অপুষ্টির কারণে জীবন বিপন্ন শিশুদের! ইজরায়েলি হামলায় গাজায় ৪৪ জনের মৃত্যু

আপলোড সময় : ০৭-০৮-২০২৫ ০৯:১১:০৫ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০৭-০৮-২০২৫ ০৯:১১:০৫ অপরাহ্ন
বাড়ি বা ত্রাণশিবির ছেড়ে রাস্তায় বার হওয়াই এখন বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে গাজাবাসীর কাছে। কোথা থেকে কখন গুলি ছুটে আসবে বা গোলাবর্ষণ শুরু হবে, তা বোঝার উপায় নেই। কিন্তু খাবার বা বাঁচার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস সংগ্রহ করতে বাড়ি থেকে বার হতেই হয়। গাজাবাসীদের অনেকের কথায়, ‘‘ভাগ্য ভাল থাকলে জীবিত অবস্থায় ফিরি।’’ রাফা হোক বা খান ইউনিস— গাজার প্রায় সর্বত্র একই ছবি। শুধু তা-ই নয়, সেই সঙ্গে অনাহার ধীরে ধীরে গ্রাস করছে গোটা গাজাকেই! সেখানকার এনজিও নেটওয়ার্কের প্রধান আমজাদ শাওয়ার মতে, কমপক্ষে দু’লক্ষ শিশু অনাহার এবং অপুষ্টির শিকার।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে গাজার মর্মান্তিক অবস্থার কথা তুলে ধরা হয়েছে। ইজরায়েল এবং প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সংঘাতে প্রায় প্রতি দিন অনেক সাধারণ গাজাবাসী প্রাণ হারাচ্ছেন। আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজার বিভিন্ন স্থানে ইজরায়েলি হামলায় নতুন করে ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েক রয়েছেন যাঁরা ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে সাহায্য চাইতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।

শুধু খাবারের অভাব প্রকট নয়, গাজায় জ্বালানিও প্রায় নেই বললেই চলে। গাজায় জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করেছে ইজরায়েল। তাতেই সমস্যা বাড়ছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, “সময়ের আগে জন্ম নেওয়া ১০০টিরও বেশি শিশুর জ্বালানির অভাবে জীবন মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।” ইজরায়েলের হামলা এবং মানবিক সাহায্য বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা বার বার করেছে জাতিসংঘ। তবে এখনও পর্যন্ত ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি চূড়ান্ত না হওয়ায় পরিস্থিতি বদলের কোনও সম্ভাবনা তৈরি হয়নি!

ইজরায়েলের সঙ্গে হামাসের সংঘাতের কারণে ভেঙে পড়েছে গাজার অর্থনীতি। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে গাজাবাসীকে। দিনের পর দিন হাহাকার বাড়ছে গাজায়! বাঁচার উপায় ত্রাণশিবির। কিন্তু সেটাও যেন প্যালেস্টাইনিদের কাছে ‘মৃত্যুফাঁদ’! খাবার ও প্রয়োজনীয় ত্রাণের জন্য গাজাবাসীর ভরসা ত্রাণশিবির। গাজায় পরিচালিত ইজরায়েল-সমর্থিত ত্রাণ বিতরণকারী সংগঠন গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) নিয়েও প্রশ্নের অন্ত নেই। ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র পরিচালনা করার দক্ষতা নেই জিএইচএফের, এমনও দাবি করেছে জাতিসংঘ। সেই দাবি যে খুব একটা ভুল নয়, তার প্রমাণ প্রায় প্রতি দিনই মিলছে। জিএইচএফ গাজার চার জায়গায় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র করেছে। সেগুলি হল তাল আল-সুলতান, সৌদিপাড়া, ওয়াদি গাজ়া এবং খান ইউনিস। ঘটনাচক্রে, ইজরায়েলি সেনা আগে থেকেই এই সব এলাকায় প্যালেস্টাইনিদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে। সেখানকার বাসিন্দাদের স্থান হয়েছে শরণার্থী শিবিরে। সেই সব শিবির থেকে ত্রাণকেন্দ্রগুলির দূরত্ব কয়েক কিলোমিটার।

আশ্চর্যের বিষয় হল, জিএইচএফের ত্রাণকেন্দ্রগুলি খোলা থাকে খুবই কম সময়ের জন্য। তাদের ফেসবুক পেজের তথ্য অনুযায়ী, কেন্দ্রগুলি দিনে এক বার খোলে, তা-ও মাত্র আট মিনিটের জন্য। জুন মাসে গড়ে সৌদিপাড়া ত্রাণকেন্দ্রটি খোলা ছিল মাত্র ১১ মিনিট। আর এই সময়ের মধ্যেই ত্রাণ সংগ্রহ করতে হয়। ফলে স্বভাবতই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ঘটে পদপিষ্টের মতো ঘটনাও। একটা বাক্সের জন্য শয়ে শয়ে লোক ঝাঁপিয়ে পড়েন। আর তাতেই বিপদ বাড়ছে।

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]