
আল্লাহ তা'আলা হযরত দাউদ (আঃ)-কে বিশেষ কিছু গুণাবলীতে ভূষিত করেছিলেন যা তাঁর নিকট অত্যন্ত পছন্দের ছিল। ইসলামের বিভিন্ন বর্ণনা অনুযায়ী, দাউদ (আঃ) ছিলেন একাধারে একজন নবী, ন্যায়পরায়ণ শাসক এবং আল্লাহ্র একনিষ্ঠ উপাসক। তাঁর যে গুণগুলো আল্লাহ্র কাছে বিশেষভাবে প্রিয় ছিল, সেগুলো হলো:
১. আল্লাহ্র প্রতি প্রত্যাবর্তনশীলতা ও কৃতজ্ঞতা: দাউদ (আঃ) আল্লাহ্র দিকে প্রত্যাবর্তন করতেন, অর্থাৎ যেকোনো পরিস্থিতিতে তিনি আল্লাহ্র উপর নির্ভর করতেন এবং তাঁর কাছেই ফিরে যেতেন। পবিত্র কোরআনে তাঁকে 'আউয়াব' বা 'বারবার প্রত্যাবর্তনকারী' হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি আল্লাহ্র প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ একজন বান্দা ছিলেন।
২. ন্যায়বিচার ও প্রজ্ঞা: আল্লাহ তাঁকে রাজত্ব ও প্রজ্ঞা দান করেছিলেন। তিনি একজন আদর্শ ও ন্যায়পরায়ণ শাসক হিসেবে পরিচিত ছিলেন, যিনি পৃথিবীতে আল্লাহ্র কর্তৃত্বের প্রতীক হিসেবে কাজ করেছেন। আল্লাহ তাঁকে সুবিচার করার এবং খেয়াল-খুশির অনুসরণ না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
৩. ইবাদতে একনিষ্ঠতা: হযরত দাউদ (আঃ) ইবাদতের প্রতি অত্যন্ত কঠোর ছিলেন। তাঁর নামাজ ও রোজা আল্লাহ্র কাছে সর্বাধিক পছন্দনীয় ছিল। তিনি রাতের একটি অংশ ইবাদতে কাটাতেন এবং একদিন পর পর রোজা রাখতেন, যা 'দাউদি রোজা' নামে পরিচিত।
৪. সুমধুর কণ্ঠ ও আল্লাহ্র প্রশংসা: আল্লাহ তাঁকে এক অপূর্ব কণ্ঠস্বর দান করেছিলেন। তিনি যখন যাবুর কিতাব তেলাওয়াত করতেন, তখন পাহাড় ও পাখিরাও তাঁর সাথে আল্লাহ্র পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করত। তাঁর এই মোহনীয় সুরের প্রশংসা কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।
৫. দৈহিক ও আধ্যাত্মিক শক্তি: আল্লাহ দাউদ (আঃ)-কে আধ্যাত্মিক ও দৈহিক উভয় শক্তিতে বলীয়ান করেছিলেন। তিনি একজন শক্তিশালী ও সাহসী যোদ্ধা ছিলেন এবং শত্রুর মোকাবেলা করতে কখনো পশ্চাদপসরণ করতেন না।
৬. আল্লাহ্র ভালোবাসার জন্য দোয়া: দাউদ (আঃ) আল্লাহ্র ভালোবাসা পাওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত দোয়া করতেন। তাঁর একটি দোয়া রাসূলুল্লাহ (সাঃ) খুব পছন্দ করতেন।
এছাড়াও, তিনি নিজ হাতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বাদশাহ হওয়া সত্ত্বেও তিনি বর্ম তৈরি করে তা বিক্রি করে খেতেন। এই সমস্ত গুণাবলীর জন্য হযরত দাউদ (আঃ) আল্লাহ্র একজন প্রিয় ও নৈকট্যপ্রাপ্ত বান্দা ছিলেন।
১. আল্লাহ্র প্রতি প্রত্যাবর্তনশীলতা ও কৃতজ্ঞতা: দাউদ (আঃ) আল্লাহ্র দিকে প্রত্যাবর্তন করতেন, অর্থাৎ যেকোনো পরিস্থিতিতে তিনি আল্লাহ্র উপর নির্ভর করতেন এবং তাঁর কাছেই ফিরে যেতেন। পবিত্র কোরআনে তাঁকে 'আউয়াব' বা 'বারবার প্রত্যাবর্তনকারী' হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি আল্লাহ্র প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ একজন বান্দা ছিলেন।
২. ন্যায়বিচার ও প্রজ্ঞা: আল্লাহ তাঁকে রাজত্ব ও প্রজ্ঞা দান করেছিলেন। তিনি একজন আদর্শ ও ন্যায়পরায়ণ শাসক হিসেবে পরিচিত ছিলেন, যিনি পৃথিবীতে আল্লাহ্র কর্তৃত্বের প্রতীক হিসেবে কাজ করেছেন। আল্লাহ তাঁকে সুবিচার করার এবং খেয়াল-খুশির অনুসরণ না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
৩. ইবাদতে একনিষ্ঠতা: হযরত দাউদ (আঃ) ইবাদতের প্রতি অত্যন্ত কঠোর ছিলেন। তাঁর নামাজ ও রোজা আল্লাহ্র কাছে সর্বাধিক পছন্দনীয় ছিল। তিনি রাতের একটি অংশ ইবাদতে কাটাতেন এবং একদিন পর পর রোজা রাখতেন, যা 'দাউদি রোজা' নামে পরিচিত।
৪. সুমধুর কণ্ঠ ও আল্লাহ্র প্রশংসা: আল্লাহ তাঁকে এক অপূর্ব কণ্ঠস্বর দান করেছিলেন। তিনি যখন যাবুর কিতাব তেলাওয়াত করতেন, তখন পাহাড় ও পাখিরাও তাঁর সাথে আল্লাহ্র পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করত। তাঁর এই মোহনীয় সুরের প্রশংসা কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।
৫. দৈহিক ও আধ্যাত্মিক শক্তি: আল্লাহ দাউদ (আঃ)-কে আধ্যাত্মিক ও দৈহিক উভয় শক্তিতে বলীয়ান করেছিলেন। তিনি একজন শক্তিশালী ও সাহসী যোদ্ধা ছিলেন এবং শত্রুর মোকাবেলা করতে কখনো পশ্চাদপসরণ করতেন না।
৬. আল্লাহ্র ভালোবাসার জন্য দোয়া: দাউদ (আঃ) আল্লাহ্র ভালোবাসা পাওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত দোয়া করতেন। তাঁর একটি দোয়া রাসূলুল্লাহ (সাঃ) খুব পছন্দ করতেন।
এছাড়াও, তিনি নিজ হাতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বাদশাহ হওয়া সত্ত্বেও তিনি বর্ম তৈরি করে তা বিক্রি করে খেতেন। এই সমস্ত গুণাবলীর জন্য হযরত দাউদ (আঃ) আল্লাহ্র একজন প্রিয় ও নৈকট্যপ্রাপ্ত বান্দা ছিলেন।