জাপানের উপকণ্ঠে সাবমেরিন বিরোধী মহড়া শুরু করে দিল রাশিয়া ও চিন

আপলোড সময় : ০৩-০৮-২০২৫ ০৪:২৯:৩১ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০৩-০৮-২০২৫ ০৪:২৯:৩১ অপরাহ্ন
জাপান সাগরে সাবমেরিন বিরোধী মহড়া শুরু করে দিল রাশিয়া। দোসর চিনও। দুই দেশের নৌবাহিনীর তরফে এই যৌথ মহড়া চলবে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত। সম্প্রতি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে, তিনি ‘নির্দিষ্ট জায়গায়’ পরমাণু অস্ত্রবাহী সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন। রাশিয়ার সঙ্গে দ্বন্দ্বের প্রেক্ষিতে এই ঘোষণার ফলে মনে করা হচ্ছে, রাশিয়ার কাছাকাছি কোথাও মার্কিন সাবমেরিন মোতায়েন করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জাপান সাগরে রুশ এবং চিনা নৌবাহিনীর মহড়া তাৎপর্যপূর্ণ।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রাশিয়া এবং চিনের নৌমহড়া পূর্বপরিকল্পিত ছিল। ট্রাম্পের ঘোষণার সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই। আগে থেকেই ঠিক ছিল, ১ অগস্ট থেকে ৫ অগস্ট পর্যন্ত জাপান সাগরে মহড়া চলবে। রবিবার শুরু হয়েছে তার ব্যবহারিক দিকটি (প্র্যাকটিক্যাল পার্ট)। তবে ট্রাম্পের ঘোষণার পরে সেই মহড়ার গুরুত্ব এবং ভূরাজনৈতিক তাৎপর্য বেড়ে গিয়েছে কয়েক গুণ। অনেকের মতে, এই মহড়ার মাধ্যমে বার্তা যাবে আমেরিকার কাছেও।

রবিবার জাপান সাগরে রাশিয়ান এবং চিনা নৌ বাহিনীর জাহাজ চলাচল করেছে। এই যৌথ মহড়ায় ছিল সাবমেরিন ধ্বংসকারী বিশাল এক রাশিয়ান জাহাজ এবং চিনের অন্তত দু’টি আক্রমণাত্মক যুদ্ধজাহাজ। এ ছাড়া দুই দেশের ডিজেল-বিদ্যুৎচালিত সাবমেরিন মহড়ায় যোগ দিয়েছিল। ছিল সাবমেরিন উদ্ধারকারী চিনা জাহাজ। এই যৌথ মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘মেরিটাইম ইন্টার‌্যাকশন ২০২৫’। এই মহড়ায় রাশিয়া এবং চিনের নাবিকেরা গুলি চালাবেন, সাবমেরিন ধ্বং‌সের কার্যকলাপ এবং বিমান প্রতিরক্ষা কার্যকলাপ অনুশীলন করবেন। এ ছাড়া, সমুদ্রে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানের উন্নতির জন্য যৌথ ভাবে চলবে অনুশীলন। দাবি করা হচ্ছে, রাশিয়া এবং চিনের এই মহড়া আক্রমণাত্মক নয়, বরং সম্পূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ দিমিত্রি মেদভেদেভের ‘উস্কানিমূলক’ মন্তব্যের পর ট্রাম্প সমাজমাধ্যমে জানান, সমুদ্রে নির্দিষ্ট স্থানে তিনি পরমাণু অস্ত্রবাহী দু’টি সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন। এর পর ক্রেমলিন থেকে সরকারি ভাবে কোনও বিবৃতি না-দেওয়া হলেও রুশ পার্লামেন্ট ডুমার সদস্য ভিক্টর ভোডোলাটস্কি জানিয়ে দেন, বিশ্বের বিভিন্ন মহাসাগরে আমেরিকার চেয়ে বেশি সাবমেরিন মোতায়েন করা রয়েছে রাশিয়ার। বিশ্বের দুই সর্ববৃহৎ শক্তির মধ্যে এই আস্ফালন আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে।

২০২২ সাল থেকে রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ চলছে। আমেরিকা-সহ পশ্চিমি বিশ্ব রাশিয়ার উপর একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করলেও চিন প্রথম থেকেই মস্কোর পাশে। বরং ঘনিষ্ঠতা আরও বেড়েছে। প্রায়ই দুই দেশের মধ্যে যৌথ সামরিক মহড়ার আয়োজন করা হয়।

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]