ ০৯:৪৩:৪০ অপরাহ্ন
বরিশালের মুলাদীতে এক নববধূকে অপহরণ করে আটকে রেধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীর বাবা-মায়ের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে বিভিন্ন সময় প্রেমসহ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল এক যুবক। মেয়ের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তারা দ্রুত মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেন। বিয়ের কিছুদিন পরই সহযোগীদের নিয়ে তাদের মেয়েকে অপরহণ করে ওই যুবক। জোর করে ধর্ষণ করা হয় ওই নববধূকে।

এদিকে, অপহরণের ১৮দিন পরে বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের চরমালিয়া এলাকা থেকে ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে গত ১৩ জুলাই চরকালেখান মাদ্রাসা বাজার এলাকা থেকে ওই নববধূকে অপহরণ করা হয়েছিল। 

ভুক্তভোগীর বাবা-মার অভিযোগ, উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের চরমালিয়া গ্রামের করিম সরদারের ছেলে শরীফ হোসেন ও তার সহযোগীরা তাদের মেয়েকে অপহরণ করেছিল। 

ওই নববধূর মা জানান, বিয়ের আগে থেকেই শরীফ প্রেমের প্রস্তাবসহ বিভিন্নভাবে তার মেয়েকে উত্যক্ত করতো। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে মেয়ের সম্মতি নিয়ে গত ১০ জুন বিয়ে দেন। বিয়ের পরও কুপ্রস্তাবসহ বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করে আসছিল শরীফ। গত ১৩ জুলাই বিকালে চরকালেখান মাদ্রাসা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে শরীফ ও তার সহযোগীরা জোর করে ওই নববধূকে তুলে নেয়।  ওই সময় নববধুর সঙ্গে থাকা ২০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় তারা। পরে শরীফ ওই দিন রাতেই জোর করে নববধূকে বিয়ের চেষ্টা করেন। বিয়েতে রাজী না হওয়ায় শরীফ ১৮দিন তাদের বাড়িসহ বিভিন্নস্থানে আটকে রেধে তাকে ধর্ষণ করেন। 

ঘটনার পর পরই শরীফ অপহৃত নববধূর সঙ্গে বিয়ের নাটকের একটি ভিডিও তৈরি করে জনৈক যুবকের কাছে পাঠান। ওই যুবক বিষয়টি নববধূর বাবা-মাকে জানালে তারা অপহরণের বিষটি জানতে পারেন। 

এ ঘটনায় গত ১৪ জুলাই ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এতে শরীফ, তার বাবা করিম সরদার, মা মেলেনী বেগম, ভাই আরিফ সরদারসহ আটজনকে আসামি করা হয়। মামলার সূত্রে মুলাদী থানার এএসআই মনির হোসেন বৃহস্পতিবার বিকালে চরমালিয়া এলাকা থেকে নববধূকে উদ্ধার করেন। এ সময় শরীফ, তার বাবা-মা ও সহযোগীরা পালিয়ে যান বলে জানায় পুলিশ। 

মুলাদী থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, অপহৃত নববধূকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার শারীরিক পরীক্ষার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসিতে) পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আসামিদের গ্রেফতার এবং টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]