ময়ূরভঞ্জ জেলায় নাবালিকাকে গণধর্ষণের চেষ্টা

আপলোড সময় : ১০-০৮-২০২৫ ১১:১৯:১৩ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ১০-০৮-২০২৫ ১১:১৯:১৩ অপরাহ্ন
ওড়িশায় নারী নির্যাতনের একাধিক ভয়াবহ ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে। এর মধ্যে নাবালিকাকে গণধর্ষণের চেষ্টা এবং একাধিক ছাত্রীর আত্মহত্যার মতো মর্মান্তিক বিষয় রয়েছে।

ময়ূরভঞ্জ জেলায় নাবালিকাকে গণধর্ষণের চেষ্টা

ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলায় এক নাবালিকাকে অপহরণ করে গণধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তার প্রেমিক এবং বন্ধুদের বিরুদ্ধে। ৪ঠা আগস্ট টিউশনে যাওয়ার পথে ওই নাবালিকাকে তার প্রেমিক ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে অপহরণ করে এবং একটি জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে তার অন্য বন্ধুরাও যোগ দেয়। তারা নাবালিকাটিকে গণধর্ষণের চেষ্টা করলে সে চিৎকার করে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়।পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে এবং তার বাকি বন্ধুদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।

আঙ্গুল জেলায় আদিবাসী তরুণীকে গণধর্ষণ

অন্য একটি ঘটনায়, ওড়িশার আঙ্গুল জেলায় এক আদিবাসী তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনায় পুলিশ দুই নাবালক সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। নির্যাতিতার অভিযোগ অনুযায়ী, একটি নির্জন জায়গায় তিন ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করে। পুলিশ এই ঘটনায় একটি ট্র্যাক্টর, মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে।

ছাত্রীদের আত্মহত্যার একাধিক ঘটনা

গত কয়েক সপ্তাহে ওড়িশার বিভিন্ন স্থানে ছাত্রীদের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে, যা রাজ্যজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

কেন্দ্রাপাড়া: এক কলেজ ছাত্রী তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেল ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তার পরিবারের অভিযোগ, ওই ছাত্রীর প্রেমিক তাকে দীর্ঘদিন ধরে হেনস্থা করছিল এবং পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।

বালেশ্বর: ফকির মোহন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বি.এড ছাত্রী কলেজের বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন।কলেজ কর্তৃপক্ষ সাতদিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায়, ওই ছাত্রী অধ্যক্ষের ঘরের সামনে গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করার দুদিন পর তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত অধ্যাপক, কলেজের অধ্যক্ষ এবং দুজন ছাত্র নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে।

পুরী: পুরী জেলার বালাঙ্গা থানা এলাকায় এক তরুণীকে তিনজন বাইক আরোহী অপহরণ করে ভরগবী নদীর তীরে নিয়ে গিয়ে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাকে প্রথমে ভুবনেশ্বর ও পরে দিল্লির এইমস-এ নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যু হয়। যদিও পুলিশ পরে জানায় যে এই ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত ছিল না এবং মেয়েটি মানসিক চাপে আত্মহত্যা করেছে বলে তার বাবা জানিয়েছেন।

সম্পাদকীয় :

Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

রাজশাহীর সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল আবেদনকৃত চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, ঢাকা ।

অফিস :

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204 Thana : Motihar,Rajshahi

Email : [email protected],                    [email protected]